Panchayat Election 2023:'চুরির টাকার ভাগ না পেলে, পুলিশও রাস্তায় বসত', বিস্ফোরক রুদ্রনীল
Rudranil Attacks Bengal police: পুলিশকে নিশানা করে মন্তব্য রুদ্রনীল ঘোষের। কী বললেন বিজেপি নেতা ?
পূর্ব বর্ধমান: রায়নায় পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে (Panchayat Election Campaign) গিয়ে পুলিশকে বেনজির আক্রমণ রুদ্রনীল ঘোষের (Rudranil Ghosh)। 'সরকারি কর্মীরা ডিএ (DA) পাচ্ছেন না বলে রাস্তায় বসে।কিন্তু পুলিশ রাস্তায় বসে নেই, কারণ ওরা চোরেদের পাহারা দেয়। চুরির টাকার ভাগ না পেলে পুলিশও রাস্তায় বসত', পুলিশকে নিশানা করে মন্তব্য বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষের।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে যে কোনও ভোটের ক্ষেত্রেই নিরাপত্তায় কে থাকবে এ এক বরাবরের বড় প্রশ্ন। কেন্দ্রীয় বাহিনী না রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট হবে, তা নিয়ে জল্পনা চলে প্রতিবারই। কলকাতা পুরভোটের ক্ষেত্রেও সেই একই দৃশ্য উঠে এসেছিল। সেবার কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করার পক্ষে ছিল গেরুয়া শিবির। আদালতের দ্বারস্থ হলেও শেষ অবধি রাজ্য পুলিশ দিয়েই ভোট করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে এবার আরও একধাপ পেরিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর পক্ষে শাসকদলও। তবে গুড়ে বালি একটা জায়গাতেই। তা হল বিরোধীদের দাবি অনুযায়ী, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের রাজীব সিনহা। এখানে যত মাথা ব্যাথা গেরুয়া শিবিরের। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট হলেও অস্বস্তি এই অন্য জায়গাতেই। যদিও কংগ্রেস, বামেদের প্রত্যেকেরই আলাদা আলাদা এনিয়ে তত্ত্ব রয়েছে।
অপরদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে গর্জে উঠেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। বিষয়টি ডিএ ইস্যু না হলেও রাজ্যের এই মুহূর্তে সবথেকে বড় ইস্যু। 'যদি কথায় আর কাজে মিল না থাকে, তাহলে আর আপনাদের সামনে ২৪-এ আসব না', পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Elections 2023) আগে কল্যাণীর সংখ্য়ালঘু অধ্যুষিত ঘোড়াগাছায় গিয়ে এমনই বার্তা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বলেছিলেন, 'আমাদের একবার সুযোগ দিন।' বিরোধী দলনেতাকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছে তৃণমূল (TMC)। সংখ্যালঘু ভোট বঙ্গ রাজনীতিতে অন্যতম বড় ফ্যাক্টর। ২০১১ সাল থেকে পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে কার্যত একচেটিয়া আধিপত্য তৃণমূলের। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেই ভোট নিজেদের দিকে টানতে এবার তৎপর হল বিজেপি (BJP)। শনিবার নদিয়ার কল্যাণীর ঘোড়াগাছায় ভোট প্রচারে যান শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
এই অঞ্চলের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। সেখানে গিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করে সংখ্যালঘুদের মন জয়ে ঢালাও প্রতিশ্রুতি দেন সেদিন শুভেন্দু অধিকারী।তিনি বলেছিলেন, 'এখন সংখ্যালঘুরা বুঝছে, চোর তৃণমূল তাদের এগিয়ে যাবার বিষয় নিয়ে ভাবে না। আমাদের একবার সুযোগ দিন। আমরা মানুষের পঞ্চায়েত করব। ধর্ম-বর্ণ দেখে নয়। গ্রামসভা ডেকে আবাস দেব। সভায় বিজেপির পতাকাও রাখব না। যদি না কথায় কাজে মিল থাকে, তাহলে আর আপনাদের সামনে ২৪-এ আসব না।'বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মুখে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান নিয়ে বার বার বিতর্ক বেধেছে। তার ব্য়াখ্য়াও দেন শুভেন্দু। বলেন, 'জয় শ্রীরাম কেন বলেন? অনেকেই আপনারা প্রশ্ন করেন. জয় শ্রীরাম নিশ্চয়ই আমার আরাধ্য দেবতা রাম. কিন্তু রাম রাজ্য মানে কি? মাথায় ছাদ, পেটে ভাত। এটা সুশাসন।'