Panchayat Election: হাওড়া জেলা পরিষদে এগিয়ে কারা? কটা আসন পেতে পারে বিরোধীরা? কী বলছে সমীক্ষা?
Panchayat Election 2023: নির্বাচনের আগে গ্রামবাংলার মানুষদের মতামত বোঝার চেষ্টা করল সি ভোটার সমীক্ষা।
হাওড়া: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। কোন কোন জেলা পরিষদে কত আসন পেতে পারেন তৃণমূল? বিজেপি, কংগ্রেস বা সিপিএমই বা রয়েছেন কোন কোন জায়গায়? নির্বাচনের আগে গ্রামবাংলার মানুষদের মতামত বোঝার চেষ্টা করল সি ভোটার সমীক্ষা।
নির্ঘণ্ট প্রকাশ থেকে মনোনয়ন এবং স্ক্রুটিনি, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দফায় দফায় অশান্তি হিংসার সাক্ষী থেকেছে বাংলা। হুজ্জুতি, মারামারি, ঝামেলা, বোমাবাজি, প্রাণহানি, কিছুই বাকি থাকেনি। নির্বিঘ্নে নির্বাচনের স্বপ্ন এবারও তাই অধরাই থেকে গিয়েছে (Panchayat Elections 2023)। বরং যত এগিয়ে আসছে ভোটগ্রহণের দিন, ততই বাড়ছে অভিযোগের বহর। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শাসকদল তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিরোধীরা। প্রশ্ন উঠেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও। দীর্ঘ গড়িমসির পর কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোটগ্রহণের তৎপরতা দেখা দিলেও, ভোটগ্রহণের দিনও আশঙ্কার অবকাশ থেকে যাচ্ছে। তবে শাসক-বিরোধী প্রচারে খামতি রাখছে না কোনও পক্ষই। কোন কোন জেলা পরিষদে কত আসন পেতে পারে কোন কোন দল.. সি ভোটার সমীক্ষার মাধ্যমে সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা করল এবিপি আনন্দ (ABP Ananda)।
হাওড়া জেলা পরিষদে মোট আসন ৪২টা। সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, তৃণমূল পেতে পারে ২৭ থেকে ৩৫টা আসন। বিজেপি পেতে পারে ৫ থেকে ৯টা আসন। সিপিএম এবং কংগ্রেস পেতে পারে ৩ থেকে ৫টি আসন। এর আগের বছর, অর্থাৎ ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে হাওড়ার মোট আসন ছিল ৪০টা। এরমধ্যে তৃণমূল জয় করেছিল ৩৯টি আসনই। বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস... তিন দলেরই প্রাপ্ত আসনের সংখ্যা ছিল শূন্য। অন্যান্যরা পেয়েছিল মাত্র ১টি আসন।
কিন্তু জনমত সমীক্ষা হোক কিংবা বুথ ফেরত সমীক্ষা...কোনওটাই শেষ কথা নয়! গণতন্ত্রে শেষ কথা হল মানুষ ব্য়ালট বক্সে কিংবা ভোটযন্ত্রে কী রায় দিয়েছে।...সেটা একমাত্র তিনিই জানেন। সম্পূর্ণভাবে যা গোপনীয়। আর তাই বাক্স কিংবা যন্ত্র খুললে তবেই বোঝা যায়, মানুষ কী চেয়েছে। তাই কখনও সমীক্ষা সম্পূর্ণ রূপে সঠিক প্রমাণিত হয়, কখনও আংশিক আবার কখনও আসল ফলের ঠিক উল্টোটাও হয়। কারণ বহুক্ষেত্রেই ভয়-ভীতি কিংবা অন্য়ান্য় নানা কারণে মানুষ সমীক্ষকদের সামনে মনের কথা প্রকাশ করেন না। তাই পঞ্চায়েতে ভোটের ফলাফলে আসলে কী হবে, তা জানাও যেমন এই সমীক্ষার মধ্য়ে দিয়ে সম্ভব নয়, তেমনই কাউকে প্রভাবিত করার কোনও চেষ্টাও সমীক্ষক সংস্থা করে না। আর তারা যে পরিসংখ্য়ান দেয়, তা হবহু আপনাদের সামনে আমরা তুলে ধরি মাত্র। দায়িত্বশীল সংবাদমাধ্য়ম হিসাবে আমাদের আসল অপেক্ষা ১১ জুলাই অবধি। সেদিনই জানা যাবে গ্রাম বাংলা গেল কার দখলে।
কিন্তু এখনও পর্যন্ত জেলায় জেলায় যে সমীকরণ চোখে পড়ছে, তাতে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোন দল এগিয়ে রয়েছে দৌড়ে, কড়া টেক্কা দিতে পারে কোন দল, তা নিয়ে আগাম সমীক্ষা চালানো হয়। ABP C-Voter-এর সেই সমীক্ষা কী বলছে, চোখ রাখুন।
আরও পড়ুন: Kajol on Personal Life: মেয়ে জন্ম নেওয়ার পরেই কাজে ফিরতে বলেছিলেন শাশুড়িমা: কাজল
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন