Nawsad Siddique : 'ছোটভাইকে বলব ভাঙড়ে গন্ডগোল কম করতে'খোঁচা সওকতের, নৌশাদের পাল্টা 'বাইরের লোক কম আনুন'
Panchayat Election : পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বের মাঝে চূড়ান্ত অশান্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষে প্রাণ গেছে ৩ জনের।
উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : বিধানসভায় হঠাৎই এক ফ্রেমে ধরা পড়লেন দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী। প্রথমে বিধানসভায় আসেন সওকত মোল্লা। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে চলে যাওয়ার পর, সেখানে পৌঁছন ভাঙড়ের ISF বিধায়ক। তখনই ফের চলে আসেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক। বিধানসভার সিড়ির কাছে মুখোমুখি হয়ে যান দু'জনে। হাসি মুখে সৌজন্য বিনিময়ও হল ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddique) ও ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লার (Saukat Mollah)। একে অপরকে দাদা-ভাই বলে সম্বোধন করলেও, চলল কটাক্ষও।
তৃণমূল (TMC) বিধায়ক সওকত হাসিমুখেই বললেন, 'গণতান্ত্রিকভাবেই নির্বাচন হবে। এক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা নেই। আমি আমার ছোট ভাই নৌশাদ ভাইকে বলব যে ভাঙড়ে গন্ডগোলটা একটু কম করতে'। যে খোঁচা শুনেই পাল্টা ফিরিয়ে দিলেন আইএসএফ (ISF) বিধায়কও। নৌশাদও তৎক্ষণাৎ সওকতের উদ্দেশে বললেন, 'বড় দাদাই জানে, বাইরে থেকে কোথায় কে লোক নিয়ে আসছে না নিয়ে আসছে। ইনি আমার থেকে ভাল জানবেন। ওনার হাতে পুলিশ থেকে শুরু করে সব আছে। বড় দাদা যদি ইচ্ছা করে তাহলে ছোট ভাইকে গাইড করিয়ে যাতে পঞ্চায়েত সমিতি থেকে জেলা পরিষদে যাতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন।'
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বের মাঝে চূড়ান্ত অশান্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষে প্রাণ গেছে ৩ জনের। তৃণমূল কর্মীর খুনে গ্রেফতার হলেও, আইএসএফ কর্মীর মৃত্য়ুর ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ (Police)। অবশ্য এক ফ্রেমে সৌজন্য বজায় রেখে একে অপরের প্রতি হালকা খোঁচা চললেও, আলাদা হতেই ভাঙড়ে অশান্তি নিয়ে ফের একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন দুই নেতা। সওকত মোল্লার কটাক্ষ, আইএসএফ না থাকলে সন্ত্রাসই হত না ভাঙড়ে। পাল্টা নৌশাদ সিদ্দিকির আক্রমণ, 'বাইরে থেকে লোক আনছে তৃণমূলই'। প্রথমে সৌজন্য, পরে একে অপরকে আক্রমণ! এবার ভোটের দিন কী হয়, সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন- দিনহাটায় গুলিতে খুন তৃণমূলকর্মী, জখম আরও ৫ ? কাঠগড়ায় বিজেপি !
অন্যদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশের পর রবিবারই কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেয়েছেন ISF বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। তাঁর হুগলির ফুরফুরা শরিফের বাড়িতে পৌঁছে গেছে CISF-এর সাতজনের একটি টিম। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা পেলেও, পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন নৌশাদ।উল্টে রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুললেন তিনি। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই সওকত মোল্লাকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিয়েছে রাজ্য সরকার।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন