Panchayat Elections 2023: তমলুক টাউন TMC-র সভাপতিকে রাস্তায় ফেলে মার, আইসি-কে হুঁশিয়ারি কুণালের
Kunal Attacks IC: তমলুক টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতিকে রাস্তায় ফেলে মার। প্রতিবাদে তমলুক থানার সামনে বিক্ষোভ তৃণমূলের, আইসি-কে হুঁশিয়ারি দিয়ে কী বললেন কুণাল ঘোষ ?
পূর্ব মেদিনীপুর: তমলুক টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতিকে রাস্তায় ফেলে মার। প্রতিবাদে তমলুক থানার সামনে বিক্ষোভ তৃণমূলের, আইসি-কে হুঁশিয়ারি কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh)। 'আইসি-কে ২৪ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি, বাকি অভিযুক্তদের ধরে আনুন। না হলে আন্দোলন কোথায় নিয়ে যেতে হয় আমরা বুঝিয়ে দেব', আইসি-র বিরুদ্ধে বিজেপিকে মদত দেওয়ার অভিযোগ কুণাল ঘোষের।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Elections 2023) ঘিরে হিংসার গ্রাফ তির্যক। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই ভোট হিংসা (Panchayat Poll Violence) নিয়ে সরব হুমায়ুন, সৌগত-সহ তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিৎ। কিন্তু কোথায় গিয়ে থামবে এই হিংসা ? প্রশ্নের উত্তর আসার আগেই বঙ্গে ৩৩ দিনে প্রাণ গেল ৪০ জনের। 'যাকে ইচ্ছে তাকে ভোট দেব' বলায় নৃশংসভাবে খুন হতে হয় বলে অভিযোগ। ভোটের দিনের সন্ত্রাসের বলি হয়েছিলেন কেতুগ্রামের ভোটার।'তৃণমূলকে ভোট দিতে না চাওয়ায় পিটিয়ে, বোল্ডার দিয়ে থেঁতলে খুন'-র অভিযোগ উঠেছে।'যাকে ইচ্ছে তাকে ভোট দেব' বলায় বোল্ডার দিয়ে থেঁতলে খুনের ভয়াবহ অভিযোগ ওঠে।তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে নিহতের পরিবার। কেতুগ্রামের ওই ভোটারকে এরপর গুরুতর জখম অবস্থায় এনআরএসে ভর্তি করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালেই মৃত্যু ঘটেছে।
হুমায়ুন, সৌগতর পর এবার এবার ভোট হিংসা (Panchayat Poll Violence) নিয়ে সরব চিরঞ্জিৎ। 'বাঙালি হিসেবে কে লজ্জিত নয়! সবাই লজ্জিত, আমিও লজ্জিত!বিদেশে গিয়েও শুনতে হবে, ভাল লাগবে না শুনতে। বাঙালির বদনাম হয়ে যাচ্ছে বহু বছর ধরে', মন্তব্য বারাসাতের তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীর (Chiranjeet Chakraborty)।
প্রসঙ্গত পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাস নিয়ে সদ্য বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া দেন ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। সম্প্রতি প্রাক্তন পুলিশকর্তা হুমায়ুন কবীর বলেন, 'বাঙালি হিসেবে লজ্জিত, মর্মাহত, মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে লজ্জায়। আর কতদিন এসব চলবে, যুগের পর যুগ চলে যাচ্ছে, কিন্তু আমরা পাল্টাতে পারছি না। আমি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। ২০০৮ সালে বাম আমলে মুর্শিদাবাদে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল, ভয়ঙ্কর নাড়া দিয়েছিল।এই সন্ত্রাসের জন্য দায়ী সব রাজনৈতিক দলগুলি।
আরও পড়ুন, ৩৩ দিনে প্রাণ গেল ৪০ জনের
তিনি আরও বলেন, '২০০৮ সালে দায়িত্বে থাকার সময় বর্ধমানে ব্যাপক তল্লাশি চালিয়েছিলাম। প্রচুর অস্ত্র, বোমা উদ্ধার করেছিলাম। অভিষেক বলেছিলেন বিরোধী প্রার্থীরা যেন মনোনয়ন দিতে পারে। আমি নিজে থেকেই বিরোধীদের মনোনয়ন দিয়েছিলাম। এত খুনোখুনি, মারামারি, কেন জিরো করতে পারছি না ? মৃত্যু কাম্য নয়, মৃতের পরিবারই জানেন এটা কতখানি কষ্টকর। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারা কমিশন, প্রশাসন, রাজনৈতিক দলগুলির ব্যর্থতা। ভয়মুক্ত, রক্তহীন নির্বাচন করতে পারলাম না।'