Panchayat Elections 2023: পর পর উড়ে এল ৩০টি বোমা, পুলিশ-RAF থাকতেও চলল গুলি, মনোনয়নের শেষ দিনও অগ্নিগর্ভ রইল ভাঙড়
Bhangar News: এত কিছুর মধ্যেও এ দিন নিধিরাম সর্দারের ভূমিকা পালন করতে দেখা গেল পুলিশকে। তাদের চোখের সামনেই জামার পিছনে লাঠি গুঁজে মনোনয়ন কেন্দ্রের সামনে মিছিল করেন তৃণমূল কর্মীরা।
ভাঙড়: শুরুই হয়েছিল অশান্তি, ঝামেলা দিয়ে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনেও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বজায় রইল ভাঙড়ে (Bhangar News)। মুহুর্মুহু বোমা উড়ে এল। চলল গুলিও। ধোঁয়ায় ঢাকল চারিদিক। ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও বিডিও অফিসের সামনে অবৈধ জমায়েত চোখে পড়ল। পুলিশ মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও, তাদের চোখের সামনেই লাঠিসোঁটা নিয়ে চলল তাণ্ডব (Panchayat Elections 2023)।
বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এদিনও উত্তপ্ত রইল ভাঙড়। শান্তিপূর্ণ মনোনয়নপত্র জমা তো দূর, বরং চোখের সামনে মুড়ি-মুড়কির মতে অন্তত ৩০টি বোমা উড়ে আসে সেখানে। মনোনয়নপর্ব শেষ হয়ে গেলেও বোমাবাজি অব্যাহত থাকে বলে অভিযোগ। কমপক্ষে ১০০টি বোমা পড়ে বলে অভিযোগ। গুলির চলার ঘটনাও সামনে এল। মনোনয়নপর্বে এই নিয়ে পরপর তিন দিন মনোনয়ন ঘিরে অগ্নিগর্ভ হল ভাঙড়ের পরিস্থিতি।
আজও ভাঙড়ে আইএসএফ প্রার্থীদের মনোনয়ন দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওটে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আইএসএফ-এর। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল। বিকেল ৩টে পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় নির্ধারিত হয়েছিল। শাসকদলের বাধার মুখে পড়ে আইএসএফ প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: Panchayat Poll 2023 Live : আমোদপুরে বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়নে বাধা, মারধরের অভিযোগ
শুধু তাই নয়, মনোনয়ন কেন্দ্রের সামনেই পর পর দু'টি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে বলে অভিযোগ সামনে এসেছে। পুলিশ মোতায়েন থাকা সত্ত্বেও, র্যাফ নামানো সত্ত্বেও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে থোড়াই কেয়ার আচরণ দেখা যায় বলে অভিযোগ। ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও ভাঙড় ১ নম্বর ব্লক অফিসে মনোনয়ন কেন্দ্রের বাইরে অবৈধ জমায়েত চোখে পড়ে। লাঠি হাতে মিছিলও করেন শাসকদলের কর্মী এবং সমর্থকরা।
আর এত কিছুর মধ্যেও এ দিন নিধিরাম সর্দারের ভূমিকা পালন করতে দেখা গেল পুলিশকে। তাদের চোখের সামনেই জামার পিছনে লাঠি গুঁজে মনোনয়ন কেন্দ্রের সামনে মিছিল করেন তৃণমূল কর্মীরা। সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা দেখে পুলিশ সক্রিয়তা দেখানোর চেষ্টা করলেও, ভিড় হঠানোর চেষ্টা করলেও অকুতোভয় ছিলেন তৃণমূল কর্মীরা।
যদিও দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ মানতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। বরং তাঁদের দাবি, বিডিও অফিসের গায়েই সাধারণ মানুষের বসতি। তাই রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। ভাঙড়ে এই অশান্তি নিয়ে গতকালই নবান্নে ছুটে যান আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে, পরিস্থিতি তুলে ধরতে চান। অশান্তি চলতে থাকলে, শেষ দিন অনেকেই মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। কিন্তু ব্যস্ততার দরুণ নৌশাদের সঙ্গে গতকাল দেখা করতে পারেননি মমতা। কিন্তু নৌশাদের আশঙ্কাই সত্য প্রমাণিত হল। বৃহস্পতিবারও তপ্ত থাকল ভাঙড়।