Panchayat Election: '২০১৮-র তুলনায় মনোনয়ন প্রত্যাহারের হার এবার অনেক কম', আদালতে হলফনামায় দাবি কমিশনের
High Court: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা নিজে স্বাক্ষর করে জমা দিয়েছেন হলফনামা।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: পাঁচ বছর আগে পঞ্চায়েত ভোটে যে সংখ্যক মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে, তার তুলনায় এই বছর মনোনয়ন প্রত্যাহারের হার অনেক কম। পরিসংখ্যান-সহ হলফনামা পেশ করে জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
'২০১৮-র তুলনায় মনোনয়ন প্রত্যাহারের হার এবার অনেক কম', আদালতে পরিসংখ্যান-সহ হলফনামা পেশ করে জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। '২০১৮-তে ১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৬৭৩ টি বৈধ মনোনয়নের মধ্যে ২৩ হাজার ৬১৯ টি প্রত্যাহার করা হয়েছিল। শতাংশের হিসাবে প্রত্যাহারের হার ছিল ১৭.৬৬ শতাংশ। ২০২৩-এ ২ লক্ষ ২৮ হাজার ১৫৮ টি বৈধ মনোনয়নের মধ্যে ২০ হাজার ৬১২ টি প্রত্যাহার করা হয়েছে। শতাংশের হিসাবে প্রত্যাহারের হার ছিল ৯.০৩ শতাংশ', হলফনামায় জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শুভেন্দু অধিকারীর তরফে একটি মামলায় দাবি করা হয়েছিল এবার মনোনয়ন প্রত্য়াহার অনেক বেশি, সেই দাবি খারিজ করে হলফনামা দিল নির্বাচন কমিশন।
মনোনয়ন পর্বে অশান্তির সময় যে অভিযোগ পেয়েছে তার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন কিছু করেনি, এমন অভিযোগ উঠেছিল। পাল্টা সেই দাবি খারিজ করে কমিশন বলেছে তারা যে ভাবে যতগুলো অভিযোগ পেয়েছিল, তার সবকটিই খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিয়েছে। 'মনোনয়ন পর্বে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৭৫৪ টি অভিযোগ পেয়েছে, প্রত্যেকটির ক্ষেত্রেই পদক্ষেপ করা হয়েছে, অতীতের ঘটনা, বর্তমান পরিস্থিতি, ভোটার সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে স্পর্শকাতর এলাকা শনাক্ত করা হচ্ছে', হলফনামায় জানাল কমিশন। এই মর্মে জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, উল্লেখ হলফনামায়।
পুলিশের তরফে বসানো সিসিটিভি ক্যামেরার লিঙ্ক চাওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে। কমিশন সেই লিঙ্কের সূত্র ধরে ফুটেজ দেখবে এবং রেকর্ড করবে, জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সব ফুটেজ সংরক্ষণ করা হবে এবং কমিশন নিজের হেফাজতে রাখবে, জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা নিজে স্বাক্ষর করে জমা দিলেন হলফনামা।
বিরোধীদের কটাক্ষ:
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার দাবি, 'রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপরে আদালতেরই বিশ্বাস নেই। কোনও রাজনৈতিক দলের বিশ্বাস নেই। সাধারণ মানুষেরও বিশ্বাস নেই বলেই মনে হয়। যে সংখ্যাটি দিয়েছেন তা কতটা সত্য সেই প্রশ্ন রয়েছে। এবার মনোনয়ন জমা পড়েছে বেশি। আগের বার মনোনয়ন জমাই করতে দেয়নি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার যে কম আছে তার অন্যতম কারণ মনোনয়নের শেষ দিনে তৃণমূল গোছা ধরে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। নিজেদের মধ্যে তুমুল দ্বন্দ্ব থাকার কারণে বিরোধীদের উপর সেই মুহূর্তে চাপ কম রয়েছে।'
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, '২০১৮ সালে ৩৪ শতাংশ আসনে লড়াই হয়নি। এবার সিপিএম অনেক লড়াই করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এখানেও অনেক ব্লকে মনোনয়ন জমা দেওয়া যায়নি। তবে এবার মানুষ প্রতিরোধও করেছে।'
আরও পড়ুন: জীবনজুড়ে জঙ্গল, কলমজুড়ে প্রেম! টপ্পায় বুঁদ করতেন 'ঋজুদা' বুদ্ধদেব