(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
WB Election 2021: নন্দীগ্রাম নিয়ে চিন্তিত নই, চিন্তিত গণতন্ত্র নিয়ে, বললেন মমতা
এখানে ভোটে চিটিংবাজি হয়েছে বলে দ্বিতীয় দফার ভোটে দাবি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নন্দীগ্রাম: নন্দীগ্রাম নিয়ে চিন্তিত নই, চিন্তিত গণতন্ত্র নিয়ে। এখানে ভোটে চিটিংবাজি হয়েছে বলে দ্বিতীয় দফার ভোটে দাবি করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বয়ালের বুথে প্রায় ঘণ্টাদুয়েক আটকে থাকার পর সেখান থেকে সাংবাদিকদেক সামনে এই দাবি করেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী।
এদিন মমতা বলেন, নন্দীগ্রামে আমি জিতব। সকাল থেকে বন্দুক নিয়ে বসে আছে কাউকে ভোট দিতে দেয়নি। মানুষ আমাকে মিস করছে। তার মানে মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছে। এখানে ভোটে চিটিংবাজি হচ্ছে। আমি তিন ধরে বলছি, বয়ালে ওরা চূড়ান্ত অত্য়াচার করেছে। আমাদের একজনের হাচ ভেঙে দিয়েছে। কেশপুরে একজন খুন, খানাকুলে খুন, এজেন্টদের বাড়িতে গিয়ে মারধর। পুলিশকে গিয়ে বলেছি। পুলিশ চলে গেলে আবার চিটিংবাজি করেছে। আমি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দোষ দেব না। ওরা আমাদের বন্ধু। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জওয়ানদের বিজেপি সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছেন। এখানে যারা আছেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগই বহিরাগত। তাঁরা বাংলাও বলতে পারেন না। নন্দীগ্রামে ৯০ শতাংশ ভোট তৃণমূল পাবে।
এদিন ফের নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তোলেন মমতা। তিনি বলেন, কেন ভোটের দিনগুলিতে তিনি মিটিং করেন। মানুষ তাঁদের জবাব দেবেন। উল্লেখ্য, এদিন নন্দীগ্রামের বয়ালে তৃণমূল এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল নেত্রী বয়ালে যেতেই উত্তেজনা। বয়ালে তৃণমূলনেত্রীকে ঘিরে জয় শ্রীরাম স্লোগান। বুথের ভিতর মমতা, বাইরে সংঘর্ষের এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। নন্দীগ্রামে মুখোমুখি তৃণমূল-বিজেপি। প্রায় ২ ঘণ্টা বয়ালের বুথে আটকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুথে বসেই পরিস্থিতির কথা জানিয়ে রাজ্যপালকে ফোন মমতার। তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে কথা কমিশনের আধিকারিকদের। ঘটনাস্থলে যান নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীর নেতৃত্বে বিশাল বাহিনী। বাহিনীর ঘেরাটোপে প্রায় ২ ঘণ্টা পর বয়াল ছাড়লেন মমতা।
পরিস্থিতি সামলাতে এদিন নামে র্যাফ। কেন এতক্ষণ প্রার্থী এখানে? প্রশ্ন বিজেপি সমর্থকদের। পাল্টা জবাব দেন মমতা। তিনি বলেন, পরিস্থিতি যে এমন, সেটা দেখাতেই বসে রয়েছি। এদিকে তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে কথার পরই ট্যুইট রাজ্যপালের। ট্যুইটারে তিনি লেকেন, মমতার কথা নির্দিষ্ট জায়গায় জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফে আইনের শাসন রাখার আশ্বাস। গণতন্ত্র অক্ষুণ্ণ রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।