WB election 2021:লোকের বাড়িতে কাজ করেন,প্রচারের জন্য ক’দিন ছুটি নিয়েছেন আউশগ্রামের বিজেপি প্রার্থী
আউশগ্রাম বিধানসভার গুসকরা শহরের ৩ নং ওয়ার্ডের মাছ পুকুর পাড় এলাকার বাসিন্দা কলিতা মাঝি। স্বামী সুব্রত মাঝি কল মিস্ত্রির কাজ করেন। তাঁদের চোদ্দ বছরের ছেলে পার্থ ক্লাস এইটে পড়ে। স্বামীর একার উপার্জনে সংসার চলে না। তাই চারটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতে হয় কলিতা দেবীকে।
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: খড়ের চাল, মাটির দেওয়াল ঘেরা তিন কুঠুরির ঘর।এক চিলতে বারান্দা।কোনওকালে রং হয়েছিল মাটির দেওয়ালে। এখন খসতে শুরু করেছে রঙের আস্তরণ। সবমিলিয়ে দ্রারিদ্রের ছাপ স্পস্ট।এই বাড়িতেই থাকেন এবারের বিধানসভা নির্বাচনের এক প্রার্থী। তিনি কলিতা মাঝি। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে তিনি বিজেপির প্রার্থী। ছোট্ট এই বাড়িতেই তিনি থাকেন স্বামী,স্ত্রী ও ছেলের সঙ্গে। এছাড়াও এই বাড়িতেই থাকেন দুই দেওর,শ্বশুর ও শ্বাশুড়ি। কলিতা বাড়িতে বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন।
তপশিলি জাতি প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত আউশগ্রাম বিধানসভা। দীর্ঘদিন বামপন্থীদের দখলে ছিল আউসগ্রাম বিধানসভা। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের থেকে ছিনিয়ে বিধানসভায় গিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের অভেদানন্দ থান্ডার।এবারও তৃনমুল কংগ্রেসের প্রার্থী তিনি।
এবার আউসগ্রাম আসনটিতে জয়ের ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী বিজেপি। দরিদ্র পরিবারে মহিলা কলিতা মাঝিকে প্রার্থী করে বিজেপি সেই সম্ভাবনা বাস্তবায়িত করতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার।
আউশগ্রাম বিধানসভার গুসকরা শহরের ৩ নং ওয়ার্ডের মাছ পুকুর পাড় এলাকার বাসিন্দা কলিতা মাঝি। স্বামী সুব্রত মাঝি কল মিস্ত্রির কাজ করেন। তাঁদের চোদ্দ বছরের ছেলে পার্থ ক্লাস এইটে পড়ে। স্বামীর একার উপার্জনে সংসার চলে না। তাই চারটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতে হয় কলিতা দেবীকে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে যখন বিজেপি প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে তখনও তিনি একটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করছিলেন। প্রার্থী হিসেবে দল তাঁকে বেছে নিয়েছে জানতে পারার পর তিনি আপাতত কাজ থেকে ছুটি চেয়ে নেন। সেই বাড়ি থেকেই সোজা চলে যান দলীয় কার্যালয়ে। সেখানে দলের কর্মী নেতারা তাঁকে বরণ করে নেন। কলিতা দেবীর দাবি, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির নীতি,আদর্শে আকৃষ্ট হয়ে এলাকার স্থানীয় নেতাদের হাত ধরে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন।
পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের কাশেমনগরে বাপের বাড়ি কলিতা দেবীর। বাবা দিনমজুরের কাজ করতেন। দারিদ্র্যের কারণে পড়াশোনা বেশি দূর করতে পারেননি। সেই আফসোস থেকে গেছে মনের গভীরে। কলিতা দেবী জানান, বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সবার সমান অধিকারের জন্য লড়বেন। তিনি বলেছেন, আমি নিজে দারিদ্র্যের মধ্যে দিয়ে লড়াই করেছি। ভোটে জিতে দরিদ্রের কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করব। বিজেপির জেলা নেতৃত্বের বক্তব্য, সমাজের সব শ্রেণীর মানুষকে প্রার্থী তালিকায় জায়গা দেওয়া হয়েছে। যোগ্যতার ভিত্তিতে দল কলিতা দেবীকে প্রার্থী করেছে।তিনি আমাদের মণ্ডল কমিটিতে আছেন। গরিব মানুষের স্বার্থে লড়াই করা কলিতা দেবীকে প্রার্থী করে দল সেই বার্তাই দিয়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃ্ত্বের দাবি, আউশগ্রাম আসনে জয় এখন সময়ের অপেক্ষা।
এখন কর্মী বৈঠক করে,খুব তাড়াতাড়ি বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারের ওপর জোর দিতে চান আউশগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কলিতা মাঝি।