বাহুবলীর সেটে শ্যুটিং, রানির পোশাক-গয়না পরতে গিয়ে রোজ হাত-পা কেটে যেত অর্পিতার
মাহিষ্মতি নয়, বাহুবলীর সাম্রাজ্য তখন দখল করে নিয়েছেন হবুচন্দ্র রাজা। সেট বদলে করে সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে বোম্বাগড় রাজ্য। সেখানকার রানি কুসুমকলি
কলকাতা: মাহিষ্মতি নয়, বাহুবলীর সাম্রাজ্য তখন দখল করে নিয়েছেন হবুচন্দ্র রাজা। সেট বদলে করে সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে বোম্বাগড় রাজ্য। সেখানকার রানি কুসুমকলি। জীবনে প্রথমবার রুপোলি পর্দায় রানি সাজলেন তিনি। কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা? এবিপি লাইভের সঙ্গে এক্সক্লুসিভ আড্ডায় বোম্বাগড়ের গল্প শোনালেন অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়।
দেব এন্টারটেনমেন্ট ভেঞ্চারসের নতুন ছবি 'হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী' মুক্তি পাচ্ছে টেলিভিশন ও ওটিটিতে। আজ শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে মুক্তি পেল ছবির তৃতীয় গান। আর সেইসঙ্গে প্রযোজক দেবের বড় ঘোষণা, সিনেমাহল নয়, টেলিভিশন ও ওটিটিতে মুক্তি পাচ্ছে এই ছবি। ছবি নিয়ে কী কী আশা রয়েছে অর্পিতার? পর্দার কুসুমকলি বলছেন, 'ওটিটির কোনও সীমাবদ্ধতা নেই। তাই আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যায় ছবিটি। গত দেড় বছরে আরও বেশি করে এই নতুন চিন্তাটা উঠে এসেছে।'
কেমন ছিল অর্পিতা থেকে কুসুমকলি হয়ে ওঠার অভিজ্ঞতা? অর্পিতা বলছেন, 'আমি কখনও রানির চরিত্রে অভিনয় করিনি। কারণ, রূপকথা নিয়ে বাংলা ছবি প্রায় কয়েক দশক ধরে হয়নি। তবে গরমের মধ্যে ওই ভারি গয়না আর সাজ পরে অভিনয় করাটা খুব কঠিন ছিল। দুবার করে আমাদের লুক সেট করা হয়েছে। আর ছবি সংক্রান্ত সমস্ত পদক্ষেপে দেবও যুক্ত ছিল। আমার লুকটার কৃতিত্ব অনিরুদ্ধ চাকলাদার আর পৌলমী গুপ্তর। তবে, দেখতে যেমন ভালো লেগেছে, শ্যুট করাটা ততটাই কঠিন ছিল। অত ভারি পোশাক, গয়না পরে হাত পা ছড়ে যেত। সেই কাটা জায়গার ওপরেই পরের দিন গয়না পরতে হত আবার। কিন্তু যখন একটা নজিরবিহীন কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকলে কষ্টগুলো ফিকে হয়ে যায়।'
পর্দার রানি অর্পিতা যদি বাস্তবের রানি হতেন? প্রশ্ন শুনে হেসে ফেললেন অর্পিতা। তারপর বললেন, 'আমার রাজ্যে, বলা ভালো আমার দেশে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা সমস্যা হল জনসংখ্যা বৃদ্ধি। আমি রানি হলে সেটার ওপরেই কাজ করতে চাইতাম। আর হ্যাঁ, শিক্ষা। সবার শিক্ষার দিকে নজর দিতাম।' আপনি রানি হলে রাজা কে? অর্পিতার উত্তর, 'আমি নিজেকে এমন রানি হিসেবে দেখতে চাইতাম, যার হাতে সব ক্ষমতা থাকে। রাজা থাকুক বা না থাকুক।'
লম্বা শ্যুটে সেটের কোন ঘটনাটা সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে? অর্পিতা বলছেন, 'গোটা কাজটাই খুব কঠিন ছিল। এমন একটা কাজ যার চরিত্র, গল্প সবটাই কাল্পনিক, রূপকথার। কাজের দিকেই মন থাকত সকলের। তবে সেজে হালকা মেজাজে, মজা করে কাজ হত।'
'হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী' ছোটদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা। অর্পিতা বলছেন, 'এখনকার ছোটরা খুব স্মার্ট। তবে আমরা আমাদের ছোটবেলায় রূপকথার গল্প শুনেছি দিদা, ঠাকুমাদের কাছে। এখনকার ছোটরা তো পোকেমন আর ছোটা ভীমে অভ্যস্ত।বাংলা রূপকথা সম্পর্কে তাদের কোনও ধারনাই নেই। এই ছবিটা এখনকার প্রজন্মের কাছে বাংলা রূপকথাকে তুলে ধরার দায়িত্বও বহন করবে।'