Angana Roy Exclusive: ক্লাস ফোরে পাড়ার দাদাকে ভাল লাগত, বলার সাহস হয়নি: অঙ্গনা রায়
Actress Angana Roy Exclusive: প্রথম মিউজিক ভিডিওর অফার যখন এল, আনন্দে লাফিয়ে উঠেছিলেন অঙ্গনা। অনুপমের সমসাময়িক প্রাণোচ্ছল গান, তাঁর বিপরীতে যিনি অভিনয় করবেন সে দীর্ঘদিনের বন্ধু, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়
কলকাতা: পুজোর গান বলতেই তাঁর প্রথম মনে পড়ে.. 'আয় রে ছুটে আয় পুজোর গন্ধ এসেছে'। এই গানের সঙ্গে যেন জড়িয়ে রয়েছে ছোটবেলা, নস্ট্য়ালজিয়া। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে তাঁর বয়স বেড়েছে। পুজো মানে এখন শুধু পড়াশোনা বন্ধ নয়, পুজো মানে প্রেমও। তাই অনুপম রায় (Anupam Roy)-এর নতুন গান 'গা ছুঁয়ে বলছি' যখন তিনি প্রথম শুনেছিলেন, মনে হয়েছিল, অনেক বছর আগে এই গান মুক্তি পেলে তিনিও হয়তো পছন্দের মানুষটাকে বলতেন, 'গা ছুঁয়ে বলছি.. তোমায় দারুণ লাগে'।
প্রথম মিউজিক ভিডিওর অফার যখন এল, তখন যেন কার্যত আনন্দে লাফিয়ে উঠেছিলেন অভিনেত্রী অঙ্গনা রায় (Angana Roy)। অনুপম রায়ের এমন সমসাময়িক প্রাণোচ্ছল গান, তার ওপরে তাঁর বিপরীতে যিনি অভিনয় করবেন সে দীর্ঘদিনের বন্ধু, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় (Rwitobrata Mukherjee)। রাজি হয়ে গেলেন অঙ্গনা।
একদিনে শ্যুটি হয়েছে গোটা গানটার। 'গা ছুঁয়ে বলছি' মুক্তি পেয়েছে সদ্য ৭ দিন। কিন্তু এখনও যেন গানটা নিয়ে উত্তেজনায় ফুটছেন অঙ্গনা। মোবাইল ফোনের ওপার থেকে এবিপি লাইভকে অঙ্গনা বলছেন, 'অনুপমদার গানের আত্মাই হল সাধারণ ভাষায় সাধারণ ঘটনা বলে মানুষের মন ছুঁয়ে ফেলা। শ্যুটিং করতে করতে যখন দৃশ্য থাকছে না তখনও আমি আর ঋতব্রত গুন গুন করছিলাম গানটা। একেবারে কানে গেলে থাকার মতো সুর। আমি যদি এই মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় না করতাম, তাহলেও এই গানটার প্রশংসা করতাম। আশা করছি পুজো মণ্ডপে এই গানটা শুনতে পাব।'
গান জুড়ে, সুরে কথায় যেন প্রেম মোড়া। আর এই প্রেম যেন নব্বইয়ের দশকের। শ্যুটিং করতে গিয়ে নিজের জীবনের সঙ্গে মেলাতে পারলেন অঙ্গনা? হেসে ফেলে অঙ্গনার উত্তর, 'এখনই একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল। আমার ছোটবেলা কেটেছে আসানসোলে, স্কুলের তাগিদেই কলকাতা আসতে হত। তখন এই শহরটাকে মোটেই ভালো লাগত না। পুজো মানেই আসানসোল যাওয়া, ওখানকার বন্ধুরা। আমাদের পাড়ায় এক দাদা ছিল। তখন আমার বড়জোর ক্লাস ফোর বা ফাইভ। পুজোর ছুটিতে আসানসোল ফেরার টানের একটা অন্যতম কারণ ছিল সেই দাদাকে দেখতে পাব। একবার মনে আছে মণ্ডপে গেছি বন্ধুদের সঙ্গে, দেখি সেই দাদা বসে আছে। আমাদের দেখে ওরা ডেকে নিল। সেই দাদার তখন আমার দিকে নজরও নেই। পাড়ার ছোট্ট মেয়ের মতোই দেখত আমায়। কিন্তু আমার তখন... মণ্ডপের মাইকে বাজছে 'তেরি আঁখে ভুলভুলাইয়া..' আর আমি বিভোর হয়ে তাকিয়ে আছি সেই দাদাটার দিকে। এক্কেবারে ছোটবেলায় বোধহয় এত হিসেব নিকেশ থাকে না, প্রেমের অনুভূতিও বোঝার বয়স হয় না। থাকে কেবল মুগ্ধতা আর একরাশ সারল্য। সেই দাদাটাকে কখনও বলার সাহস হয়নি.. 'গা ছুঁয়ে বলছি.. তোমায় দারুণ লাগে'।'