Aparajito: 'অপরাজিত' দেখার পাঁচদিন পর কেমন লেগেছে জানালেন গৌরব চক্রবর্তী
ইতিমধ্যেই 'অপরাজিত' (Aparajito) ছবিকে ঘিরে প্রশংসার বন্যা বইছে। আর ছবিটি দেখার পাঁচদিন পর কেমন লেগেছে তা জানালেন আর এক টলিউড অভিনেতা গৌরব চক্রবর্তী।
কলকাতা: গত ১৩ মে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে বহু প্রতীক্ষিত বাংলা ছবি 'অপরাজিত' (Aparajito)। পরিচালক অনীক দত্তর এই ছবিতে কিংবদন্তি সত্যজিৎ রায়ের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে জিতু কমলকে। ইতিমধ্যেই এই ছবিকে ঘিরে প্রশংসার বন্যা বইছে। আর ছবিটি দেখার পাঁচদিন পর কেমন লেগেছে তা জানালেন আর এক টলিউড অভিনেতা গৌরব চক্রবর্তী (Gaurav Chakraborty)।
'অপরাজিত' কেমন লাগল গৌরব চক্রবর্তীর?
এদিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে দীর্ঘ একটি পোস্ট করেন গৌরব চক্রবর্তী। তিনি লেখেন, 'অপরাজিত' দেখে অনেক কিছু লিখতে ইচ্ছে করছিল। কিন্তু কথাগুলো ঠিক গুছিয়ে উঠতে পারছিলাম না। এই ভাবতে ভাবতে হঠাৎ অনুভব করলাম ছবিটা দেখার পর ৫টা দিন পেরিয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ছবিটা দর্শকের মন জয় করে ফেলেছে। লোকে হইহই করে হল ভরিয়ে ছবিটা দেখছেন। বাংলা ছবির জন্য দারুণ খবর। ছবি যে আমার দারুণ লেগেছে, তা বলাই বাহুল্য। এই ধরনের সুস্থ, সিনসিয়ার ছবি সকলের ভালোলাগারই কথা। তবে ব্যাপারটা শুধু ভালোলাগাতে আটকে থাকেনি।'
আরও পড়ুন - Top Entertainment News Today: একনজরে আজকের সেরা ১০ বিনোদনের খবর
তিনি আরও লেখেন, 'সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে আমার ফ্যাসিনেশন বহুদিনের। ফিল্ম ইনস্টিটিউটে পড়ার সময়ে তা আরও মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। তাঁর লেখা এবং তাঁর ব্যাপারে লেখা প্রায় সমস্ত বই পড়ে ফেলেছি। কয়েকদিন আগে আমার বন্ধু চন্দ্রাশিস রায় (ঘটনাচক্রে এই ছবিতে অপরাজিত রায়ের কন্ঠস্বর যাঁর) আমাকে একটা বই রেকমেন্ড করে। 'My Years With Apu: by Satyajit Ray'। আমি সঙ্গে সঙ্গে বইটা কিনে পড়ে ফেলি। তাতে একটা ঘটনার কথা উল্লেখ করা আছে। যেটা খানিকটা এরকম। অপু বেশে সুবীর ব্যানার্জী তাঁর দিদিকে খুজতে খুজতে আসছেন। এদিক ওদিক তাকাতে তাকাতে। কিন্তু সুবীরবাবু কিছুতেই এদিক ওদিক তাকাচ্ছেন না। অনেকবার বলা স্বত্ত্বেও হচ্ছে না। তখন সত্যজিৎবাবু একটা উপায় বার করলেন। ইউনিটের সকলে বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে পড়লেন আর ঠিক যখন সুবীরবাবু হেটে আসছেন তখন একেকদিক থেকে একেকজন তার নাম ধরে ডাকা শুরু করলেন। উনি তাঁদের দিকে তাকাতেই শট পেয়ে গেলেন পরিচালক। ইন্টারেস্টিং ঘটনা। ইন্টারেস্টিং। কিন্তু কোনওভাবেই ইমোশনাল নয়। অথচ, এই দৃশ্য যখন 'অপরাজিত' ছবিতে দেখছি তখন বেশ বুঝতে পারছি গলার মধ্যে একটা দলা তৈরি হচ্ছেয একটা হাততালি দেওয়ার প্রবল ইচ্ছে তৈরি হচ্ছে। এই অনুভূতি ব্যাখ্যা করা খুব কঠিন। আর আমার মতে এখানেই এই ছবির সাফল্য। এত সুন্দরভাবে তৈরি, এত সুন্দর কাস্টিং, এত মেদহীন স্ক্রিপ্ট, এত সাবলীল অভিনয়, যে অন্তর থেকে নাড়া দিতে বাধ্য।'