Byomkesh: 'দম ফেলার সময় নেই', ব্যোমকেশের শ্যুটিং ফ্লোরের অন্দরের গল্প বললেন অরিন্দম
Byomkesh Shooting: আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্যুটিং ফ্লোর থেকে টুকরো ছবি ভাগ করে নিয়েছেন অরিন্দম শীল। সেখানে দেখা যাচ্ছে, পাওলি দামের এর সঙ্গে শ্যুটিংয়ের দৃশ্য সারছেন তিনি>
কলকাতা: এই প্রথম ব্যোমকেশের ছবির সবটাই শ্যুটিং হচ্ছে কলকাতায়। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Sharadindu Bandyopadhyay) অসমাপ্ত গল্প সমাপ্ত হবে পর্দায়। অরিন্দম শীল ও পদ্মনাভ দাশগুপ্তের (Arindam Sil and Padmanabha Dasgupta) হাত ধরে ফের পর্দায় ফিরছে সত্যান্বেষী। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'বিশুপাল বধ' (‘Bishupal Bodh’) গল্প অবলম্বনে তৈরি হচ্ছে ব্যোমকেশ বক্সীর নতুন ছবি। ৪ বছর পরে পর্দায় ব্যোমকেশকে ফেরাচ্ছেন অরিন্দম-আবীর।
আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্যুটিং ফ্লোর থেকে টুকরো ছবি ভাগ করে নিয়েছেন অরিন্দম শীল। সেখানে দেখা যাচ্ছে, পাওলি দামের (Paoli Dam)-এর সঙ্গে শ্যুটিংয়ের দৃশ্য সারছেন তিনি। এই ছবিতে পাওলির চরিত্রের নাম সুলোচনা। তাঁকেও দেখা গেল তৎকালীন সময়ের মতো ডুরে শাড়ি আর খোঁপা সাজে। এর আগেই অবশ্য সোশ্য়াল মিডিয়ায় নিজের চরিত্রের লুক শেয়ার করে নিয়েছিলেন পাওলি। ভিডিও শেয়ার করে অরিন্দম লিখেছেন, 'পুরো দম এ ব্যোমকেশ হত্যামঞ্চর শুটিং। দম ফেলার সময় নেই ....'
অরিন্দম শীলের শেয়ার করে নেওয়া ছোট্ট ঝলকে যে ঘরের দৃশ্য দেখা যাচ্ছে তাও বেশ সাবেকি। কড়ি বরগার ছাদ, আর দেওয়ালে বিশাল বড় পাওলির হাতে আঁকা ছবি। অন্যদিকে পরিচালককেও দেখা গেল বেশ খোশমেজাজে। শ্যুটিংয়ের ফাঁকে অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গে হাসি-মজায় মজে রয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Aye Khuku Aye: বাবার ছবি মুক্তি, প্রসেনজিৎকে কী লিখছেন ছেলে মিশুক?
ব্যোমকেশ হত্যামঞ্চ অরিন্দম শীল পরিচালিত চতুর্থ ব্যোমকেশ বক্সী। ১৯৭১ সালের নকশাল আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে লেখা এই গল্পকে তুলে ধরা হবে পর্দায়। গল্পের শুরু একটি নাটকের মঞ্চ থেকে। ভরা প্রেক্ষাগৃহে নাটকের মঞ্চে একটি খুন হয়। শুধুই একটা খুন? নাকি তার পিছনে লুকিয়ে রয়েছে কোনও প্রেম, চাহিদা আর বিশ্বাঘাতকতার গল্প। ঘটনার অভ্যন্তরে পৌঁছে তার আসল কারণ খুঁজে বের করবে ব্যোমকেশ। এর আগে অরিন্দম শীল পরিচালিত ৩টি ছবি ছিল 'ব্যোমকেশ পর্ব', 'ব্যোমকেশ গোত্র' ও 'হর হর ব্যোমকেশ'।
ছবি প্রসঙ্গে অরিন্দম শীল বলছেন, 'আমি এখনও পর্যন্ত যতগুলো ছবি বানিয়েছি, ব্যোমকেশ সবসময়েই তার মধ্যে বিশেষভাবে কাছের। আরও একটা কথা আমি অবশ্যই বলব, এসভিএফ না থাকলে এই কাজ করা সম্ভব ছিল না। ব্যোমকেশের মত ছবি বানাতে যে বিশাল প্রেক্ষাপট প্রয়োজন, তা এসভিএফ ছাড়া অসম্ভব। ক্যামেলিয়া প্রোডাকশনও এই ছবির খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ।'