Dilip Kumar Death: প্রয়াত দিলীপ কুমার, বর্ষীয়ান অভিনেতার মৃত্যুতে বলিউডে শোকের ছায়া
প্রয়াত প্রবীণ অভিনেতা দিলীপকুমার
মুম্বই: প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা দিলীপ কুমার। দিলীপ কুমারের মৃত্যুতে বলিউডে শোকের ছায়া। দিলীপ কুমারের দীর্ঘদিনের সহকর্মী তথা অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন শোকপ্রকাশ করেছেন। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, "একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে হারিয়ে ফেললাম। যখনই ভারতীয় সিনেমার ইতিহাস লেখা হবে, তখন দিলীপ কুমারের আগে এবং দিলীপ কুমারের পরে বলে উল্লেখ করা হবে। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করছি।"
এদিন ট্যুইটারে ভির দাস লিখেছেন, আমরা একজন কিংবদন্তীকে হারালাম। আত্মার শান্তি কামনা করি।
শোকপ্রকাশ করেছেন অভিনেতা অক্ষয় কুমার। তিনি লিখেছেন, "সারা বিশ্ববাসীর কাছে অন্য কেউ হিরো হতে পারেন। তবে আমাদের কাছে দিলীপ কুমার হিরো। তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের একটা যুগকে সঙ্গে নিয়ে গেলেন। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল।"
প্রবীণ অভিনেতা দিলীপ কুমারের প্রয়াণে সোশাল মিডিয়ায় শোক জ্ঞাপন করে অজয় দেবগন লিখেছেন, "কিংবিদন্তী অভিনেতার সঙ্গে বহু সময় কাটিয়েছি। কিছু মুহূর্ত ব্যক্তিগত, কখনও আবার মঞ্চে। তাঁর চলে যাওয়া আমি মেনে নিতে পারছি না। অভিনেতা হিসেবে তিনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান, সময়ের উর্ধ্বে। সায়রাজীর প্রতি আমার গভীর সমবেদনা।"
ট্যুইটারে সোনু সুদ লিখেছেন, "কিংবদন্তিরা কোথাও যান না। শুধুমাত্র মঞ্চ পরিবর্তন করেন তাঁরা।"
অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী লিখেছেন, কেউ আপনার মতো নয়। আত্মার শান্তি কামনা করি।
হানসাল মেহেতা ট্যুইট করে লিখেছেন, আপনি সর্বত্তম। আর কেউ দিলীপ কুমার হবেন না।
মুম্বইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালে আজ সকাল সাড়ে ৭টায় তাঁর মৃত্যু হয়। বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। অসুস্থতার কারণে গত এক বছর ধরে তাঁকে একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। শ্বাসকষ্টের কারণে শেষবার ভর্তি হয়েছিলেন গত বুধবার। রেখে গেলেন স্ত্রী সায়রা বানুকে।
অবিভক্ত ভারতের পেশোয়ারে জন্ম দিলীপ কুমারের। বাবা-মা নাম রেখেছিলেন ইউসুফ। ১৯৩০ সালে পরিবার নিয়ে তৎকালীন বম্বে-তে চলে আসেন লালা গুলাম সারওয়ার আলি খান। সেখানেই ইউসুফের বড় হয়ে ওঠা। পড়াশোনা শেষ করেই পুণেয় চলে যান ইউসুফ। সেখানে ক্যান্টিকে কাজ করতে শুরু করেন। প্রায় পাঁচ হাজার টাকা জমিয়ে ফিরে আসেন মুম্বই। সেখানে রোজগারের উপায় খুঁজছিলেন ইউসুফ। রোজগারের এই তাগিদই তাঁকে নিয়ে আসে বম্বে টকিজের দোরগোড়ায়। ইউসুফকে দেখে বেশ পছন্দ হয় দেবিকা রানির। মাসিক ১২৫০ টাকার বিনিময়ে তাঁকে চাকরিতে বহাল করা হয়। সেখানে দিলীপের দেখা হয় শশধর মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। দিলীপ-শশধর দু’জনেই অশোক কুমারকে চিত্রনাট্য লেখার কাজে সাহায্য করতেন। তবে দেবিকা রানি ইউসুফকে অভিনয়ের জোর দিতে বলেন। তিনিই দেন দিলীপ কুমার নাম।