Bratya Basu Exclusive: মোশারফ রাজি না হলে, নিজেকেই হুব্বার চরিত্রে কাস্ট করতাম: ব্রাত্য বসু
Bratya Basu Exclusive: 'সুপ্রতীমের লেখাটা পড়ে আমার মনে হয়েছিল, এই গল্পটার মধ্যে একটা বিস্ফোরক বারুদ ঠাসা সিনেমার উপাদান লুকিয়ে রয়েছে। এমন ছবি, চরিত্র মানুষ দেখতে পছন্দ করেন', বলছেন ব্রাত্য
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: তাঁর পরিচালনায় উঠে আসে ভিন্ন স্বাদের গল্প। কখনও প্রেম, কখনও আবার অন্ধকার জগতের গল্প। সামনেই মুক্তি পাচ্ছে এমন এক ছবি, যেখানে উঠে এসেছে এক 'হুব্বা'-র গল্প। 'শ্যামল হুব্বা'-র গল্প। এক গ্যাংস্টারের জীবনকে পর্দায় তুলে ধরেছেন ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। ছবি মুক্তির আগে, ছবি তৈরির গল্প এবিপি লাইভকে শোনালেন খোদ পরিচালক।
সুপ্রতীম সরকারের 'আবার গোয়েন্দাপীঠ' বইয়ের অবলম্বনে তৈরি হয়েছে 'হুব্বা'। মুখ্যভূমিকায় দেখা যাবে বাংলাদেশের অভিনেতা মোশারফ করিম (Mosharraf Karim)-কে। কলকাতায় এত অভিনেতা থাকতেও, কেন মুখ্যভূমিকায় মোশারফ করিমকেই বেছে নিয়েছিলেন ব্রাত্য? পরিচালক বলছেন, 'আমি এর আগের ছবিটা করেছিলাম ওঁর সঙ্গে। সেই সময়ে আমি সুপ্রতীম সরকারের এই বইটাই পড়ছি। মনে হয়েছিল, মোশারফ এমন একজন বিরল প্রজাতির অভিনে যাঁর সঙ্গে বারে বারে কাজ করা উচিত। গোটা চিত্রনাট্যই ওকে ভেবে লেখা। দ্বিতীয় কারও কথা আমার মাথাতে আসেওনি। কলকাতার অনেকেই হয়তো চরিত্রটা করতে পারতেন, তবে মোশারফ না হলে এই চরিত্রটায় নিজেকে নিজে কাস্ট করতাম।'
কেন নতুন ছবি তৈরির জন্য, বাস্তবের চরিত্র 'হুব্বা শ্যামল'-কে বেছে নিয়েছিলেন পরিচালক? ব্রাত্য বলছেন, 'সুপ্রতীমের লেখাটা পড়ে আমার মনে হয়েছিল, এই গল্পটার মধ্যে একটা বিস্ফোরক বারুদ ঠাসা সিনেমার উপাদান লুকিয়ে রয়েছে। এমন ছবি, চরিত্র মানুষ দেখতে পছন্দ করেন। তবে সিনেমা তৈরি করতে গিয়ে আমি গল্পটাকে কাঠামো হিসেবে ব্যবহার করেছি কেবল। তার সঙ্গে রক্তমাংস মিশিয়ে একটা প্রতিমা তৈরি হয়েছে। ছবিটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক একটা গল্প।'
'রাস্তা' ছবিটি তৈরি করে একসময় পরিচালক হিসেবে নজর কেড়েছিলেন ব্রাত্য। এতদিন পরে থ্রিলার গল্প বলতে গিয়ে সেখানে কেন উঠে এল সেই দুর্নীতির কথাই? পরিচালক বলছেন, 'রাস্তা ছবিটির জায়গাটা 'হুব্বা'-র মতো উল্লিখিত ছিল না। ধারা ছাড়া, কাহিনীবিন্যাস থেকে শুরু করে চরিত্রভাবনা, এই দুটি ছবির মধ্যে কোনও মিলই নেই।' ব্রাত্য বসুর গল্পে বারে বারে উঠে এসেছে বাম আমলের দুর্নীতির কথা। এটা কি কোনও কৌশলী বার্তা? পরিচালকের উত্তর, 'জমানা ধরে সিনেমা হয় না। সিনেমায় জমানা আসে। সিনেমা বা থিয়েটারে একটা বিশেষ সময়কাল আসে। কিন্তু এই জমানা, ওই জমানার গল্প বলতে হবে, সিনেমার এখনও তেমন দুর্দশা আসেনি। উইঙ্কল-ট্যুইঙ্কল যেমন আমার কাছে কখনোই কোনও পলিটিক্যাল থিয়েটার ছিল না। এর ব্যাখ্যায় আমার কোনও হাত নেই। কোনও বিশেষ জমানা নয়, আমি তার বাইরের গল্প বলতে চাই। '
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।