Janmashtami 2023: 'মাকে লুকিয়ে তালের বড়া করতে গিয়ে ছড়িয়েছিলাম,' স্মৃতির সরণিতে হাঁটলেন অপরাজিতা
Aparajita Adhya Exclusive: তালের বড়া, মালপোয়া, তাল ফুলুরি, তালের ক্ষীর রয়েছে এই তালিকায়। কী পদ্ধতিতে ভোগ রান্না করা হয়? সেই রেসিপিও ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী।
কলকাতা: ‘প্রথমবার তালের বড়া করতে গিয়ে ছড়িয়েছিলাম।‘ জন্মাষ্টমী (Janmashtami 2023) বলতেই তাঁর প্রথম মনে পড়ে এই স্মৃতি। খেতে, খাওয়াতে বরাবরই ভালবাসেন। সদ্য ক্লাস এইটেই অপরাজিতার ইচ্ছে ছিল মাকে লুকিয়ে তালের বড়া করে তাক লাগিয়ে দেবেন। কিন্তু তা তো হলই না উপরন্তু বাড়ল কাজ। স্মৃতিচারণায় এমন মজার স্মৃতি ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya)।
জন্মাষ্টমী (Janmashtami 2023) মানেই মহা সমারোহে শ্রীকৃষ্ণের পুজো। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণ পক্ষের অষ্টমী তিথিতে ও রোহিণী নক্ষত্র যোগে কৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল। বলা হয় ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার শ্রীকৃষ্ণ, মথুরার কারাগারে জন্ম নিয়েছিলেন মাতা দেবকীর গর্ভে৷ সেই তিথি মেনে জন্মাষ্টমী পালন করা হয়। মথুরা নয়, শ্রীকৃষ্ণের লীলাক্ষেত্র বৃন্দাবন এবং দ্বারকা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই জন্মাষ্টমীর ব্রত পালন করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি বাংলার ঘরে ঘরে বালগোপালের সেবা করেন অনেকে।
জন্মাষ্টমী পালনের নিয়ম তো আছেই। কিন্তু সেই সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভোগ রান্নার স্মৃতি। অভিনেত্রী বলেন, “হাওড়ায় আমার বাবার বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত রাধাগোবিন্দ। জন্মাষ্টমী যে খুব আড়ম্বরের সঙ্গে পালন করা হত, তা কিন্তু নয়। তবে তালের কিছু না কিছু হতই। তালের বড়া, তালের ফুলুরি হতই।’’ শ্বশুর বাড়িতে মা লক্ষ্মীর আরাধনা হয়। জন্মাষ্টমীর দিন বাবা লোকনাথের জন্মতিথি। ওইদিন লুচি ভোগ, তালের পিটুলি, তালের পীঠে দেওয়া হয়।
কেমন ছিল প্রথমবার ভোগ তৈরির অভিজ্ঞতা?
অভিনেত্রী জানালেন, “প্রথমবার যখন তালের বড়া বানাতে যাই, মা সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না। তাল আর কলা দিয়ে শেষমেশ কিছুই করতে পারিনি। জঘন্য হয়েছিল। বাবার সঙ্গে বানাতে গিয়ে সেটা ছড়িয়েছিলাম। একেবারে অখাদ্য হয়েছিল। তাল ছাঁচার একটা কায়দা থাকে। নাহলে তেতো হয়ে যায়। তখন ক্লাস এইট বা নাইনে পড়ি।’’
ভোগ ছাড়া বালগোপালের আরাধনা অসম্পূর্ণ। তালের বড়া, মালপোয়া, তাল ফুলুরি, তালের ক্ষীর রয়েছে এই তালিকায়। কী পদ্ধতিতে ভোগ রান্না করা হয়? সেই রেসিপিও ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী।
- তাল ছেঁচে তার সঙ্গে কলা মেখে তালের বড়া করা হয়। তবে চিনি নয় গুড় দিয়ে করা হয় এই বড়া। এতে স্বাদও অন্যরকম হয়।
- তাল ছাঁচার পর কাঁদ রেখে দেওয়া হয়। তা দিয়ে হয় তালের পুলি। ঠিক যেমনটা দুধ পুলি হয় পার্বণে। তেমনটাই। তাল আর চালের গুড় দিয়ে মেখে ভেতরে দেওয়া হয় নারকেলের পুর।
- এর পাশাপাশি হয় তালের রুটি। বড়া তৈরির যে গোলাটা তা দিয়ে পাটিসাপ্টার মতো করে তালের রুটিও বানানো হয়।
আরও পড়ুন: National Nutrition Week: রেস্তোরাঁতেও নিরামিষ পদের বাজিমাত! অতুলনীয় স্বাদের সঙ্গে পুষ্টিগুণে ভরপুর