National Nutrition Week: রেস্তোরাঁতেও নিরামিষ পদের বাজিমাত! অতুলনীয় স্বাদের সঙ্গে পুষ্টিগুণে ভরপুর
Veg Items: আমাদেরই আশেপাশে এমন অনেক রেস্তোরাঁ আছে যেখানে আমিষ পদের পাশাপাশি রয়েছে একাধিক নিরামিষ পদও? এই পদগুলি কেবল স্বাদে দুর্দান্ত তাইই নয়, এদের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণও। রইল এমনই কিছু সন্ধান।
কলকাতা: রেস্তোরাঁ (Restaurant) মানেই মশলাদার খাবার, সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের মাছ-মাংসের পদ, এসবের বাইরে আমরা বাঙালিরা সাধারণত ভাবি না। কিন্তু জানেন কি, আমাদেরই আশেপাশে এমন অনেক রেস্তোরাঁ আছে যেখানে আমিষ পদের পাশাপাশি রয়েছে একাধিক নিরামিষ পদও (vegetarian items)? এই পদগুলি কেবল স্বাদে দুর্দান্ত তাইই নয়, এদের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণও। রইল এমনই কিছু সন্ধান।
'৬ বালিগঞ্জ প্লেস'-এর (6 Ballygunge Place) মোচার পাতুরি
বাঙালির অন্যতম পছন্দের এই রেস্তোরাঁর বেশ জনপ্রিয় নিরামিষ পদ 'মোচার পাতুরি' (Mochar Paturi)। বাঙালির নিরামিষ পদের এই নিত্যদিনের সঙ্গী মোচার একাধিক পুষ্টিগুণ রয়েছে। যে কোনও রকমের ইনফেকশন দূরে রাখে মোচা। মেয়েদের ঋতুচক্র স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা থেকে দূরে রাখে মোচা। শরীরে আয়রনের পরিমাণ বাড়ায়, মোচায় ফাইবারের পরিমাণ বেশি ফলে হজমে সাহায্য করে। হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখে, খয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। এটি উদ্ভিজ প্রোটিনের উৎস এবং এতে প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড মেলে। রেচন ক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে, প্রদাহ রুখতে, এবং এতে উপস্থিত ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন, কপার, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম একাধিক শারীরবৃত্তীয় কাজ সহজ করতে প্রয়োজনীয়।
রেস্তোরাঁর শেফ সুশান্ত সেনগুপ্তর কথায়, 'বাঙালি নিরামিষ ক্যুইজিন নিজের চিহ্ন তৈরি করতে পেরেছে যা পুরো ক্যুইজিনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই রন্ধনপ্রণালীর ক্ষেত্রে বেশিরভাগ অবদান বাংলার বিধবাদের। তাঁরাই যেহেতু একসময় বেশিরভাগ বাড়ির রান্নাঘর পরিচালনা করতেন ফলে তাঁদের হাত ধরে প্রচুর নিরামিষ পদের আবিষ্কারও হয়। আমাদের রেস্তোরাঁয় রয়েছে এমন বেশ কিছু জনপ্রিয় পদ যেমন, মোচার পাতুরি, ছানার কালিয়া, ছানার মালাইকারি, ধোকার ডালনা, বেগুন বাসন্তি, ভেজ পাতুরি ইত্যাদি।'
কীভাবে বানাবেন মোচার পাতুরি?
উপকরণ হিসেবে প্রয়োজন পড়বে মোচা, ৪ টেবিলচামচ সর্ষে বাটা (দুই ধরনের), ৫টা কাঁচা লঙ্কা, অর্ধেক নারকেল কোরা, প্রয়োজন মতো হলুদ, সর্ষের তেল, স্বাদমতো নুন, এক চিমটে চিনি আর ৪টি কলাপাতা।
প্রথমে ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে মোচাটা কেটে ফেলতে হবে। এরপর ফুটন্ত জলে সেটা দিয়ে সঙ্গে অল্প হলুদ, সর্ষের তেল দিয়ে সরিয়ে রাখতে হবে। সর্ষে, লঙ্কা, হলুদ ও নুন দিয়ে একটা পেস্ট বা মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এবার একটি পাত্রে মোচা নিয়ে তার সঙ্গে সর্ষের পেস্ট, সর্ষের তেল, লঙ্কা, নুন, চিনি আর নারকেল কোরা দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণটি এবার কলাপাতায় ভাল করে মুড়ে একটা সরু কাঠি বা টুথপিক দিয়ে গেঁথে বন্ধ করে দিতে হবে। এবার একটি প্যানে হালকা তেল দিয়ে এটিকে ভাল করে রোস্ট করতে হবে যতক্ষণ না কলাপাতা রং বদলে গাঢ় বাদামি হয়ে যাচ্ছে। তাহলেই তৈরি আপনার মোচার পাতুরি, গরম ভাতের সঙ্গে খেতে লাগবে দারুণ।
তথ্য ও ছবি সৌজন্য: রেস্তোরাঁ
'কলকাতা সেন্টার ফর ক্রিয়েটিভিটি ক্যাফে'র (KCC Cafe) ক্যারট লেন্টিল স্যুপ
শহরের বুকে তৈরি এই ক্যাফে অবশ্য সম্পূর্ণই নিরামিষ। তাদের বিস্তীর্ণ মেনুর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় দুই পদ 'ক্যারট লেন্টিল স্যুপ' (Carrot Lentil Soup)। ক্যাফের শেফ সুব্রত কুণ্ডুর কথায়, এই দুই পদই তাঁদের ক্রেতারা খুব পছন্দ করেন এবং সুস্বাদু হওয়ার পাশাপাশি এগুলি পুষ্টিগুণেও ভরপুর।
প্রথমেই আসা যাক 'ক্যারট লেন্টিল স্যুপ'-এর কথায়। লেন্টিল অর্থাৎ যাকে সাধারণত আমরা মুসুর ডাল বলি, তাতে ফাইবারের পরিমাণ প্রচুর, সেই সঙ্গে থাকে ফোলেট, পটাসিয়ামও। যার ফলে এই ডাল হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে, নিয়ন্ত্রণে রাখে উচ্চ রক্তচাপ ও কলেস্টেরল। এছাড়া আয়রন, ভিটামিন বি১-এর উৎস এই ডাল যা হৃদস্পন্দ স্বাভাবিক রাখে। অন্যদিকে ক্যারট অর্থাৎ গাজর, চোখ ভাল রাখে। এছাড়া অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টসের উৎস গাজর। দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ করা, রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখা, এবং ওজন সংক্রান্ত সমস্যাও ঠিক করে।
কীভাবে বানাবেন ক্যারট লেন্টিল স্যুপ?
উপকরণ হিসেবে লাগবে ২ চামচ গোটা জিরে, এক চিমটে চিলি ফ্লেকস, ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ৬০০ গ্রাম মতো গাজর ভাল করে ধুয়ে টুকরো করা (খোসা ছাড়াননোর প্রয়োজন নেই), ১৪০ গ্রাম মুসুর ডাল, অনেকটা গরম সবজি সেদ্ধ করা স্টক, ১২৫ মিলি দুধ।
প্রথম একটা বড় সসপ্যান বা তাওয়া গরম করে জিরে, চিলি ফ্লেক্স দিয়ে ১ মিনিট মতো শুকনো ভাজতে হবে। গন্ধ বেরিয়ে গেলে বন্ধ করে দিতে হবে। এর থেকে অর্ধেক চামচ মতো ভাজা মশলা তুলে আলাদা রাখতে হবে। এবার প্যানে ২ চামচ অলিভ অয়েল, কেটে রাখা গাজর, মুসুর ডাল, ভেজিটেবিল স্টক, দুধ দিয়ে ফোটাতে হবে। ১৫ মিনিট মতো আঁচ কমিয়ে ফোটাতে হবে যতক্ষণ না ডাল নরম হয়ে যাচ্ছে। এরপর কাঁটা দিয়ে বা স্টিক ব্লেন্ডার দিয়ে ঘাঁটতে হবে ডালটা। বা আপনি চাইলে এমনিও রেখে দিতে পারেন। স্যুপ তৈরি, খেতে পারেন পাঁউরুটি দিয়ে।
তথ্য ও ছবি সৌজন্য: রেস্তোরাঁ ও গুগল
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )