পরনের গোলাপি টি শার্টে লেখা, ‘লাভ ইজ পাওয়ার’! ভাইকে নিয়ে নতুন বাড়ি খুঁজতে বেরলেন রিয়া
সোমবার সকালে রিয়া ও তাঁর ভাই শৌভিক হাজিরা দেন ন্যাশনাল কনট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)অফিসে । সুশান্ত মৃত্যুর মামলায় সামনে উঠে আসা মাদক তদন্তে জেলবন্দি হন রিয়া। আপাতত তিনি জামিনে মুক্ত।
মুম্বই: নতুন আস্তানা খুঁজছেন রিয়া চক্রবর্তী। মুম্বইয়ের বান্দ্রায় ভাই শৌভিককে নিয়ে তাঁকে নতুন বাড়ির খোঁজ করতে দেখা গিয়েছে। প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের বাবা কেকে সিংহ ছেলের আত্মহত্যা মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করায় এখনও ভালোমতোই প্রচারের আলোতে রয়েছেন রিয়া। তাই রিয়া ও তাঁর ভাইয়ের পিছু নেন একাধিক চিত্রসাংবাদিক। যদিও বাড়ি খোঁজার মাঝেই তাদের উদ্দেশ্যে রিয়া বলেন, ‘দয়া করে আমাদের পিছু নেওয়া বন্ধ করুন।’
সোমবার সকালে রিয়া ও তাঁর ভাই শৌভিক হাজিরা দেন ন্যাশনাল কনট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)অফিসে । সুশান্ত মৃত্যুর মামলায় সামনে উঠে আসা মাদক তদন্তে জেলবন্দি হন রিয়া। আপাতত তিনি জামিনে মুক্ত। জামিনের শর্ত অনুযায়ী ৬ মাস ধরে প্রত্যেক মাসের প্রথম সোমবারে তাঁর ও তাঁর ভাইয়ের হাজিরা দেওয়ার কথা এনসিবিতে। রিয়া ও তাঁর ভাই বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে এদিন হাজির হয়েছিলেন এনসিবি-র অফিসে।
হাজিরার আগে গতকাল নতুন বাড়ি খুঁজতে বেরিয়েছিলেন রিয়া। গতকালের মতো আজও তাঁর পরনে ছিল গোলাপি টি-শার্ট, যাতে লেখা ছিল ‘লাভ ইজ পাওয়ার’।ভালোবাসার শক্তি নিয়েই তিনি তাঁর লড়াই চালাচ্ছেন বলেই হয়তো বার্তা দিয়ে চেয়েছেন রিয়া। এর আগেও এনসিবি অফিসে হাজিরার সময়ে তাঁর গায়ে থাকা কালো টি-শার্টের লেখা নিয়ে চর্চা হয়েছিল। ‘স্ম্যাশ প্যাট্রিয়ার্কি’ তথা পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই বলেই দিয়েছিলেন বার্তা।
গত জুনে প্রয়াত হন সুশান্ত। প্রাথমিক তদন্তে প্রবল মানসিক সমস্যা থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে পুলিশ তদন্তে উঠে এলেও যা মেনে নিতে চাননি একাধিক এসএসআর ভক্ত। সুশান্তের পরিবারের সুরেই একাংশের বক্তব্য ছিল, বাধ্য হয়েই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি, যার পর তদন্তে সামনে উঠে আসে মাদকযোগ।
রিয়াকে ২৮ দিন কাটাতে হয়েছিল হাজতবাসে। পরে অবশ্য বিশেষ আদালতে রিয়াকে জামিন দেয়। গোটা তদন্তে প্রয়োজনীয় সব সাহায্য করার প্রতিশ্রতি দেন রিয়া।সম্প্রতি রিয়ার নতুন ছবি চেহরে-য় তাঁর সঙ্গে কাজ করা পরিচালক রুমি জাফরি এক সাক্ষাত্কারে জানান, জেলজীবন রিয়াকে একেবারে বিধ্বস্ত করে দিয়েছে। ওর কাছে মানসিক যন্ত্রণাময় ছিল বছরটা। অবশ্যই বছরটা সবার ক্ষেত্রেই খারাপ কেটেছে। কিন্তু ওর যন্ত্রনাটা ছিল অন্য ধরনের। ভাবা যায়, একটা সম্পন্ন মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়েকে একটা মাস জেলে কাটাতে হল? ওর মনের জোর পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছে। ও বেশি কথা বলে না। সব ব্যাপারে কেমন যেন উদাসীন। যা হল, সেজন্য ওকে দোষ দেওয়া যায় না। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ঠিক হোক। আমি নিশ্চিত, রিয়ার অনেক কিছু বলার আছে।