Prosenjit Chatterjee Exclusive: 'গুমনামি' দেখেছেন, এবার প্রসেনজিতের কাছে 'দশম অবতার' দেখার ইচ্ছাপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
Dawshom Awbotaar Exclusive: সুসজ্জিত প্রতিমা নিরঞ্জনের পথে যেতে যেতে যেন দিয়ে গেল উৎসব শেষের বার্তা। মঞ্চে দেখা হতেই, প্রসেনজিৎকে অভ্যর্থনা জানান মুখ্যমন্ত্রী
তোর্ষা ভট্টাচার্য্য়, কলকাতা: আজ রেড রোডের পুজো কার্নিভালে আমন্ত্রণ ছিল তাঁর। সদ্য মুক্তি পাওয়া ছবির ব্যস্ততা সামলে, এখানে পৌঁছেও গিয়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর পাশে বসে, বাঙালি সাজে দেখেছেন গোটা অনুষ্ঠান। মঞ্চ থেকে অনুভব করেছেন, নতুন ছবি নিয়ে অনুরাগীদের উন্মাদনাও। আর, তাঁর নতুন ছবি 'দশম অবতার' নিয়ে কী বলেছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)? এবিপি লাইভের (ABP Live) সঙ্গে সেই কথা ভাগ করে নিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee)।
রেড রোডের কার্নিভালে আজ অংশ নিয়েছিল ৯৬টি পুজো কমিটি। সুসজ্জিত প্রতিমা নিরঞ্জনের পথে যেতে যেতে যেন দিয়ে গেল উৎসব শেষের বার্তা। মঞ্চে দেখা হতেই, প্রসেনজিৎকে অভ্যর্থনা জানান মুখ্যমন্ত্রী। প্রসেনজিৎ বলছেন, 'দিদি ভীষণ খুশি। উনি অসুস্থ হয়ে বাড়িতে ছিলেন কিছুদিন। তখন গুমনামি দেখেছেন। আমায় আজ বললেন, 'নেতাজীর ভূমিকায় দুর্দান্ত অভিনয় করেছো। আমি এতদিন দেখিনি। অসুস্থ ছিলাম বলে দেখলাম এখন। দশম অবতার নিয়েও অনেক কথা শুনছি। ছবিটা দেখার ভীষণ ইচ্ছা রয়েছে। অনেক সংলাপ হিট করেছে।'
বক্সঅফিসে উল্লেখযোগ্য ব্যবসা করেছে সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherjee) পরিচালিত, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee), অনির্বাণ ভট্টাচার্য্য (Anirban Bhattacharyya), যীশু সেনগুপ্ত (Jisshu Sengupta) ও জয়া আহসান (Jaya Ahsaan) অভিনীত 'দশম অবতার'। ছবির সাফল্য নিয়ে প্রসেনজিৎ বলছেন, 'অটোগ্রাফ, গুমনামি, ২২ শে শ্রাবণ... সৃজিতের সঙ্গে আমার কাজকে মানুষ কখনও ফেলে দিতে পারেননি। ছবির প্রিক্যুয়াল করা সবচেয়ে কঠিন বলে মনে হয় আমার। ১১ বছর আগের একটা চরিত্রকে পর্দায় ফিরিয়ে আনা সহজ ছিল না। তবে '২২ শে শ্রাবণ'-এর প্রবীর রায়চৌধুরী আর দশম অবতারের প্রবীর রায়চৌধুরীর মধ্যে বিস্তর ফারাক। ২২ শে শ্রাবণের প্রবীর জীবন সম্পর্কে হাল ছেড়ে দিয়েছে। আর দশম অবতারের প্রবীর ফুল ফর্মে। তখনও সে পুলিশের ডিউটি করছে। দুঁদে পুলিশ অফিসার সিরিয়াল কিলিংয়ের তদন্ত করছে। সঙ্গে তার থেকে ছোট আরও একজন পুলিশ অফিসার। আমায় এই ছবিটা দেখে, কলকাতা পুলিশের একজন অফিসার প্রায় মধ্যরাতে ফোন করেছিলেন। বললেন, 'এতদিন পরে আমরা একজন সত্যিকরের পুলিশ অফিসারকে দেখলাম। আপনার শরীরী ভাষা, সংলাপ.. সমস্ত একেবারে বাস্তব।' বাংলার পুলিশ যাকে বলে.... সৃজিতের এটাই পরিকল্পনা ছিল। হিরো নয়.. ও চেয়েছিল এক্কেবারে সত্যিকরের পুলিশ অফিসার।'
আরও পড়ুন: Ditipriya Roy: মনখারাপ হলে সঙ্গী হয় রঙ-তুলি, দিতিপ্রিয়া পরিচয় করালেন নিজের অন্য এক সত্ত্বার সঙ্গে