'Lukochuri': রাস্কিন বন্ডের ছোটগল্প অবলম্বনে তৈরি ছবি 'লুকোচুরি', মুক্তি পেল নববর্ষে
Shortfilm 'Lukochuri': স্বল্প দৈর্ঘ্যের এই ছবি 'লুকোচুরি' মুক্তি পেয়েছে 'স্বপ্নের দেশে' ইউটিউব চ্যানেলে। মুখ্য চরিত্রে ঐশী ভট্টাচার্য্য, সবুজ বর্ধন। পরিচালনায় রজত রায় ও অরুণাভ মুখোপাধ্যায়।
কলকাতা: কখনও কখনও কতকিছু থেকে যায় অধরা - কখনও আমরা নিজেদের তৈরি চক্রব্যূহে নিজেরাই আটকে পড়ি। তেমনই একটা গল্প 'লুকোচুরি' (Lukochuri)। রাস্কিন বন্ডের (Ruskin Bond) 'দ্য আইজ হ্যাভ ইট' ('The Eyes Have It!') গল্পটি আমাদের অনেকেরই পড়া। গল্প শেষে অনেকেই হতাশ হয়েছেন, কোনও এক না পাওয়ার আকাঙ্খায়। 'Bro Bon' আর 'স্বপ্নের দেশে'-র মিলিত প্রয়াসে এই নববর্ষে সেই ছোটবেলাই ধরা দিল আরও একবার।
নববর্ষে 'লুকোচুরি'
শঙ্খ শীল নিবেদিত স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি 'লুকোচুরি' মুক্তি পেয়েছে 'স্বপ্নের দেশে' ইউটিউব চ্যানেলে নববর্ষে।
এই গল্পটা বহুদর্শীর। যদিও এটা ঠিক গল্প না ঘটনা, বলতে পারেন দর্শক। বহুদর্শী ৩০ বছর বয়সী সুদর্শন এবং বুদ্ধিদীপ্ত এক সুপুরুষ। বহুদর্শী অন্ধ, অনেক বছর আগে একটা অ্যাকসিডেন্টে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে সে।
বহুদর্শী এমন একটি খেলা খেলতে ভালবাসে যেখানে সে তার অন্ধত্ব লুকিয়ে রাখে। বহুদর্শী যখনই সুযোগ পায় তখনই চেষ্টা করে কোনও একজন অপরিচিত মানুষের সঙ্গে দিনের বেশ কিছুটা সময় কাটানোর। তার সঙ্গে কথা বলার এবং একইসঙ্গে নিজের অন্ধত্ব লুকিয়ে রাখার। এভাবেই একদিন কলকাতার ময়দানে বহুদর্শীর দেখা হয় সুরঞ্জনার সঙ্গে। সুরঞ্জনা মূলত প্রবাসী বাঙালি। সুরঞ্জনা সুন্দরী, নম্র, সুশ্রী এক মহিলা। ওঁকে দেখে, ওঁর সঙ্গে কথা বলে, ওঁকে পছন্দ হবে না এমনটা বোধ হয় হতে পারে না। তারমধ্যে সুরঞ্জনা, বহুদর্শীর মতোই আবেগপ্রবণ। ওঁরা দুজনে কলকাতার প্রতি একে অপরের সাধারণ ভালবাসা খুঁজে পেতে খুব বেশি সময় নেয় না। ওঁদের কথোপকথন এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই ভালবাসার শহর কলকাতা।
তাঁরা দুজনেই একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে একে অপরের জন্য এক অসম্ভব আবেগ অনুভব করতে থাকে। এটাকে ঠিক প্রেম হিসেবে চিত্রিত করা যায় না তবে এমন এক অনুভূতি যা প্রকাশ করা সম্ভব নয় - শুধুই অনুভব করতে হয়। যখন সেই অনুভূতি সম্পূর্ণভাবে গ্রাস করে ফেলেছে বহুদর্শী এবং সুরঞ্জনাকে ঠিক তখনই যাওয়ায় সময় হয়ে যায় সুরঞ্জনার।
কলকাতার ময়দানে পড়ন্ত বিকেলের রোদ গায়ে মেখে বহুদর্শী যখন কল্পনা করছে সুরঞ্জনার ছবি, ঠিক তখনই সে জানতে পারে যে সুরঞ্জনারও দৃষ্টিশক্তি নেই, তখন বহুদর্শীর হৃদয় বিষণ্ণতার প্রতিধ্বনিতে কাতর হয়ে ওঠে এক লহমায়। সেদিন যেন সে নিজের খেলায় নিজেই পরাজিত। সেদিন তার আরও বেশি করে মনে হয় সে বড় একা - শরতের শেষ কাশফুলের মতো সে বড় একা। সুরঞ্জনাও বোধহয় তাই, কে জানে!
আরও পড়ুন: Sushmita Sen: ফের শুরু হল 'আরিয়া ৩'-এর শ্যুটিং, সুস্থ হয়ে যোগ দিলেন সুস্মিতা সেন
ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঐশী ভট্টাচার্য্য, সবুজ বর্ধন। পরিচালনায় রজত রায় ও অরুণাভ মুখোপাধ্যায়।