Satish Kaushik Birth Anniversary: আজ সতীশ কৌশিকের জন্মদিন, সেলুলয়েডে তার কাজ মনে দাগ কেটে যায়
Take a look on Satish Kaushik Birth Anniversary: আজ সতীশ কৌশিকের জন্মদিন। স্বাভাবিকভাবেই আজ ফের নতুন ছন্দে অভিনেতা পরিচালক সতীশ কৌশিককে মনে করবে তার পরিবার ও অনুরাগীর দল।
মুম্বই: গতমাসেই চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছেন অভিনেতা পরিচালক সতীশ কৌশিক (Satish Kaushik Birth Anniversary)। দেখতে দেখতে তার প্রয়াণের পর ১ মাস পার। চলে গিয়েও তিনি একইভাবেই অটুট সারা দেশের মানুষের হৃদয়ে। আজ সতীশ কৌশিকের জন্মদিন। স্বাভাবিকভাবেই আজ ফের নতুন ছন্দে অভিনেতা পরিচালক সতীশ কৌশিককে মনে করবে তার পরিবার ও অনুরাগীর দল।
প্রসঙ্গত, ৯০ এর দশকে একাধিক ছবিতে তার রঙিন উপস্থিতি অনেককেই বিস্মিত করে। সাধামাঠা ভাবেই তিনি যেনও যেকোনও চরিত্রে ঢুকে পড়ার ম্যাজিকটা জানতেন। বয়সে বেড়া ডিঙিয়ে তিনি মন ছুঁয়ে যান সবার। কুন্দন শাহ-র একটি পলিটিক্যাল স্যাটায়ারে তিনি দুর্দান্ত অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। দক্ষিণ ভারতীয় তবলা বাদকের ভূমিকায় গোবিন্দার সঙ্গে তাঁর অভিনয়ও ভোলার নয়। মিস্টার অ্যান্ড মিসেস খিলারি ছবিতে বেস্ট কমেডিয়ান হিসাবে অভিনয় করেছিলেন অক্ষয় কুমার সঙ্গে একই ফ্রেমে।দিওয়ানা মস্তানা ছবিতে কন্ট্যাক্ট কিলারের ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি, গোবিন্দার বিপরীতে। বলাই বাহুল্য সেই ছবিতেও তিনি মন জয় করেছিলেন সবার।
গত ৯ মার্চ হৃদরোগের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয় পরিচালক অভিনেতা সতীশ কৌশিকের। জানা যায়, হোলি খেলার পরে রাত ১১টা নাগাদ হঠাৎ অসুস্থবোধ করছিলেন সতীশ কৌশিক। তাঁকে তখনই গুরুগ্রামের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় অভিনেতা পরিচালকের। তাঁর শরীরে কোনওরকম আঘাত পাওয়া যায়নি। শরীরে পাওয়া যায়নি কোনওরকম অ্যালকোহল বা অন্যান্য মাদকদ্রব্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রথম এই খবর শেয়ার করেছিলেন প্রয়াত সতীশের প্রিয় বন্ধু অনুপম খের। তিনি লিখেছিলেন, 'আমি জানি মৃত্যুই জীবনের সবচেয়ে বড় সত্যি। কিন্তু আমি স্বপ্নেও কখনও ভাবিনি, জীবনের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুর সম্পর্কে আমি এই কথা লিখব। আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু, সতীশ কৌশিক আর বেঁচে নেই। ৪৫ বছরের বন্ধুত্বে হঠাৎ ছেদ পড়ল।'
আরও পড়ুন, শ্যুটিং সেটে বিস্ফোরণ! গুরুতর আহত সঞ্জয় দত্ত
অভিনেত্রী নীনা গুপ্ত (Neena Gupta) নিজের আত্মজীবনী ‘সচ কহুঁ তো’-তে বন্ধু সতীশের মহানুভবতার কথা তুলে ধরেছেন। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব, সমাজের দরজা যখন তাঁর মুখের উপর বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, সেই সময় সবকিছু উপেক্ষা করে সতীশ তাঁর হাত ধরতে চেয়েছিলেন বলে জানান নীনা। একেবারে নিঃস্বার্থ ভাবেই সতীশ তাঁর পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন বলে আত্মজীবনীতে লিখেছেন নীনা।