Shruti Haasan: কী সুবিধা পান স্টারকিডরা? নেপোটিজম নিয়ে মুখ খুললেন শ্রুতি হাসান
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী শ্রুতি হাসান জানালেন, কীভাবে তিনি বড় হয়েছেন, তাঁর কেরিয়ার এবং ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও নানা কথা বললেন। তার সঙ্গে নেপোটিজম নিয়েও মুখ খুললেন।
মুম্বই: দক্ষিণী ছবি এবং বলিউডের অত্যন্ত পরিচিত মুখ শ্রুতি হাসান (Shruti haasan)। জনপ্রিয় অভিনেত্রীও বটে। তবে, এর পাশাপাশি তিনি একজন স্টারকিডও (Star Kid)। তাই নেপোটিজম (Nepotism) বিতর্ক যখনই আসে, তখনই স্টারকিড হিসেবে আঙুল ওঠে তাঁর দিকেও। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী শ্রুতি হাসান জানালেন, কীভাবে তিনি বড় হয়েছেন, তাঁর কেরিয়ার এবং ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও নানা কথা বললেন। তার সঙ্গে নেপোটিজম নিয়েও মুখ খুললেন।
ইন্ডাস্ট্রি প্রসঙ্গে শ্রুতি হাসান-
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তামিল ছবির ইন্ডাস্ট্রি প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শ্রুতি হাসান বলেন, 'আমি একটা জিনিসই জানি। আমি কখনও মুম্বই কিংবা বলিউডের প্রতি মোহিত ছিলাম না। সুপারস্টার স্পেসশিপে চেপে অথবা বিশেষ জায়গা পাওয়ার লক্ষ্যেও ছিলাম না। কারণ, আমি বহুভাষিক বাবা-মায়ের সঙ্গে বড় হয়েছি। তাই আমার কাছে হিন্দি ছবির দুনিয়ার সঙ্গে দক্ষিণী ছবির দুনিয়ার কোনও তফাতই আমি কোনওদিন খুঁজে পাইনি। চেন্নাইতে বড় হয়েও হায়দরাবাদ বা তেলুগু ছবির জগতের সঙ্গে আমার সেভাবে কোনও যোগাযোগ ছিল না।'
আরও পড়ুন - Bollywood Movie Updates: অগ্রিম বুকিংয়েই কত টাকার ব্যবসা করল আমির-অক্ষয়ের ছবি?
শ্রুতি হাসান বলেন, 'আমার বন্ধুদের বাবা-মাকে দেখতাম, তাঁরা কাজে যাওয়ার সময় স্যুট পরে যেতেন। আমার বিষয়া খুব ভালো লাগত। কিন্তু আমি আমার বাবার মতো হতে চেয়েছি, যিনি কখনও সকালে কাজে যাওয়ার সময় স্যুট পরে যেতেন না। তাই এই বিষয়টা আমার কাছে অন্যরকম ভালোলাগার। আমার বাবা-মা কখনও আমাকে তারকাসুলভ মনোভাব দিয়ে বড় করেননি। তাই আমিও সেভাবে বড় হইনি।'
নেপোটিজম প্রসঙ্গে অকপট শ্রুতি হাসান-
নেপোটিজম প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শ্রুতি হাসান নিজের পদবিকে 'ডিজাইনার হ্যান্ডব্যাগ' নামে বলছেন। যা তাঁকে দেওয়া হয়েছে। অভিনেত্রী বলছেন, 'আমি খুবই কৃতজ্ঞ যে উপহারস্বরূপ আমি এটা পেয়েছি। আমার কাছে আমি এটা বিনামূল্যে পেয়েছি। আর এটা আমি নিজের মতো করে ব্যবহার করেছি। আমাকে সেই স্বাধীনতাটাও দেওয়া হয়েছে যে আমি নিজের মতো করে যা কিছু করতে পারি। আর তার জন্য়ও আমি কৃতজ্ঞ। আমি এটাও বুঝি যে পদবি অনেক রাস্তা খুলে দেয়। সেই পদবি ব্যবহার করে আমি নিজের চিহ্ন রেখে যেতে পারি। কিন্তু সেই চিহ্ন নিজেকেই তৈরি করতে হয়। আর পরিশ্রম প্রত্যেকের মতোই করতে হয়। গর্বের সঙ্গে আজ আমি এটা বলতে পারি যে, কাউকে এমন কোনও ফোন পেতে হয়নি আর শুনতে হয়নি যে, 'তুমি কি আমার মেয়েকে কাস্ট করবে?' তাই যা করতে হয়েছে নিজেকেই করতে হয়েছে।'