The Kerala Story: ধর্মান্তরিত হওয়া ৩০০ মানুষের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করছেন 'দ্য় কেরালা স্টোরি'-র নির্মাতারা
The Kerala Story News: এই উদ্যোগের জন্য আপাতত ৫১ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে প্রযোজনা সংস্থার তরফে।
কলকাতা: অভিনব উদ্য়োগ 'দ্য কেরালা স্টোরি' (The Kerala Story)-র প্রযোজকের। বুধবার, এই ছবির প্রযোজক বিপুল শাহ (Vipul Shah) একটি আশ্রমে গিয়ে ঘোষণা করেন ৩০০ জন এমন মানুষ (মূলত মহিলারা) যাঁরা জোর করে ধর্মান্তরিত হওয়াও অভিযোগ করেন, তাঁদের পূর্নবাসনের ব্য়বস্থা করা হবে। এই উদ্যোগের জন্য আপাতত ৫১ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে প্রযোজনা সংস্থার তরফে।
এই ছবির গল্প এমন কিছু মেয়েকে নিয়ে যাদের জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়। সন্ত্রাসের গল্প বলে এই ছবি। বিভিন্ন রাজ্যে ইতিমধ্যে যেমন এই ছবি করমুক্ত করা হয়েছে, তেমনই আবার কয়েকটি রাজ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই ছবি। সেই সংক্রান্ত মামলাও চলছে। কিন্তু, এই ছবি নিয়ে প্রযোজক বিপুল শাহ জানান, এই ছবি মহিলাদের রক্ষা করার উদ্দেশে।
এদিন, ছবি প্রযোজন সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, 'সুদীপ্ত সেন 'দ্য কেরালা স্টোরি' ছবিটির পরিকল্পনা করেছেন, তৈরি করেছেন মহিলাদের কথা বলার জন্য। ধর্মান্তরিত করা হয়েছে এমন মেয়েদের জন্য। আর এই সমস্ত মহিলাদের জন্য আমাদের এই উদ্যোগ। প্রথমে, আশ্রমের ৩০০ জন মেয়ের পূর্নবাসনের ব্য়বস্থা করব আমরা। এই সমস্ত মহিলারা সাহসী। তাঁরা তাঁদের জীবনে রোজ কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। আমাদের এই উদ্যোগের নাম 'Protect The Daughters'। আমাদের এই ছবিটা কোনও হিন্দু, মুসলমান বা খ্রীষ্টান ধর্মের কথা বলে না। এই ছবি সেই সমস্ত মেয়েদের কথা বলে যারা প্রত্যেক মুহূর্তে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। কোনও একটি ধর্মের হয়ে বা কোনও ধর্মকে আক্রমণ করে কথা বলে না এই ছবি। এই ছবি মেয়েদের যন্ত্রণার কথা বলে, সত্যি কথা বলে। আর কতটা সত্যি, সেটা জানতে হলে প্রশ্ন করুন সেই সব মহিলাদের, যাঁরা ধর্মান্তকরণের শিকার হয়েছেন।'
ইতিমধ্যেই বক্সঅফিসে সাফল্যের মুখ দেখেছে 'দ্য কেরালা স্টোরি'। প্রযোজন বলছেন, 'গত ১১ দিনে ছবিটা ১ থেকে ১.১৫ কোটি মানুষ দেখে ফেলেছেন। তবে আমাদের দেশের জনসংখ্যা ১৪০ কোটি। সেই তুলনায় তো এই সংখ্যাটা কিছুই নয়। আমি চাই, আরও বেশি মানুষ, বরং বলা ভাল, দেশের প্রতিটি মানুষ এই ছবিটি দেখুক। শুধু কেরালা মহিলাদের কথা বলে না এই ছবি। এমন মহিলারা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছেন। যদি আপনারা এই সমস্ত মহিলাদের হয়ে কথা না বলেন, বড্ড দেরি হয়ে যাবে। আমাদের দায়িত্ব নিপীড়িত মহিলাদের পাশে দাঁড়ানো।'