The Kerala Story News: 'নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়ান, চাইলে আমি আপনার সঙ্গে বসে ছবিটা দেখব', মমতাকে আর্জি 'দ্য কেরালা স্টোরি'-র পরিচালকের
Mamata Banerjee: ছবি নিষিদ্ধ করার ঘোর বিরোধী সুদীপ্ত। বললেন, 'আমাদের প্রত্যেকের নিজস্ব রাজনৈতিক মতামত আছে এবং সেটাই স্বাভাবিক। তবে কাজ করতে গেলে আমাদের নিজেদের রাজনৈতিক চিন্তাধারাকে ডিঙিয়ে যেতে হয়'
কলকাতা: 'ছবি দেখুন.. তারপরে বিচার করুন'.... কলকাতায় এসে বার বার, বিভিন্ন প্রশ্নে, এই উত্তরই যেন ফিরিয়ে ফিরিয়ে দিলেন 'দ্য কেরালা স্টোরি'-র (The Kerala Story)-র বাঙালি পরিচালক সুদীপ্ত সেন (Sudipto Sen)। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও কলকাতায় ছবি না চলা নিয়ে যতটা হতাশ তিনি, ততটাই বিরোধী ছবি না দেখে কোনও ছবিকে নিষিদ্ধ করার। সাংবাদিকদের প্রত্যেক প্রশ্নের উত্তরে নিজের মতামত দ্যর্থহীন ভাবেই বললেন বাংলার ছেলে।
ছবি নিষিদ্ধ করার ঘোর বিরোধী সুদীপ্ত। বললেন, 'আমাদের প্রত্যেকের নিজস্ব রাজনৈতিক মতামত আছে এবং সেটাই স্বাভাবিক। তবে কাজ করতে গেলে আমাদের নিজেদের রাজনৈতিক চিন্তাধারাকে ডিঙিয়ে যেতে হয়। একজন পরিচালক হিসেবে হয় আমি সমস্ত দলের কথা বলব, অথবা দলের উর্ধ্বে উঠে, কারও কোনও কথাই বলব না। তবে বি না দেখে ছবিকে ব্যান করে দেওয়া খুব দুঃখের। আমার মনে আছে, বিবিসির একটি তথ্যচিত্রকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে সবচেয়ে বেশি প্রতিবাদ করেছিলেন যিনি, তিনি মহুয়া মৈত্রজী। উনি এই তথ্যচিত্রটি ব্যান করার বিরুদ্ধে পুরো ভারতবর্ষকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আমার মনে আছে, যখন 'পদ্মাবত' -কে নিষিদ্ধ করার কথা হচ্ছে, তখন প্রথম রে রাজনৈতিক তার প্রতিবাদ করেছিলেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাহলে আমি, বিপুলজী বা আদা শর্মা কী অপরাধ করল যে আমাদের ছবিটা না দেখেই নিষিদ্ধ করে দেওয়া হল! এই রাজনীতি আমাদের দেশকে ভাল জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে না। এই ছবি নিয়ে আর আমি আর বিপুল শাহ গুরুত্বপূর্ণ না, এই ছবি ইতিমধ্যেই দেড় থেকে ২ কোটি মানুষ দেখে ফেলেছেন। ভালবেসেছেন।'
পরিচালকের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছুক কি না? স্বভাবচিত তৎপরতায় সুদীপ্ত বলেন, 'আমি গত ৫-৬দিন ধরে সমস্ত জায়গায় বলেছি, আমি মুখ্যমন্ত্রীকে ভীষণ সম্মান করি। ওঁর কাছে আমাদের একটাই প্রার্থনা, আপনি একবার ছবিটা দেখুন। উনি যদি চান, আমি ওঁর সঙ্গে বসে ছবিটা দেখব। এই ছবিটা আমার ইগোর বিষয় নয়। আমরা কিছু মেয়েদের কথা, তাদের ঘটনার কথা ছবিতে তুলে ধরেছি। আর সেই ঘটনাগুলো খুব বড়। যে মেয়েরা কেরালা থেকে এসেছেন, ব্যাঙ্গালোর থেকে এসেছেন, তাঁরা মমতাদিদির সমর্থন চান। মেনে নিলাম ৩২ হাজার একটা কাল্পনিক নম্বর। কিন্তু এই বিষয়টাকে তো কেউ অস্বীকার করছেন না। আমার ধারণা বিষয়টি নিয়ে দিদির ওইসব মেয়েদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।'
আরও পড়ুন: Sleep vs Work Performance: রাতভর ঘুম হয়নি! সকালে কাজে মন কীভাবে? রইল সহজ টিপস
আরও পড়ুন: Mango: অনলাইনে ২৫ কোটির আম অর্ডার করলেন ভারতীয়রা! সবচেয়ে বেশি বিকোল আলফানসো