Tota Roychowdhury: যন্ত্রণা, রাগ, অবিচারের আক্রোশে জ্বলছে কলকাতা, টোটা তুলে ধরলেন ভালবাসার ছবি
Tota Roychowdhury on Kolkata: সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ একটি পোস্ট করে টোটা লিখেছেন, 'সমস্ত কষ্ট, যন্ত্রণা, রাগ, অবিচারের মধ্যে কয়েকটা মুহূর্ত শান্তির, ভালবাসার।'
কলকাতা: প্রতিবাদ, প্রতিরোধ শহরজুড়ে। আর সেই প্রতিবাদের মধ্যেই যেন এক টুকরো বন্ধুত্ব, এক টুকরো শান্তি খুঁজলেন অভিনেতা টোটা রায়চৌধুরী (Tota Roychowdhury)। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক হত্যার প্রতিবাদে নিজে পথে নেমে প্রতিবাদ করেছেন তিনি। তবে এবার, একটু অন্যরকম, অন্য স্বাদের পোস্ট করলেন অভিনেতা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ একটি পোস্ট করে টোটা লিখেছেন, 'সমস্ত কষ্ট, যন্ত্রণা, রাগ, অবিচারের মধ্যে কয়েকটা মুহূর্ত শান্তির, ভালবাসার।' যে ছোট্ট ভিডিও টোটা শেয়ার করে নিয়েছেন সেখানে দেখা যাচ্ছে একটি পথ কুকুরকে খাবার খাওয়াচ্ছেন তিনি। তাঁর মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে দিচ্ছেন। টোটা পশুপ্রেমিক। আর সেই কথাই যেন এই ভিডিওতে ফের একবার ধরা পড়ল। যখন সাধারণ মানুষ অশান্ত হয়ে আছে, রাগে, ঘৃণায় জ্বলছে কলকাতার রাজপথ.. চলছে রাত্রি জাগরণ, প্রতিবাদ.. তখন যেন টোটা সবুজ ঘাসের মধ্যে খুঁজে পেলেন এক টুকরো শান্তি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও পোস্ট করে টোটা লিখেছেন, 'সারমেয় শিক্ষক...... কোনো অভিসন্ধি নেই, কোনো এজেন্ডা নেই। স্রেফ দুটো চাহিদা। একটু আদর ও কয়েকটা বিস্কুট। পেট ভরে গেলে আর চায় না। কাঁড়ি কাঁড়ি জমানোর লোভ নেই, শিরদাঁড়া বিক্রির বালাই নেই, রেগে গেলে দাঁত দেখায়, আনন্দ হলে ল্যাজ নাড়ে। গড় আয়ু ১২-১৪ বছর কিন্তু তার মধ্যে দু-পেয়েদের শিখিয়ে যায় আনুগত্য ও ভালোবাসা কাকে বলে। অবিচার, ক্রোধ ও লড়াইয়ের মাঝে এক চিলতে উষ্ণতা।'
সদ্য আরজি কর কাণ্ড নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি লম্বা পোস্ট করে টোটা লিখেছিলেন, 'গত কয়েকদিন ধরেই মনটা বিষন্ন, অস্থির। কোনো কিছুতেই মনোনিবেশ করতে পারছি না। যে প্রাণের শহর নিয়ে আমার এত অহংকার, এত গর্ব সেই তিলোত্তমার তিলোত্তমাকে, যে পাশবিকতায়, যে নিষ্ঠুরতায় হত্যা করা হলো সেটা ভেবে বুক কেঁপে উঠছে আর লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। এটা আমার শহরে হল? বহু বছর ধরেই আমি জনসমক্ষে কোনও কিছু বলিও না, লিখিও না। কারণ এমন এক পৃথিবীতে বাস করছি যেখানে অধিকসংখ্যক মানুষ প্রত্যেকটি বাক্যে, প্রত্যেকটি শব্দে agenda খোঁজে, alignment খোঁজে। রাজনীতি এখন শেখায়: if you are not with me, you are against me. সে যে মেরুরই হোক না কেন। বিরোধী না হয়েও বিরোধ করা যে সুস্থ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অন্তর্গত সেটা কেউই আর মানতে চায় না। এমতাবস্থায় নীরবতাকেই বেছে নিয়েছিলাম। কিন্তু প্রত্যেক মানুষেরই একটি breaking point থাকে যখন তাকে বলতেই হয়: thus far and no further। তিলোত্তমা: তার সর্বপ্রথম পরিচয় সে এক জীবনদাত্রী। মুমূর্ষর সেবা করে তাকে সুস্থ করে তোলা তো একপ্রকার জীবনদান। অথচ সেই জীবনদাত্রীর জীবন ক'জন নরপিশাচ কি নৃশংস রূপে কেড়ে নিল। ইদানিংকালে এত বীভৎসতা বোধহয় কেউ কোথাও প্রত্যক্ষ করেন নি। কোটি, কোটি মানুষের মত আমিও আশা রাখি, প্রার্থনা করি যেন প্রকৃত অপরাধীদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গ্রেপ্তার করা হয় এবং প্রাণদন্ডে দণ্ডিত করা হয়। কিন্তু যেটা আমায় স্তম্ভিত করে দিল সেটা হলো কয়েকজনের "সৌজন্যে" তিলোত্তমার বাবাকে ও মাকে যে পর্যায়ের মানসিক নির্যাতন সহ্য করতে হলো। সেই হৃদয়হীন, বিবেকহীন কজনের কাছে আমার প্রশ্ন; চূড়ান্ত আত্মম্ভরিতায় কি মানবিকতা ও সহমর্মিতা বিস্মৃত হয়েছেন? ভারতবর্ষের সব প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের খুব দৃঢরূপে মনে করিয়ে দিতে চাই যে আমরা সাধারণ মানুষ কিন্তু দেশের নাগরিক, আপনাদের প্রজা নই। দুটোর পার্থক্য বুঝতে শিখুন আর কথাটা সর্বদা মাথায় রাখুন। বিঃ দ্রঃ: কোনো অত্যুৎসাহী ব্যক্তি আবার আমার এই লেখার মাধ্যমে আমার রাজনৈতিক অবস্থান নির্ণয় করার নির্বোধ প্রয়াস যেন না করেন। বরাবরই আমি অরাজনৈতিক এবং রাজনীতির অপেক্ষায় 'কাজ'নীতিতে অধিক বিশ্বাসী।'
আরও পড়ুন: Ritwick on Kanchan: 'ঘাঁটা মল্লিক -চাটা মল্লিক', কাঞ্চনের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক হতেই পোস্ট ঋত্বিকের
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।