অনাথ শিশুরা ভক্ত? শুনেই সময় কাটাতে পৌঁছে গেলেন যশ
খাতায় অটোগ্রাফ দিচ্ছেন, উপহার পাচ্ছেন, সব মিলিয়ে একটা দিন জমজমাট কাটালেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। সদ্য বাবা হয়েছেন তিনি। পরিবারের নতুন সদস্যকে নিয়ে আনন্দে সময় কাটাচ্ছেন ঈশান-জনক
কলকাতা: একঝাঁক কচি কাঁচার সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। কখনও খুনসুটি করছেন, আবার কখনও কাউকে প্রশ্ন করছে, 'চকোলেট পছন্দ'? খাতায় অটোগ্রাফ দিচ্ছেন, উপহার পাচ্ছেন, সব মিলিয়ে একটা দিন জমজমাট কাটালেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। সদ্য বাবা হয়েছেন তিনি। পরিবারের নতুন সদস্যকে নিয়ে আনন্দে সময় কাটাচ্ছেন ঈশান-জনক। তারপরেও ভুলে গেলেন না বাবা-মা হারা একরত্তিদের কথা। প্রেরণা অনাথ আশ্রমের খুদেদের হঠাৎ চমক দিতে সেখানে পৌঁছে গেলেন যশ। রুপোলি পর্দায় নায়ককে সামনে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা কচি-কাঁচারাও।
৬ বছর বয়স থেকে ১৮ বছর বয়সি মেয়েদের আশ্রয় দিয়েছে প্রেরণা। এদিন ওই হোমে এসে যশ জানতে পারেন, ওখানে থাকা অধিকাংশ খুদেই তাঁর ভক্ত। তাদের সঙ্গেই অনেকটা সময় কাটান অভিনেতা। পায়ে পায়ে পৌঁছে যান তাদের ঘরে। সেখানে তাঁর কাছে আবদার জানানো হয় ছবির সংলাপ বলার জন্য। কখনও আবার আনন্দে আত্মহারা হয়ে ছোটরাই বলে ওঠে যশের ছবির সংলাপ। যশ প্রশ্ন করেন, সবাই চকোলেট ভালোবাসে কি না! অবাক কাণ্ড, অনেকেই মাথা নেড়ে না জানায়। হাসতে হাসতে কারণ জানতে চাইলে তারা বলে ওঠে, ছবিতে যশ নাকি জানলা দিয়ে চকোলেট ফেলে দিতেন না খেয়ে। আর তাই তারা চকোলেট ভালোবাসে না। হাসতে হাসতে যশ জানান, বাস্তব জীবনে চকোলেট খেলে মোটা হওয়ার ভয় থাকলেও, চকোলেট তাঁর ভালোই লাগে।
ছোট্ট অনুরাগীদের প্রত্যেকের খাতাতেই অটোগ্রাফ করে দেন যশ। তারা বিভিন্ন উপহার সাজিয়ে রেখেছিল প্রিয় অভিনেতার জন্য। কাগজ কেটে বানানো হয় বিভিন্ন ছোট ছোট উপহার। ফ্রেমবন্দি করে তাই তুলে দেওয়া হয় যশের হাতে। সকলের হাতে পছন্দের খাবরও তুলে দেন যশ। হোমের প্রতিষ্ঠাতাদের আর্থিক সাহায্যের কথাও বলেন। ভরসা দেন, যে কোনও রকম সাহায্য়েই তাঁরা সবসময় আসবেন।
ছোট্ট ঈশানের সঙ্গে হামেশাই সময় কাটাচ্ছেন অভিনেতা। খুদেকে কী নামে ডাকছেন তিনি? এবিপি লাইভের প্রশ্নের উত্তরে যশ বলেছিলেন, 'আমি ঈশানকে ঈশান নামেই ডাকছি। ওই নামটা আমি আর নুসরত একসঙ্গেই ঠিক করেছি। তাই ওই নামেই ডাকছি। তবে হ্যাঁ, ওর এখনও উত্তর দেওয়ার বয়স হয়নি। খুব ছোট্ট তো। আর ওর ডাকনাম দেওয়া হয়েছে অংশ।'