দুরন্ত গতিতে গাড়ি চালাচ্ছেন নব্বই বছরের 'যুবতী', সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ভাইরাল
মাত্র তিন মাসেই গাড়ি চালানো শিখে ফেলেছেন রেশম বাঈ। কোনও গাড়ি চালকের কাছে গাড়ি চালানো শেখা একেবারেই পছন্দ ছিল না তাঁর। কিংবা কোনও স্কুলে গিয়েই শিখতে চাননি। তাই তাঁর ছেলেই তাঁকে গাড়ি চালানো শেখান।

নয়াদিল্লি : কিছু কিছু মানুষের কাছে বয়সটা শুধুমাত্রই একটা সংখ্যা। এছাড়া বয়সের আর কোনও মূল্যই নেই তাঁদের কাছে। তেমনই একজন মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) নব্বই বছরের বৃদ্ধা রেশম বাঈ। নব্বই বছর বয়সেই একইরকম গতিতে গাড়ি চালিয়ে দেখিলেন দিলেন যে, বয়সকে তিনি একেবারেই পরোয়া করেন না।
দু-চাকা হোক কিংবা চার-চাকা। বহু মানুষই গাড়ি চালাতে (Car Driving) খুবই ভালোবাসেন। কিন্তু প্রয়োজনে গাড়ি চালিয়ে থাকেন। কিন্তু একটা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি চালানোর জন্য যে দৃষ্টিশক্তি কিংবা শ্রবণশক্তির দরকার হয়, তা কমে আসে। ফলে যাতে কোনওরকম দুর্ঘটনা না ঘটে, তার জন্য বেশি বয়সের মানুষরা গাড়ি চালানোর ঝুঁকি নিতে চান না। কিন্তু সম্প্রতি একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। মহারাষ্ট্রের বিলাভলি গ্রামের নব্বই বছরের বৃদ্ধা রেশম বাঈ এই বয়সে এসেই দুরন্ত গতিতে গাড়ি চালিয়ে দেখিয়ে দিলেন যে, বয়সটা তাঁর কাছে একটা শুধু নম্বর মাত্র।
আরও পড়ুন - Insomnia and Health: অনিদ্রার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রোজকার তালিকায় কোন কোন খাবার রাখবেন?
ভিডিওটিতে পরিস্কার দেখা যাচ্ছে যে, নব্বই বছরের 'যুবতী' রেশম বাঈ অন্যান্য যেকোনও গাড়িচালকদের মতোই দক্ষতার সঙ্গে রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, তিনি আজকের প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মতোই অ্যান্ড্রয়েড ফোনও যেমন ব্যবহার করেন, তেমন গরু-মোষদেরও দেখভাল করেন। জানলে অবাক হবেন যে, রেশম বাঈ এমনকি ট্রাক্টরও চালিয়েছেন এর আগে।
মাত্র তিন মাসেই গাড়ি চালানো শিখে ফেলেছেন রেশম বাঈ। কোনও গাড়ি চালকের কাছে গাড়ি চালানো শেখা একেবারেই পছন্দ ছিল না তাঁর। কিংবা কোনও স্কুলে গিয়েই শিখতে চাননি। তাই তাঁর ছেলেই তাঁকে গাড়ি চালানো শেখান। আর আজ তিনি যেকোনও দক্ষ চালকের থেকে তুলনায় ভালো গাড়ি চালানো রপ্ত করে ফেলেছেন। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, যখন বাড়িতে সকলেই টাচস্ক্রিন ফোন ব্যবহার করছেন, তখন রেশম বাঈ নিজের জন্যও এমনই প্রযুক্তি সম্পন্ন ফোন চেয়েছিলেন। আর সেটা আজ তিনি ব্যবহারও করেন।
আরও পড়ুন - Durga Puja Vacation: পুজোর ছুটিতে অফবিট ডেস্টিনেশন, বেড়িয়ে আসুন তিনচুলে-তাকদা-লামাহাট্টা
ইচ্ছে থাকলে কী না সম্ভব। তা প্রমাণ করে দেখালেন মহারাষ্ট্রের এই বৃদ্ধা। তিন ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে তাঁর সংসার। সন্তানরা প্রত্যেকেরই বিবাহিত। এবং তাঁদেরও সন্তান রয়েছে। এই নব্বই বছরে এসেও নিজের কাজ নিজেই করতে পছন্দ করেন রেশম বাঈ।






















