Nairovirus Outbreak: পাকিস্তানে নাইরোভাইরাসের ত্রাস! বর্ডারে নজরদারি বাড়ানোর আর্জি চিকিৎসকদের
Nairovirus Outbreak In Pakistan: পাকিস্তানে ত্রাস ছড়াতে শুরু করেছে নাইরোভাইরাস। এই বিশেষ ভাইরাসটিতে মৃত্যুর হার প্রায় ৪০ শতাংশ। প্রতিবেশী দেশের পরিস্থিতি নিয়ে তাই উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা।
Nairovirus Outbreak In Pakistan: পাকিস্তানে এবার ত্রাস ছড়াতে শুরু করেছে নাইরোভাইরাস। উকুনজাতীয় একটি পরজীবী প্রাণীর মাধ্যমে এই ভাইরাসটি ছড়ায়। আর এর জন্য যে জ্বর হয়, বিশেষজ্ঞদের ভাষায় তার নাম ক্রিমিয়ান কঙ্গো হেমারেজিক ফিভার (Crimean-Congo Haemorrhagic Fever) বা সিসিএইচএফ। বর্তমানে ভারতের এই প্রতিবেশী দেশে ১৩ জনের আক্রান্ত হওয়ার কথা জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই পশু, মানুষ ও পতঙ্গদের মধ্য়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সর্বস্তরে নজরদারি বাড়ানোর উদ্দেশ্য একটাই। যাতে কোনওভাবেই এই ভাইরাস নয়া কোনও মহামারি ঘটাতে না পারে।
সিসিএইচএফ নিয়ে কেন চিন্তায় বিজ্ঞানীরা ?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, নাইরোভাইরাসঘটিত এই রোগে মৃত্যুর হার অনেকটাই বেশি। প্রায় ৪০ শতাংশ মতো রোগীর মৃত্যু হয় সংক্রমণের পর। প্রাথমিক অবস্থায় রোগটিকে চিকিৎসার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা সম্ভব। কিন্তু পরবর্তী পর্যায়ে রোগটিকে সামাল দেওয়া দুঃসাধ্য়। হু-র বিশেষ তালিকায় যে যে রোগগুলি রয়েছে, তার মধ্য়ে এই রোগটিও রয়েছে।
কোন কোন লক্ষণ দেখা যায় ?
- মূলত ডেঙ্গির সঙ্গে লক্ষণের বেশ কিছু মিল রয়েছে।
- এই রোগে প্রচণ্ড জ্বর
- গায়ে ব্যথা
- পেশিতে ব্যথা
- মাথা ঘোরা
- নাক থেকে রক্ত পড়ার মতো লক্ষণগুলি দেখা যায়।
ভারতের সীমান্তপ্রহরা কড়া করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
ভারতের ঠিক প্রতিবেশী দেশেই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এই মারণভাইরাস। এই অবস্থায় একাধিক চিকিৎসকের পরামর্শ কেন্দ্রের এই সময় সীমান্ত এলাকায় প্রহরা বাড়ানো উচিত। বর্ডার পারাপারের সময় প্রত্যেকের স্বাস্থ্যপরীক্ষাও জরুরি বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। নারায়ণা হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিধিন মোহন সংবাদমাধ্যম আইএএনএস-কে বলেন, পাকিস্তানের কঙ্গো ভাইরাস যাতে ভারতে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য কড়া পদক্ষেপ আশু প্রয়োজন (Border Surveillance)।
কীভাবে ছড়ায় এই ভাইরাস ?
মূলত গবাদি পশু বা পোষ্যের ত্বকে থাকা উকুনজাতীয় পরজীবী বা এঁটুলির শরীরে বাসা বাঁধে এই ভাইরাস। এই ধরনের পোকাগুলির কামড় থেকে রক্তের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। পোকার কামড় থেকে বা গবাদি পশুর শ্লেষ্মার সংস্পর্শে এলে মানুষের মধ্যেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।
২০২৩ সালে শতাধিক মৃত্যু
২০২৩ সালেও ইরাক ও পাকিস্তানে এই ভাইরাসের জেরে শতাধিক মৃত্যু হয়। আপাতত জেনারেল সাপোর্টিভ কেয়ারের মাধ্যমেই এই ভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসা করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কথায়, রাইবাভিন নামের অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগও ব্যবহার করা হয় চিকিৎসায়। তবে চিকিৎসার চেয়ে রোগ প্রতিরোধ বেশি জরুরি বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
তথ্যসূত্র - IANS, World Health Organization
ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন - Liver Care: লিভারে জমে থাকা টক্সিন সাফ করে এইসব ফল
আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )