Winter Food Tips: শীতের মরসুমে সুস্থ থাকতে নজর দিন খাওয়া-দাওয়ায়, এইসব খাবার মেনুতে না রাখাই ভাল
Foods: শীতের মরসুমে সুস্থ থাকতে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন একনজরে দেখে নিন।
Winter Health Tips: কথায় বলে শীতকালে খেয়ে সুখ। অবশ্যই মনকে তৃপ্তি দিয়ে খাওয়াদাওয়া করুন। কিন্তু সেই সঙ্গে খেয়াল রাখুন স্বাস্থ্যেরও। আর তাই শীতের মরসুমে বেশ কিছু খাবার এড়িয়ে চলা স্বাস্থ্যের পক্ষে (Winter Foods to Avoid) ভাল। নির্দিষ্ট কয়েকটি খাবার শীতকালে না খেলে সুস্থই থাকবেন আপনি (Winter Diet)। সেই তালিকায় কী কী রাখবেন দেখে নিন।
প্রসেসড ফুড- যেকোনও টিন বা কৌটোজাত প্রসেসড খাবার বিশেষ করে এই জাতীয় মাংস না খাওয়াই ভাল। কারণ এইসব খাবার হজম করা বেশ কষ্টকর। সহজে হজম হতে চায় না। এর ফলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনিতেই শীতকালে তুলনায় কম জল খাওয়া হয়। তার মধ্যে বদহজমের সমস্যা হলে বিপদ বাড়বে। অতিরিক্ত তেলমশলা বা ঝাল খাবারও এড়িয়ে চলাই ভাল। তাই সহজপাচ্য খাবার খাওয়া উচিত।
ঠান্ডা জল বা অন্যান্য পানীয়- ঠান্ডা জল কিংবা কোল্ড ড্রিঙ্কস বা ঠান্ডা ফলের রস অথবা অন্যান্য ঠান্ডা পানীয় শীতের মরসুমে এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে তাঁরা এইসব ঠান্ডা পানীয় একেবারেই খাবেন না। অনেকেই বাড়িতে বানিয়ে দইয়ের শরবত, লস্যি এসব খেয়ে থাকেন। কেউ বা ভালবাসেন মিল্কশেক বা অন্যান্য শেক খেতে। এইসব পানীয়ে অন্যান্য সময়ে বরফ মিশিয়ে খেলেও শীতের মরসুমে বরফ দেবেন না। এছাড়াও কোল্ড কফি না খাওয়া মঙ্গলের।
কাঁচা সবজি- যাঁরা স্বাস্থ্য সচেতন তাঁদের অনেকের মেনুতেই থাকে স্যালাড। সেখানে যোগ হয় কাঁচা সবজি। শীতের মরসুমে কাঁচা সবজি দিয়ে স্যালাড না খাওয়াই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। কারণ কাঁচা শাকসবজি সহজে হজম হতে চায় না। এর ফলে বদহজম এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।
মিষ্টিজাতীয় খাবার- শীতের মরসুম মানেই নলেন গুড়। সঙ্গে দোসর কেক, পেস্ট্রি। শীতকাল এসেছে আর গুড়ের মিষ্টি খাবেন না তাই আবার হয় নাকি। বড়দিনে কেকও খেতে হবে। এমনিতেও সন্ধেবেলায় কফির কাপে চুমুক দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যদি একটু কেক বা কুকিজ পাওয়া যায় তাহলে মন্দ হয় না। কিন্তু শীতের মরসুমে মিষ্টি জাতীয় জিনিস একটু কম খাওয়াই ভাল। কারণ খাবারে থাকা এই চিনি আপনার অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। অতএব শীতের মরসুমে ‘সুগার ক্রেভিং’ হলেও মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার ব্যাপারে হ্রাস টানুন।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন- মন ভাল রাখতে খেতে পারেন এই স্বাস্থ্যকর খাবারগুলি, রইল তালিকা