Covid 19 hearing Loss : করোনার থাবায় নষ্ট হচ্ছে শ্রবণশক্তি, শরীরের ব্যালেন্স ! গবেষণায় চমকে দেওয়া তথ্য
কোভিড থেকে সেরে উঠে হাঁটাচলা করতে গিয়ে ভারসাম্যের সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। আসতে পারে ঝিমুনি। হারাতে পারেন শ্রবণশক্তিও।
করোনা থেকে সেরে ওঠার পরে শরীরে নানারকম সমস্যার কথা উঠে আসছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ দেখিয়ে দিয়েছে, করোনা মুক্ত হওয়া মানেই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যাওয়া নয় ! বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে দেখা দিচ্ছে একাধিক উপসর্গ। তেমনই এক ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে এল এক মেডিক্যাল জার্নালে । MIT and Massachusetts Eye and Ear - এর গবেষণা বলছে কোভিড থেকে সেরে উঠে হাঁটাচলা করতে গিয়ে ভারসাম্যের সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। আসতে পারে ঝিমুনি। হারাতে পারেন শ্রবণশক্তিও।
গবেষণায় উঠে এসেছে করোনা ভাইরাস কানের ভিতরের (inner ear)কোষের ক্ষতি করতে পারে। এর ফলে ভারসাম্য ও শ্রবণশক্তি দুই-ই ক্ষতিগ্রস্ত হয় । গবেষকরা মনে করছেন, " এখন SARS-CoV-2 নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি যেসব ভাইরাস শোনার ক্ষমতা কেড়ে নিতে পারে, তা নিয়ে গবেষণা করা প্রয়োজন''
কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার আগেই Gehrke, Stankovic , দুই গবেষক ইনার ইয়ারের বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশন নিয়ে গবেষণার উদ্দেশে সেলুলার মডেল তৈরি করার কাজ শুরু করে। cytomegalovirus, mumps virus, hepatitis virus শ্রবণক্ষমতা কেড়ে নিতে পারে। কিন্তু ঠিক কী পদ্ধতিতে তা বোঝা যায়নি। করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর দেখা যায়, অনেকে শ্রবণশক্তি হারিয়ে বা ব্যালেন্সের সমস্যা নিয়ে আসছেন, যাঁদের নানারকম পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁরা কোভিড পজিটিভ। তবে সেটা নিতান্তই কাকতালীয় না সম্পর্কযুক্ত তা বুঝতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা। এরপর কোষ নিয়ে নানা গবেষণা চালিয়ে দেখা যায়, SARS-CoV-2 virus কানে শোনার ক্ষমতার ক্ষতি করতে পারে।
১০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী যাঁদের শ্রবণ ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল, তাঁদের উপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা যায়, ৯ জনই tinnitus এ ভুগছেন। ৬ জনের মাথা ঘোরার সমস্যা হচ্ছে। ১০ জনেরই কম-বেশি শ্রবণক্ষমতা নষ্ট হয়েছে।
কিছুদিন আগে, এবিপি লাইভকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিশিষ্ট ইএনটি ডা. দীপঙ্কর দত্ত জানান, তাঁর কাছে হঠাৎ শ্রবণ ক্ষমতা হারিয়ে ২০২০ সাল থেকে বেশ কয়েকজন রোগী এসেছেন। তাঁদের শ্রবণ ক্ষমতা হারানোর অন্যরকম কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি । শুধু দেখা গেছে, তাঁরা সদ্য করোনা থেকে সেরে উঠেছেন। চিকিৎসক জানালেন, করোনা পরবর্তীতে শ্রবণশক্তি চলে যাওয়ার ঘটনাটি ধীরে ধীরে ঘটে না অর্থাৎ আস্তে আস্তে কানে কম শুনতে শুনতে, একদিন শুনতে পাওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো হয় না। হঠাৎ একদিন কানে শুনতে পাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। কেন এই ঘটনা আন্দাজ করতে পারেন না রোগী।
দেখা যাচ্ছে, তাঁদের শরীরে অন্য কোনও ব্যাধি অর্থাৎ ডায়াবেটিস, ইসকেমিয়া (ischemia), হারপিস, চিকেন পক্স, এইচআইভি- র মত কোনও কোমর্বিডিটি, যার জন্য হঠাৎ শ্রবণক্ষমতা চলে যেতে পারে, তা নেই। এমনকী এমন কোনও ওষুধও তাঁরা নিয়মিত খান না, যার ফলে শ্রবণক্ষমতা চলে যেতে পারে। একমাত্র দেখা গেছে, এঁরা সদ্যই করোনা থেকে সেরে উঠেছেন।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )