Yoga Asana: মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য কোন ধরনের যোগাসন করা উচিত? কীভাবে আপনার মস্তিষ্ক সজাগ-সক্রিয়-কার্যকরী থাকবে?
Braine Health: একটা কথা মাথায় রাখবেন কোনও যোগাসনই প্রথমে নিজে নিজে করতে যাবেন না। প্রশিক্ষকের পরামর্শ না নিলে হিতে বিপরীত হওয়ার সমস্যা বাড়তে পারে।
Yoga Asana: সুস্বাস্থ্যের অধিকারী (Healthy Lifestyle)হতে চাইলে নিয়মিত যোগাসনে (Yoga Asana) মন দিতে পারলে উপকার পাবেন। যোগাসনের মাধ্যমে আপনার মনঃসংযোগ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এর পাশাপাশি মস্তিষ্ক (Brain Health) সজাগ এবং সক্রিয় থাকবে ও প্রখর হবে। এছাড়াও যোগাসন করলে সার্বিকভাবে সুস্থ থাকবেন আপনি। মন এবং মাথা শান্ত থাকবে। তার ফলে কাজ করতে পারবেন ভালভাবে। এছাড়াও যোগাসনের মাধ্যমে একাধিক শারীরিক সমস্যা দূর করা সম্ভব। একটা কথা মাথায় রাখবেন কোনও যোগাসনই প্রথমে নিজে নিজে করতে যাবেন না। প্রশিক্ষকের পরামর্শ না নিলে হিতে বিপরীত হওয়ার সমস্যা বাড়তে পারে।
আপনার মস্তিষ্ক সজাগ, সক্রিয় এবং প্রখর রাখতে কোন কোন যোগাসন সাহায্য করে, দেখে নেওয়া যাক
প্রাণায়াম- অনেকেই সকালে বাড়িতে প্রাণায়াম অভ্যাস করেন। মূলত এই যোগাসন আপনার শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার ক্ষমতা সুদৃঢ় করে। যদি নিঃশ্বাস নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা থাকে তাহলে তা দূর হয়। নিয়মিত প্রাণায়াম করলে আমাদের শ্বসনতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করে। যার সরাসরি ভাল প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কে। কারোণ প্রাণায়ামের মাধ্যমে মস্তিষ্ক সঠিক মাত্রায় অক্সিজেন পৌঁছোয় এবং রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হয়। এর ফলে চট করে আপনার মেজাজ গরম হয় না। বরং মাথা শান্ত থাকে যেকোনও পরিস্থিতিতে।
পশ্চিমোত্তানাসন- সামনের দিকে পা ছড়িয়ে বসতে হয় যোগাসন অভ্যাসের সময়। তারপর ধীরে ধীরে মাথা নামিয়ে রাখতে হয় হাঁটুতে। এইসময় হাতের পাতা দিয়ে ছুঁয়ে রাখতে হয় পায়ের পাতা। পশ্চিমোত্তানাসনের মাধ্যমে আমাদের মানসিক চাপ স্ট্রেস কমে। শিথিল হয় শরীর এবং মন। ফলে মাথা শান্ত থাকে এবং ভালভাবে কাজ করতে সক্ষম হয়।
সর্বাঙ্গাসন বা শোল্ডার পোজ- এই যোগাসনের সময় কাঁধের উপর ভর করে তুলতে হয় কোমর। অর্থাৎ পা থাকবে উপরের দিকে এবং মাথা থাকবে নীচের দিকে। এই যোগাসনের মাধ্যমে আমাদের শরীরে থেকে মস্তিষ্কে সফলভাবে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। মূলত মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস এবং পিনাল গ্ল্যান্ড অংশে রক্ত সঞ্চালন সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়।
সেতু বন্ধাসন বা ব্রিজ পোজ- এই যোগাসনের সময় আমাদের দেহ দেখতে একটা ব্রিজ বা সেতুর মতোই লাগে অনেকাংশে। আমাদের ঘাড় এবং মেরুদণ্ড শক্ত, সুদৃঢ় করতে কাজে লাগে এই যোগাসন। শক্ত হয়ে থাকা পেশী শিথিল হয় এই যোগাসনের সাহায্যে। মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতেও এই যোগাসন সাহায্য করে মাথা শান্ত রাখে।
শীর্ষাসন- এই যোগাসন করা বেশ কঠিন। প্রশিক্ষকের পরামর্শ ছাড়া এই জাতীয় যোগাসন করার চেষ্টা করলে মারাত্মক চোট, আঘাত পেতে পারেন আপনি। কারণ মাথার উপর ভর দিয়ে পা উপরে তুলতে হয় এই যোগাসনে। অর্থাৎ শীর্ষসনের সময় আপনার মাথা থাকবে নীচে আর পা থাকবে উপরে, একদম উল্লম্ব ভাবে। এই যোগাসন করার সময় পা থেকে মাথা পর্যন্ত খুব ভালভাবে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এর সাহায্যে কমে স্ট্রেসের পরিমাণ। শরীরে সঠিকভাবে কাজকর্ম করলে সক্ষম থাকে।