Hina Khan: স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হিনা খান, কী উপসর্গ এই মারণরোগের? ঠেকানো সম্ভব?
Hina Khan Breast Cancer: স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত তরুণ অভিনেত্রী হিনা খান। কী কী উপসর্গ দেখা দেয় এই মারণরোগে ? রোগটিকে ঠেকাতে কী কী করণীয়?
Breast Cancer Signs: ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত অভিনেত্রী হিনা খান (Hina Khan)। স্টেজ থ্রিতে রয়েছে তাঁর ক্যানসার। কিছু দিন ধরেই এই নিয়ে সমাজমাধ্যমে গুঞ্জন চলছিল। এবার হিনা খান নিজেই সমাজমাধ্যমে এই বিষয়ে স্পষ্ট করে জানালেন নিজের কথা। শুক্রবার সকালে নিজের ইনস্টাগ্রাম ওয়ালে একটি পোস্ট করেছেন হিনা খান (Hina Khan Breast Cancer)। সেখানেই নিজের শারীরিক অসুস্থতার বিষয়টি খোলসা করে জানিয়েছেন। অভিনেত্রী লেখেন, স্টেজ থ্রি ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত তিনি। তবে এই মারণরোগের সঙ্গে পুরোদমে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক ক্যানসার
পরিসংখ্যান অন্তত এমনটাই বলছে। ভারতে মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে ক্যানসার দেখা যায়, সেটি হল ব্রেস্ট বা স্তন ক্যানসার। স্তন ক্যানসার বিপজ্জনক কারণ এই ক্যানসারের অঙ্কোজিন মারাত্মক। ক্যানসার একবার সেরে গেলেও ফের সেই অঙ্কোজিন সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে।
আসলে শরীরের অন্য কোথাও গিয়ে ঘাপটি মেরে থাকার ক্ষমতা রাখে এই অঙ্কোজিন। যার ফলে অস্ত্রোপচার করে টিউমার কোশ বাদ দিলেও শরীরের অন্য কোনও অংশে আসল ‘ভাইরাস’ থেকে যেতে পারে। এই কারণে অতিরিক্ত কিছু চিকিৎসাও করা হয়ে থাকে পরিস্থিতি বুঝে। তবে সবসময় তা সফল হয় না। ক্যানসার ফিরে আসতেই পারে।
ব্রেস্ট ক্যানসারের কী কী লক্ষণ (Breast Cancer Symptoms) ?
- স্তনের মধ্যে দলা বা শক্ত একটি বলের মতো কিছু অনুভব করা। সাধারণত একটি স্তনকে উপর-নিচ, দুই পাশ বা সামনে থেকে চাপ দিলে এই শক্ত দলাটি অনুভব করা যায়। চিকিৎসকরা বলেন, ক্যানসারের ঝুঁকি এড়াতে এভাবে নিয়মিত বাড়িতেই স্তন পরীক্ষা করা জরুরি।
- স্তনের কোনও একটি অংশ অন্য অংশের তুলনায় বেশি ফুলে যাওয়া বা মোটা হয়ে যাওয়া।
- স্তন ও স্তনবৃন্তের আশেপাশে লালচে ভাব বা ত্বকের আস্তরণ উঠতে পারে।
- স্তনবৃন্ত ভিতরের দিকে ঢুকে যাওয়া। স্তনবৃন্তে ব্যথা হওয়া।
স্তন ক্যানসার প্রতিরোধের উপাায় (Breast Cancer Prevention) ?
১. সেলফ টেস্ট বা নিজে নিজে পরীক্ষা - সাধারণত একটি স্তনকে উপর-নিচ, দুই পাশ বা সামনে থেকে চাপ দিলে এই শক্ত দলাটি অনুভব করা যায়। এই ভাবে নিয়মিত বাড়িতে পরীক্ষা করতে হবে।
২. বছরে বা ছয় মাসে একবার ম্যামোগ্রাম টেস্ট - সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পর এই ম্যামোগ্রাম টেস্ট করতে বলা হয়। তবে বর্তমানে এটি তরুণ বয়সেও দরকারি হয়ে উঠছে। তাই নিয়ম করে বছরে একবার বা দুবার এই টেস্ট করিয়ে নেওয়া ভাল।
ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন - Hina Khan Breast Cancer : স্টেজ থ্রি ক্যান্সারে আক্রান্ত, জানালেন হিনা খান নিজেই, কতটা কঠিন লড়াই?
আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )