Obesity Guidelines: সঙ্কটের পর্যায়ে ওবেসিটি! সরকার আনছে 'ওবেসিটি গাইডলাইন', রোগা হতে আর করা যাবে না এই কাজ
ভারতের কখনও নিজস্ব ওবেসিটি গাইডলাইন ছিল না। কিন্তু দেশজুড়ে যেভাবে ওবেসিটি থাবা বিস্তার করেছে, তাতে সতর্ক চিকিৎসকমহল।

স্বাধীনতা দিবসের ভাষণেই দেশবাসীকে ওবেসিটি নিয়ে সতর্ক করে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সবাইকে একটু করে হলেও কম তেল ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। চিকিৎসকদের কথা স্মরণ করিয়ে বলেছিলেন, স্থূলতা বা ওবেসিটি নীরব ঘাতক। তাই সতর্ক থাকতে হবে। এবার ওবেসিটি রুখতে ও ওবেসিটির সঠিক চিকিৎসার জন্য obesity guidelines আনছে ভারত। কেন্দ্রীয় চিকিৎসা গবেষণা সংস্থা আইসিএমআর এই নিয়ে বিস্তারিত কাজ করছে। খুব শিগগিরি আনতে চলেছে ওবেসিটি গাইড। এই বিষয়ে কাজ করছেন, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (ICMR) এর গবেষকরা, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকরা, এন্ডোক্রিনোলজিস্ট, পুষ্টিবিদ, ব্যারিয়াট্রিক সার্জন, ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ এবং অন্যান্য চিকিৎসকরা।
ভারতের কখনও নিজস্ব ওবেসিটি গাইডলাইন ছিল না। কিন্তু দেশজুড়ে যেভাবে ওবেসিটি থাবা বিস্তার করেছে, তাতে সতর্ক চিকিৎসকমহল। WHO মানদণ্ডের উপর নির্ভর করে তৈরি হচ্ছে এই নতুন গাইড লাইন। নতুন উদ্যোগে ভারতীয়দের স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি ডাটাবেস তৈরি করা হচ্ছে। যার ভিত্তিতে স্থূলতা নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতিগুলি নিয়ে আরও গভীরে কাজ করা যাবে।
বর্তমানে, প্রতি চারজন ভারতীয়র মধ্যে একজন স্থূলতার সঙ্গে লড়াই করছেন। গত দশকে শহর ও গ্রামীণ উভয় জনগোষ্ঠীর মধ্যেই মোটা হওয়ার প্রবণতা তিনগুণ বেড়েছে। NFHS-5 (2019-21) অনুসারে, ২৪ শতাংশ মহিলা এবং ২৩ শতাংশ পুরুষের অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলকায়। বাচ্চাদের মধ্যেও খাওয়া দাওয়া ও জীবনযাত্রার ধরন ডেকে আনছে চাইল্ডহুড ওবেসিটি। পাঁচ বছরের কম বয়সীদের মধ্যেই মোটা হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে।
কিছুদিন আগে পর্যন্ত মনে করা হত, ওবেসিটি মাপার নির্ভর যোগ্য সূচক হল বিএমআই বা বডি মাস ইনডেক্স।
২০২৩ সালের জুলাই মাসে দ্য ল্যানসেট রিজিওনাল হেলথ -সাউথ এশিয়াতে প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করে,স্থূলতা মূল্যায়নের জন্য কেবল বডি মাস ইনডেক্স (BMI) যথেষ্ট নয়। এরপর National Family Health Survey-5, স্থূলতার পরিমাপে কোমরের পরিধির বিষয়টিও সামনে নিয়ে আসে। সেই অনুসারে দেখা যায়, ভারতে ৪০ শতাংশ মহিলা, ১২ শতাংশ পুরুষের ভুঁড়ি রয়েছে। অর্থাৎ কোমরের মাপ বেশি। ৩০-৩৯ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে, এই সংখ্যাটি ৪৯.৩ শতাংশে এবং ৪০-৪৯ বছর বয়সীদের মধ্যে এটি ৫৬.৭ শতাংশে পৌঁছেছে। তবে দেখা যায়, শুধুমাত্র BMI অনুসারে, মাত্র ২৩ শতাংশ মহিলাই স্থূলকায়। তার মানে বিএমআই অনুসারে স্বাভাবিক ওজনের আওতায় পড়া অনেকেরই ভুঁড়ি রয়েছে। তাই শুধু বিএমআই নয়, আরেকটি নতুন সূচক নিয়ে কাজ করা প্রয়োজন।
ওবেসিটিকে public health emergency হিসেবে দেখছে চিকিৎসক মহল। ভারতে প্রতি চারজনের একজন ওভারওয়েট বা ওবিস। ICMR ও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রচেষ্টায় যে গাইডলাইন তৈরি হচ্ছে, তাতে মোটা হওয়া আটকানোর উপরে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। তাছাড়া রোগা হওয়ার জন্য, এখন অনেকেই নানা ওষুধ খেয়ে থাকেন বিজ্ঞাপনে প্রলোভিত হয়ে। অনেক চিকিৎসকও আবার রোগা হওয়ার ওষুধ দিয়ে থাকেন। কিন্তু GLP-1 র মতো ওজন কমানোর ওষুধ কিন্তু সবাই খেতে পারেন না। হালে আইএমএ (Indian Medical Association) রোগা হওয়র ওষুধের অপব্যবহার নিয়ে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন। কারণ যখন-তখন GLP-1 খেয়ে নেওয়ার পরিণতি ভয়ঙ্কর হচে পারে। নতুন গাইডলাইনে সেই সংক্রান্ত প্রোটোকলও থাকবে।






















