Doctors on Menstrual Hygiene: ফাঙ্গাল ইনফেকশন থেকে বন্ধ্যাত্ব, ঋতুকালে এই নিয়মগুলি না মানলে বিপদ ভয়ঙ্কর
ঋতুকালে একটু সচেতনতা অনেক বড় সমস্যা থেকে দূরে রাখতে পারে।যেমন পেলভিক ইনফ্লেমেটরি ডিসিজ। যার প্রথম উপসর্গ যোনিপথে জ্বালা, rash, অস্বস্তি । কিন্তু এর ফল সুদূর প্রসারী হতে পারে। এমনকী ডেকে আনতে পারে বন্ধ্যাত্বও !! জানাচ্ছেন স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ইন্দ্রাণী লোধ ও ডা. দীপান্বিতা হাজারি
কাপড় নয়, স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করুন। ঋতুচক্র চলার সময়, মেনে চলুন পরিষ্কা-পরিচ্ছন্নতা। এই টুকু বোঝাতেই এখনও সরকারকে গ্রামে-গ্রামে রীতিমতো প্রচার চালাতে হয়। সংসার খরচ থেকে টাকা বাঁচিয়ে স্যানিটারি প্যাড কেনা, এখনও অনেকের কাছেই বিলাসিতার থেকে কম কিছু নয়। সম্প্রতি একটি জনকল্যাণমূলক বিজ্ঞাপনেই দেখানো হয়েছে, বাড়ির পুরুষ মানুষটি ধূমপানের জন্য খরচ করতে পারেন, কিন্তু পয়সার অভাবে ঋতু-স্বাস্থ্যর অ-আ-ক-খ টুকুও মেনে চলতে পারে না বাড়ির মহিলারা। সেই সম্পর্কে ন্যুনতম ধ্যানধারণাটুকুও নেই অনেকের মধ্যে। এই বিষয়ে কথা বলতে আজও মেয়েরা মোটেই সচেতন নন। বিশেষত: মফস্বল বা গ্রাম-গঞ্জে এখনও ঋতুস্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনায় রীতিমতো জড়তা আছে। সেই সঙ্গে আছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলতে থাকা কুসংস্কার। পিরিয়ডের সময় এখনও দেশের বহু মেয়ের জীবন কাটে গোয়াল ঘরে !!
শুধু তাই নয়, প্রতিবার কাপড় কেনার খরচ বাঁচানোর জন্য পাতলা কাপড়ের মধ্যে ছাই দিয়েও ব্যবহার করে অনেকে! এ পরিস্থিতিতে মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন বা ঋতু-স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবনা-চিন্তা কতটা কঠিন, তা বোঝাই যাচ্ছে। স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ দীপান্বিতা হাজারি জানাচ্ছেন, সরকার ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে গত কয়েক বছরে। তাতে এই বিষয়ে সচেতনতা আগের থেকে কিছুটা হলেও বেড়েছে। তবে ঋতু-স্বাস্থ্য নিয়ে প্রচার বা সচেতনতা এখনও অনেক বেশি বাড়ানো দরকার। World Menstrual Hygiene Day - তে এই বিষয়ে শহরের দুই বিশিষ্ট চিকিত্সক আলোচনা করলেন এবিপি লাইভের সঙ্গে।
এছাড়াও জেনে রাখা প্রয়োজন, ঋতুকালে একটু সচেতনতা অনেক বড় সমস্যা থেকে দূরে রাখতে পারে।যেমন পেলভিক ইনফ্লেমেটরি ডিসিজ। যার প্রথম উপসর্গ যোনিপথে জ্বালা, rash, অস্বস্তি । কিন্তু এর ফল সুদূর প্রসারী হতে পারে। এমনকী ডেকে আনতে পারে বন্ধ্যাত্বও !! জানাচ্ছেন স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ইন্দ্রাণী লোধ। নানারকম ফাঙ্গাল ইনফেকশন অনিবার্য ঋতুকালে যথেষ্ট পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন ও সচেতন না হলে। মাসের ওই বিশেষ কয়েকটি দিন যে বিষয়গুলির উপর জোর দিতে হবে, তা হল -
- স্যানিটারি ন্যাপকিন দীর্ঘ সময় না পরিবর্তন করে ফেলে রাখা যাবে না। ওভার ফ্লো না হলেও, কয়েকঘণ্টা পরপরই তা বদলে নেওয়া দরকার। এই সময় জননাঙ্গ দিয়ে অনেক রক্ত বেরিয়ে যায়। সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের টস্যুগুলিও খুব নরম থাকে। শরীর থেকে নিঃসৃত রক্ত থেকেও সংক্রমণ ঘটতে পারে। তা যোনিপথ দিয়ে প্রবেশ করে একটু একটু করে ফ্যালোপিয়ান টিউব অবধি ছড়াতে পারে।
- যোনিপথ পরিষ্কার রাখা ভীষণই জরুরি। কোনও ব্র্যান্ডেড ভ্যাজাইনা-কেয়ার লোশনের দরকার নেই। সাবান ও জলই যথেষ্ট।
- স্যানিটারি ন্যাপকিন এমন ব্যবহার করতে হবে যা রক্ত শুষে নিয়ে উপরের ভাগ শুকনো রাখে। তাতে সংক্রমণের প্রবণতা কমে। সেই সঙ্গে সুতির প্যান্টি ব্যবহার করলে ভাল। তা ভালভাবে কেচে রোদে শুকিয়ে ইস্ত্রি করে নেওয়া দরকার।
- সেই সঙ্গে খয়াল রাখতে হবে ব্যবহৃত ন্যাপকিন ফেলার বিষয়টিও। এমন কোনও জায়গায় খোলামেলাভাবে তা ফেলা উচিত নয়, যা থেকে আবার জীবাণু ছড়াতে পারে।
ঋতুকালে কোন কোন অসুবিধা দেখলেই অবহেলা না করে ডাক্তারের দ্বারস্থ হবেন ? - পেট বা কোমরের যন্ত্রণা যদি মাত্রাতিরিক্ত হয়
- ঋতুকাল কি ৭-৮ দিন ধরে চলে ?
- ২-৩ মাস হঠাত্ ঋতুবন্ধ ?
- মাসে একাধিকবার পিরিয়ড হচ্ছে ?
- মাসিকের পরও পেটের ব্যথা চলছে ?
- রক্তপাতের সময় জমাট বাঁধা রক্ত বেশি বের হচ্ছে ?
তবে সবার আগে কাটিয়ে উঠতে হবে ঋতুজনিত সমস্যা নিয়ে কথা বলা, আলোচনা করার জড়তা কাটানো। নইলে ঋতুকালীন পরিচ্ছন্নতা শুধু কাগুজে আলোচনার বিষয়বস্তুই হয়ে থাকবে।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )