Essential Oils: ত্বকের পরিচর্যায় কোন ধরনের এসেনসিয়াল অয়েল ব্যবহার করলে চটজলদি উপকার পাবেন?
Skin Care: কী কী ধরনের এসেনসিয়াল অয়েল ত্বকের পরিচর্যায় ব্যবহার করা যায়, রইল তারই তালিকা।
Skin Care Tips: ত্বকের পরিচর্যা (SKin Care) করার জন্য বিভিন্ন ধরনের উপকরণ আমরা ব্যবহার করে থাকি সারাবছর। তবে শীতের মরসুমে বিশেষভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। আর ত্বকের পরিচর্যায় যত বেশি ঘরোয়া উপকরণ কিংবা ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি জিনিস ব্যবহার করবেন, ত্বকের জন্য সেটা ততটাই ভাল হবে। এখন অবশ্য শীত বিদায় নেওয়ার পালা। কিন্তু তাই বলে ত্বকের পরিচর্যায় ফাঁকি দিলে চলবে না একেবারেই। সেক্ষেত্রে ত্বকের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন এসেনসিয়াল অয়েল (Essential Oil) কিংবা ন্যাচারাল অয়েল (Natural Oil)। কী কী ধরনের এসেনসিয়াল অয়েল ত্বকের পরিচর্যায় ব্যবহার করা যায়, রইল তারই তালিকা। মূলত এসেনসিয়াল অয়েল বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়েই তৈরি হয়। আপনি চাইলে বাড়িতেও বানিয়ে নিতে পারেন। প্রয়োজনে এসেনসিয়াল অয়েল যুক্ত সিরাম ব্যবহার করতে পারেন। এসেনসিয়াল অয়েল দিয়ে ত্বকের পরিচর্যার পর সেই মুহূর্তে আর কিছু লাগানোর প্রয়োজন নেই ত্বকে। এসেনসিয়াল অয়েল কখনই সরাসরি ত্বকে লাগানো উচিত নয়। ক্রিম বা ময়শ্চারাইজারের সঙ্গে মিশিয়ে তারপর এসেনসিয়াল অয়েল লাগাতে পারেন।
কোকোনাট অয়েল- নারকেল তেল যুক্ত যেকোনও এসেনসিয়াল অয়েল বিশেষ করে শীতের মরসুমে ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে দারুণভাবে কাজে লাগে। ত্বকের জৌলুস ফেরাতে এবং আর্দ্রতা বজায় রাখতে ও রুক্ষ-শুষ্ক ভাব দূর করতে সাহায্য করে এই ন্যাচারাল অয়েল।
স্যান্ডালউড এসেনসিয়াল অয়েল- চন্দনকাঠ থেকে তৈরি হয় এসেনসিয়াল অয়েল বা ন্যাচারাল অয়েল। এর সাহায্যে ত্বকের দাগছোপ দূর হয়। কোনও স্কিন ইরিটেশন বা ইনফেকশন হলে সেটাও দ্রুত কমে যায়।
আমন্ড অয়েল এবং শিয়া বাটার অয়েল- স্কিনের অ্যান্টি-এজিং অর্থাৎ ত্বকে বলিরেখার প্রভাব পড়তে দেয় না আমন্ড অয়েল। এর পাশাপাশি শিয়া বাটার যুক্ত এসেনসিয়াল অয়েল বা ন্যাচারাল অয়েল ত্বক আর্দ্র রাখে, দাগছোপ কালচে ভাব দূর করে।
জোজোবা অয়েল- ত্বকে কোন রোগ হলে কিংবা কেটে ছরে গেলে যে দাগ তৈরি হয় তা মেটাতে সাহায্য করে জোজোবা অয়েল। বিশেষ করে ওয়াক্সিংয়ের পর ত্বকে জোজোবা অয়েল লাগিয়ে নিলে ত্বক ভাল এবং মোলায়েম থাকে।
ত্বকের পরিচর্যায় এসেনসিয়াল অয়েলের মূল কয়েকটি ভূমিকা
- ত্বকের যেকোনও ধরনের কালচে দাগছোপ কিংবা কাটা দাগ হাল্কা করতে সাহায্য করে এসেনসিয়াল অয়েল।
- বলিরেখা রুখতেও সাহায্য করে। ত্বকের জেল্লা ফেরায়। ত্বক মোলায়েম রাখে।
- ত্বকে কোনও অ্যালার্জি বা ইরিটেশন থাকলে সেই সমস্যাও দূর করে এই এসেনসিয়াল অয়েল।
আরও পড়ুন- প্রতিদিনের খাবারে একচিমটে মশলা! ভাল না কি খারাপ? উত্তর দিল নয়া সমীক্ষা