Loneliness: বিশ্বজুড়ে প্রতি ঘণ্টায় ১০০ জনের মৃত্যু হয় এই রোগে ! WHO-র রিপোর্টে ভয়ঙ্কর তথ্য
WHO Report: রিপোর্টে দেখা গিয়েছে একাকিত্ব আমাদের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার উপরে বিরাট প্রভাব ফেলে। আদপে সামাজিক সংযোগ ভাল হলে তা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখে, দীর্ঘায়ু বাড়ে।

WHO Report: সারা বিশ্বজুড়ে ১৭ শতাংশ মানুষ অর্থাৎ প্রতি ৬ জনের মধ্যে ১ জন একাকিত্বের শিকার। এমনকী এই একাকিত্বের (Loneliness) শিকার হয়ে প্রতি ঘণ্টায় সারা বিশ্বে মৃত্যু হচ্ছে ১০০ জনের। ২০১৪ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দেখা গিয়েছে প্রতি বছর ৮ লক্ষ ৭১ হাজার মানুষ মারা গিয়েছেন একাকিত্বের কারণে। মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO Report) তরফে এক চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে।
রিপোর্টে দেখা গিয়েছে একাকিত্ব আমাদের স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার উপরে বিরাট প্রভাব ফেলে। আদপে সামাজিক সংযোগ ভাল হলে তা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখে, দীর্ঘায়ু বাড়ে। কিন্তু একাকিত্ব মানুষকে এই সামাজিক সংযোগ থেকেই আলাদা করে দেয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে একাকিত্ব আসলে এমন এক যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতি যা উদ্ভূত হয় কাঙ্ক্ষিত সামাজিক সংযোগ এবং বাস্তবিক (Loneliness) সামাজিক সংযোগের মধ্যেকার ফারাক থেকে। সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়া বলতে পর্যাপ্ত সামাজিক সংযোগের অভাবকেই বোঝায়। মানুষ যেভাবে সহজাত প্রবৃত্তিতে অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে কিংবা যোগাযোগ স্থাপন করে তাকেই বলা হয় সামাজিক সংযোগ।
এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে কিশোর ও তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে একাকিত্বের সর্বোচ্চ হার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। দেখা গিয়েছে ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে এই হার ২০.২৯ শতাংশ এবং ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে এই হার ১৭.৪ শতাংশ। নিম্ন-আয়ের দেশগুলিতে এই একাকিত্বের হার অনেক বেশি দেখা যায়। যেখানে প্রায় চারজনের মধ্যে একজন অর্থাৎ ২৪ শতাংশ মানুষই একাকিত্বের শিকার। আর উচ্চ-আয়ের দেশে এই হার রয়েছে ১১ শতাংশ। WHO-এর রিপোর্টে দেখা গিয়েছে আফ্রিকায় সবথেকে বেশি সংখ্যক মানুষ একাকিত্বের শিকার।
পূর্ব-ভূমধসাগরীয় অঞ্চলে ২১ শতাংশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ১৮ শতাংশ একাকিত্বের হার দেখা গিয়েছে। তবে ইউরোপীয় অঞ্চলে এই হার সবথেকে কম প্রায় ১০ শতাংশ। এই সমাজমাধ্যমের বিশ্বায়নের যুগে যখন একজনের সঙ্গে অন্য মানুষের যোগাযোগ অনেক সহজ, সেখানেও বেশ কিছু মানুষ নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলছেন। WHO-এর ডিরেক্টর জেনারেল ডা. টেড্রোস অ্যাঢানম ঘিব্রেয়েসাস এমনটাই জানিয়েছেন। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রতি ৩ জনে একজন এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে প্রতি ৪ জনে একজন এই একাকিত্বের শিকার।






















