আল কায়দা-যোগে মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার আরও এক, সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০
আল কায়দা সন্দেহভাজন আবু সুফিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ধৃত শামিম আনসারির বলে দাবি এনআইএ-র
কলকাতা ও মুর্শিদাবাদ: আল কায়দা-যোগের অভিযোগে গ্রেফতার আরও এক। ধৃতের নাম শামিম আনসারি। বছর ২৫-এক এই যুবকের বাড়ি মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির কালীগঞ্জ নওদাপাড়ায়।
জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) সূত্রে খবর, গতকাল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর সঙ্গে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে সেখান থেকে আটক করা হয়, জিজ্ঞাসাবাদের পর করা হয় গ্রেফতার।
এনআইএ-র দাবি, সম্প্রতি রানিনগর থেকে ধৃত আবু সুফিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল শামিমের। যদিও ধৃতের পরিবারের দাবি, শামিম নির্দোষ।
এর আগে, আল কায়দা-যোগের অভিযোগে গত ১৯ তারিখ পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৬ এবং কেরল থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করে এনআইএ। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, তারা সকলেই 'লোন উলফ' বা এককভাবে পৃথক পৃথক জায়গা ও সময়ে নাশকতামূলক অথবা আত্মঘাতী হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিল।
এনআইএ সূত্রে খবর, ধৃতদের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ হাতিয়ার, দেশী আগ্নেয়াস্ত্র, বুলেট-প্রুফ জ্যাকেট, জেহাদি পুঁথি এবং বিস্ফোরক ও বম্ব তৈরি করার সরঞ্জাম ও ম্যানুয়াল বাজেয়াপ্ত হয়। এনআইএ সূত্রে দাবি, ধৃতরা দিল্লি থেকে শুরু করে মুম্বই ও কোচিতে হামলার পরিকল্পনা করছিল।
এমনকী, ধৃতদের সঙ্গে পাকিস্তানের জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টিও উঠে আসে এনআইএ তদন্তে। জানা যায়, ধৃতরা মূলত সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটেই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখত। কথাবার্তা চলত টেলিগ্রাম অ্যাপ ও হোয়াটসঅ্যাপে।
‘গজবা-ই-তুল-হিন্দ’ নামে হোয়াটস অ্যাপে তৈরি করা হয় একটি গ্রুপ। সেখানে নির্দিষ্ট সময়ের পর চ্যাট ডিলিট করে দিত সন্দেহভাজনরা। গ্রুপে এরাজ্যের সন্দেহভাজন আল কায়দা জঙ্গি ছাড়াও ভিন দেশের অনেক সদস্য ছিল। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই পাকিস্তানি বলে অনুমান গোয়েন্দাদের।
এনআইএ সূত্রে দাবি, তদন্তে 'কেআইকে' নামে একটি অ্যাপ্লিকেশনের কথাও জানা গিয়েছে। এই অ্যাপ্লিকেশনটি মোবাইল ফোনে লুকিয়ে রাখা যায়। এতে গতিবিধি ট্র্যাক করাও মুশকিল। এই 'কেআইকে' অ্যাপের মাধ্যমে, আলকায়দার নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হত।