Punjab: ছেলের দেহের পাশে বসে টানা ৪ দিন, মোহালির ঘটনায় কি রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া?
Old Man Was Found Sitting Next To Sons Body: ছেলের নিষ্প্রাণ দেহের পাশে টানা ৪ দিন বসে ছিলেন বৃদ্ধ। অবশেষে উদ্ধার করল পুলিশ। মোহালির এই ঘটনায় অনেকেই কলকাতার রবিনসন স্ট্রিট-কাণ্ডের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন।
চণ্ডীগড়: ছেলের (son) নিষ্প্রাণ দেহের (body) পাশে টানা ৪ দিন বসে(Sat) ছিলেন বৃদ্ধ (old)। অবশেষে উদ্ধার করল পুলিশ (police)। মোহালির (mohali) এই ঘটনায় অনেকেই কলকাতার (kolkata) রবিনসন স্ট্রিট-কাণ্ডের (robinson street) ছায়া দেখতে পাচ্ছেন। চাঞ্চল্য এলাকায়। ৮২ বছরের যে বৃদ্ধকে উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁর নাম বলবন্ত সিংহ বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কী জানা গেল?
বলবন্তের বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ আসছিল। তা থেকেই কিছু একটা সন্দেহ হয় পড়শিদের। তাঁরাই খবর দেন পুলিশে। কিন্তু বৃদ্ধের বাড়িতে ঢুকে যে এমন কিছুর মুখোমুখি হতে হবে, সেটা বোধহয় কল্পনাও করতে পারেননি কেউ। পল চন্দ নামে এক পুলিশ অফিসারের কথায়, 'নিথর দেহের পাশে বসেছিলেন এক বৃদ্ধ। কিছু বলছিলেন না। বলার মতো ক্ষমতাও ছিল না। সম্ভবত উনি বিষয়টি বুঝতেও পারেননি।' সূত্রের খবর, ওই বৃদ্ধ নিজেও গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে অর্ধচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। ঘরেও জোর করে ঢুকতে হয়েছিল তাঁদের। বলবন্ত সিংহকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। পড়শিরা জানিয়েছেন, বলবন্তের নিজের কোনও সন্তান ছিল না। দত্তক-পুত্র সুখবিন্দর সিংহের সঙ্গেই মোহালির ওই বাড়িতে থাকতেন তিনি। বাবা-ছেলের সঙ্গে খুব বেশি কেউ দেখা করতেও আসতেন না। গত মাসখানেক ধরে বাড়িতেই ছিলেন বলবন্ত। খুব একটা কারও সঙ্গে কথা বলতেন না। এমনিতে কেউ কিছু খেয়াল করেননি। কিন্তু দুর্গন্ধ মাত্রাছাড়া হয়ে যাওয়াতেই তা পড়শিদের মনোযোগ টানে। তার পরই পুলিশে খবর যায়। আপাতত যা জানা গিয়েছে, দেহটি সুখবিন্দরের।
রবিনসন স্ট্রিট...
কিছুটা একই রকম ঘটনার কথা শোনা গিয়েছিল কলকাতার শেকসপিয়র সরণির তিন নম্বর রবিনসন স্ট্রিটেও। সেখানকার বাসিন্দা পার্থ দে প্রায় মাসছয়েক দিদির কঙ্কাল আগলে বসেছিলেন বলে জানতে পারে পুলিশ। ওই ঘটনায় সাড়া পড়ে যায় গোটা শহর তথা রাজ্যে। মনস্তত্বের আলোচনায় নানা দিক উঠে আসে। কেন হয় এরকম? কোনও অসুস্থতা নাকি নেপথ্য়ে কোনও শৈশবের ইতিহাস থেকে যায়? প্রশ্ন উঠেছিল প্রচুর। উত্তর অবশ্য মেলেনি। মোহালির ঘটনায় অবশ্য বৃদ্ধের বয়সও একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। বার্ধক্যজনিত কোনও অসুবিধার কারণেই কি ছেলের মৃত্যুর বিষয়টি বুঝতে পারেননি বলবন্ত? নাকি বুঝেও মানতে পারেননি?
এবার কি উত্তর মিলবে প্রশ্নের? বলবে সময়।
আরও পড়ুন:বাড়ি যেতে চাওয়ার 'অপরাধে' পরিচারিকার দাঁত ভাঙার অভিযোগ, বিতর্কে নেত্রীকে সাসপেন্ড বিজেপির