(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Covid19 Update:মিজোরামে দৈনিক আক্রান্তের ১৮ শতাংশই শিশু! শীঘ্রই আসন্ন তৃতীয় ঢেউ?
এই পরিস্থিতিতে ভয় ধরাচ্ছে মিজোরামের করোনা পরিসংখ্যান। সোমবার সে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সে রাজ্যে ৪৪০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তারও একটা বড় সংখ্যক হল শিশু!
সন্দীপ সরকার, এবিপি আনন্দ: করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মধ্যেই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মিজোরামের পরিসংখ্যান। দৈনিক আক্রান্তের সাড়ে আঠারো শতাংশই হল শিশু। তাহলে কি উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি থেকে উত্তরবঙ্গ হয়ে, রাজ্যে প্রবেশ করবে থার্ড ওয়েভ? মিশ্র প্রতিক্রিয়া চিকিত্সক মহলে।
দেশে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের আছড়ে পড়ার আশঙ্কার মধ্যেই, ফের বাড়তে শুরু করেছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা।সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪২ হাজার ৯০৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শুধু কেরলেই একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৮৩৬।
এই প্রেক্ষাপটে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে উত্তর পূর্বের ছোট রাজ্য মিজোরামের পরিসংখ্যানও। রবিবার সে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৮০। আর তারমধ্যে ১৬৩ জন শিশু। অর্থাত্ একদিনে করোনা আক্রান্তের সাড়ে ১৮ শতাংশই হল শিশু।
সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে ভারতে সংক্রমণের থার্ড ওয়েভ আছড়ে পড়া নিয়ে বারবার সতর্ক করছেন চিকিত্সকরা। পাশাপাশি উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি থেকে উত্তরবঙ্গ হয়ে এ রাজ্যে করোনার তৃতীয় ওয়েভ ঢুকতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন চিকিত্সকরা।একইসঙ্গে এই সময়ে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে ভয় ধরাচ্ছে মিজোরামের করোনা পরিসংখ্যান। সোমবার সে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সে রাজ্যে ৪৪০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তারও একটা বড় সংখ্যক হল শিশু!
প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি দেশে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেল? সত্যিই যদি থার্ড ওয়েভে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়, তাহলে তার মোকাবিলা করার মতো পরিকাঠামো আমাদের আছে তো?
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ শান্তনু রায় বলেছেন, মাথায় রাখতে হবে শিশুদের জন্য পর্যাপ্ত আইসিইউ নেই। ফলে অবিলম্বে টিকাকরণ বাড়াতে হবে। যাতে বাচ্চারা সংক্রমিত হলে তাদের বাঁচানো যায়। সরকারি, বেসরকারি কোনও ক্ষেত্রেই পর্যাপ্ত আইসিইউ নেই।
পরিসংখ্যান উদ্বেগের হলেও, বিশেষজ্ঞদের একাংশ আবার শুধু মিজোরামের মতো একটি রাজ্যের পরিসংখ্যান দেখেই এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে নারাজ। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রভাসপ্রসূন গিরি বলেছেন, এটা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। কারণ তৃতীয় ডেউয়ের আশঙ্কা করছি। তবে একটা রাজ্যের পরিসংখ্যান দিয়েই সিদ্ধান্তে আসা ঠিক হবে না। দেশের অন্য প্রান্তের হিসেবও খতিয়ে দেখতে হবে।
সম্প্রতি ১২ থেকে ১৮ বছরের কিশোর-কিশোরীদের জন্য জরুরিকালীন ভিত্তিতে জাইডাস ক্যাডিলার করোনা ভ্যাকসিন ‘জাইকোভ ডি’-কে ছাড়পত্র দিয়েছে ভারত। অন্যদিকে বাংলায় ১২ বছর পর্যন্ত সন্তানদের মায়েদের ভ্যাকসিনেশনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে এরাজ্যে।