এবিপি আনন্দ খবরের জের: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পড়ুয়াদের ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার নির্দেশিকা প্রত্যাহার রাজ্যের
এদিন এবিপি আনন্দ চ্যানেলে সম্প্রচারিত খবর দেখেন মুখ্যমন্ত্রী।দেখেই তিনি কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে।অবিলম্বে ওই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
কলকাতা: এবিপি আনন্দের খবরের জের। দূষণ রুখতে ব্যক্তিগত গাড়ি করে পড়ুয়াদের আসা-যাওয়া বন্ধ এবং বাধ্যতামূলকভাবে খুদেদের স্কুলবাস ও পুল-কার ব্যবহার করতে যে নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতর, তা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রের খবর, এদিন এবিপি আনন্দ চ্যানেলে সম্প্রচারিত খবর দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। দেখেই তিনি কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। অবিলম্বে ওই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করার নির্দেশ শিক্ষামন্ত্রীকে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই, ওই নির্দেশিকা প্রত্যাাহারের ঘোষণা করা হয়। এদিন শিক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দেন, নির্দেশিকা কার্যকর হচ্ছে না।
সূত্রের খবর, দু’জনের মধ্যে আলোচনার পরই স্কুলশিক্ষা দফতরের তরফে জারি নির্দেশিকা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়! সূত্রের খবর, তাঁকে না জানিয়ে এই নির্দেশিকা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঘটনায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
এর আগে, এর আগে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের একটি নির্দেশের সূত্র ধরে, কলকাতার ২৬টি স্কুলের উদ্দেশে নির্দেশিকা দেয় স্কুল শিক্ষা দফতর। যেখানে বলা হয়, যেখানে বলা হয় --
- ১ এপ্রিলের মধ্যে বাধ্যতামূলকভাবে স্কুলবাস এবং পুলকার চালুর উদ্যোগ নিতে হবে।
- একমাত্র আপৎকালীন বা ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতেই ব্যক্তিগত গাড়িতে পড়ুয়াদের স্কুলে পৌঁছনো বা স্কুল থেকে নিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র মিলবে। তবে তার জন্যও যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে হবে।
- যে অভিভাবকরা ব্যক্তিগত গাড়িতে সন্তানদের স্কুলে পাঠান, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে বাধ্যতামূলকভাবে স্কুলবাস এবং পুলকার চালুর উদ্যোগ নিতে হবে।
সরকারি নির্দেশিকায় ব্যক্তিগত গাড়ির বদলে, স্কুলবাস বা পুলকার ব্যবহারের কথা শুনে অভিভাবকদের অনেকেই আতঙ্কিত এবং উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর তৎপরতায় সেই উদ্বেগ কাটল।