রাজ্যে আরও ৩ করোনা আক্রান্তের মৃত্যু, সংখ্যা বেড়ে ৬
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ২ জনের মৃত্যু হয় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও হাওড়ার গোলাবাড়ি আইএলএস হাসপাতালে
কলকাতা: রাজ্যে ৬ করোনা-আক্রান্তের মৃত্যু। আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭। তিন জন সুস্থ হয়ে বাড়ি গিয়েছে।
বুধবার সকালে জেনিথ হাসপাতালে মৃত্যু বেলঘরিয়ার বাসিন্দার। ২৬ তারিখ ভর্তি হয়েছিলেন ওই ৫৬ বছরের প্রৌঢ়। কিডনির সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। সঙ্গে ছিল নিউমোনিয়ার সমস্যাও। গতকাল রিপোর্ট আসে পজিটিভ।
এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তারও আগে, মঙ্গলবার সকালে মারা গিয়েছিলেন হাওড়ার বাসিন্দা এক মাঝবয়সী মহিলা। গতকাল রাতে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৬২ বছরের এক প্রৌঢ়ের করোনায় মৃত্যু হয়েছে। হাওড়ার গোলাবাড়ি আইএলএস হাসপাতালে মৃত্যু করোনা আক্রান্ত ৫৭ বছরের এক প্রৌঢ়ের। দুজনেরই মৃত্যু হয় গতকাল সন্ধেয়। করোনা পজিটিভ -এই রিপোর্ট আসে রাতে।
এনআরএসে যাঁর মৃত্যু হয়েছে তাঁর বাড়ি উল্টোডাঙায়। তাঁর বিদেশ ভ্রমণের কোনও যোগসূত্রে এখনও পাওয়া যায়নি বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। সোমবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। গতকাল রাত ৯টায় নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে এসএসকেএম থেকে। তার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
গোলাবাড়ির আইএলএস হাসপাতালে যে প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়েছে, তাঁর বাড়ি হাওড়ার মল্লিকফটকে। সোমবার তিনিও প্রবল শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। গতকাল সন্ধেয় মৃত্যু হয়। নাইসেড থেকে রিপোর্ট আসে তার পরে। ওই প্রৌঢ়ের স্ত্রী, পুত্রবধূ, ভাই এবং ভাইপোকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি, রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৬। শ্রীরামপুরের ওয়ালশ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ২ ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। দুজনের বয়স যথাক্রমে ৪৯ ও ৫০। এসএসকেএমে দু’জনের নমুনা পরীক্ষা হয়।
আরজি কর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ৫৯ বছরের মহিলার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তাঁর নমুনা পরীক্ষা করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।
পিয়ারলেস হাসপাতালে চিকিত্সাধীন নয়াবাদের বাসিন্দার সংস্পর্শে আসা এগরার এক ব্যক্তিরও নমুনা পজিটিভ। তিনি ভর্তি আছেন এগরার হাসপাতালে। নয়াবাদের ওই বাসিন্দা এগরার এক বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পরে করোনা আক্রান্ত হন।
কম্যান্ড হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত চিকিত্সকের পরিবারের ৩ সদস্যের নমুনা পরীক্ষাও পজিটিভ এসেছে। ওই তিনজনই ভর্তি রয়েছেন কম্যান্ড হাসপাতালে। পরিবারের ৭ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নাইসেডে পাঠানো হয়েছিল।
দমদমের নাগেরবাজারে আইএলএস হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ইতালির মিলান ফেরত এক প্রৌঢ়ার রিপোর্টও পজিটিভ এসেছে। প্রৌঢ়ার নমুনা পরীক্ষা হয় এসএসকেএম-এ। তিনি গত ২০ ফেব্রুয়ারি মিলান থেকে ফিরেছিলেন। একমাস কোনও শারীরিক অসুস্থতা ছিল না বলে প্রৌঢ়ার দাবি। ২৩ মার্চ আচমকা জ্বর হয়। দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট। গতকাল রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ওই প্রৌঢ়ার স্বামীও হাসপাতালে ভর্তি। আজ তাঁর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার কথা।