![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
"ইচ্ছাকৃত" কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়িয়ে কারও মৃত্যুর কারণ হলে যাবজ্জীবন! নতুন অর্ডিন্যান্স পাশ যোগী প্রশাসনের
ইতিমধ্যেই এই অর্ডন্যান্সের সমালোচনা করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড-১৯ অতিমারী হল একটি মানবিক সঙ্কট।আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হিসেবে দেখা হলে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।
![COVID-19: New UP Ordinance prescribes Life Term If corona Patient Causes Death by 'Intentional Affliction'](https://static.abplive.com/wp-content/uploads/sites/3/2020/05/08141703/corona-shaheen-bagh.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
লখনউ: কারও "ইচ্ছাকৃতভাবে" কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়ানোর ফলে অপর একজনের মৃত্যু ঘটে থাকে, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে যাবজ্জবীন কারাবাসের মতো কঠোর সাজা দেওয়া যেতে পারে। যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন যে অর্ডিন্যান্সে জারি করেছে,তাতে এমনই বলা হয়েছে।
বুধবার পাশ হওয়া উত্তরপ্রদেশ পাবলিক হেলথ অ্যান্ড এপিডেমিক ডিজিজ কন্ট্রোল অর্ডিন্যান্স ২০২০-তে ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর মাত্রার অনুপাতে বিভিন্ন শাস্তির বিধান দেওয়া হয়েছে। অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে অন্যদের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন প্রমাণিত হলে, দুই থেকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হবে। আর যদি তাতে কারও মৃত্যু ঘটে থাকে, তাহলে কারাবাসের মেয়াদ সাত থেকে ১০ বছর এবং সেই সঙ্গে ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা।
ইতিমধ্যেই এই অর্ডন্যান্সের সমালোচনা করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এর ফলে প্রশাসন একতরফা ও খামখেয়ালী সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড-১৯ অতিমারী হল একটি মানবিক সঙ্কট। একে যদি আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হিসেবে দেখা হয়, তাহলে এর মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।
তবে, রাজ্যের প্রধান সচিব (স্বাস্থ্য) অমিত মোহন জানিয়েছেন, মানুষকে জরিমানা করার উদ্দেশ্যে এই অর্ডিন্যান্স আনা হয়নি। এর লক্ষ্য হল মানুষকে সচেতন করা, যাতে তারা তেমন কোনও উপসর্গ দেখলে দ্রুত যাতে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে। মুখ্যসচিব আর কে তিওয়ারি জানান, "ইচ্ছাকৃতভাবে" শব্দটি অনেক ভাবনাচিন্তা করেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আইনি পরিভাষায় যেমনটা হয়ে থাকে।
অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, কোনও করোনা রোগীর গণপরিবহণ ব্যবহার করার ঘটনা লুকনো হলে, সেক্ষেত্রে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা ও এক থেকে তিন বছরের কারাবাস হতে পারে। বলা হয়েছে, সব অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন-অযোগ্য ধারা প্রয়োগ করা হবে। তবে, প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করলে এই ধারা প্রয়োগ করা হবে না।
এর পাশাপাশি, স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় কঠোর শাস্তির বিধান দেওয়া রয়েছে অর্ডিন্যান্সে। যেমন, চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মী, প্যারামেডিক্যাল কর্মী, পুলিশ, সাফাইকর্মী ও অন্যান্য করোনা-যোদ্ধাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলে ৬ মাস থেকে সাত বছর কারাবাস এবং ৫০ হাজার ছেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা ধার্য করা হবে।
যদিও, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব কে সুজাতা রাও-এর মতে, অর্ডিন্যান্সের ধারা প্রয়োগ করা সহজ হবে না। কারণ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে "ইচ্ছাকৃতভাবে" বিষয়টি প্রমাণ সাপেক্ষ। তিনি বলেন,
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)