Vijay Rupani Resign: জল্পনা বাড়িয়ে হঠাৎ গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা
রাজ্যপালের কাছে সাক্ষাতের পরে ইস্তফার কথা ঘোষণা করেন বিজয় রূপানি।
আমেদাবাদ: গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির ইস্তফা। কেন হঠাৎ গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা? কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের এক বছর আগে ইস্তফা দিলেন তিনি। রাজ্যপালের কাছে সাক্ষাতের পরে ইস্তফার কথা ঘোষণা করেন বিজয় রূপানি। তিনি বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্ব বদলায়। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সব ধরনের দায়িত্ব পালন করেছি। মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফার পরে সাংগঠনিক কাজ করব। নতুন নেতৃত্বের হাতে যাক গুজরাতের উন্নয়নের দায়িত্ব।’
উল্লেখ্য, জুলাই মাসে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। উত্তরাখণ্ডে ত্রিবেন্দ্র সিংহ রাওয়াতের জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার চার মাসের মধ্যে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিরথ সিংহ রাওয়াত।
রূপানি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন ২০১৬-র ৭ অগাস্ট। ২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনে তিনি রাজকোট পশ্চিম আসন থেকে কংগ্রেস প্রার্থী ইন্দ্রনীল রাজ্যগুরুকে হারিয়েছিলেন। ২০১৭-র ২২ ডিসেম্বর বিজেপির পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। নীতীন পটেল হয়েছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন মনসুখ মান্ডব্য, সিআর পাতিল, পরশোত্তম খোদাভাই রূপালা ও নীতীন পটেল।
ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে রূপানি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তা পালনের পর এবার তিনি নতুন উৎসাহে দলের সংগঠনের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করবেন। তিনি বলেছেন, দল আমাকে যে দায়িত্ব দেবে তা সম্পূর্ণ দায়িত্ব সহকারে ও নতুন উদ্দীপনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ও দলের সভাপতির পথনির্দেশিকা অনুসারে পালন করব।
রূপানি গুজরাতের মানুষের প্রতিও কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, গত পাঁচ বছরে উপনির্বাচন বা স্থানীয় নির্বাচনে দল ও সরকারের প্রতি জনতার অভূতপূর্ব সমর্থন, সহযোগিতা ও আস্থার প্রতিফলন ঘটেছে। এজন্য রাজ্যের মানুষের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। গুজরাতের মানুষের এই আস্থা বিজেপির শক্তি হয়ে উঠেছে এবং জনস্বার্থে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যেতে তা অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
বিজয় রূপানি বলেছেন, রাজ্যে তাঁদের সরকার পারদর্শীতা, উন্নয়ন, সঠিক সিদ্ধান্ত ও সংবেদশীলতা-এই চার ভিত্তির ওপর নির্ভর করে জনগনের সেবা করে। এই কাজে মন্ত্রিসভার সমস্ত সদস্য, বিধানসভায় আমাদের সমস্ত সদস্য, দলের পদাধিকারি ও কর্মকর্তা এবং জনতার কাছ থেকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা মিলেছে। এ জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।