Coronavirus Second Wave:করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশে মৃত্যু হয়েছে ৫৯৪ চিকিৎসকের, জানাল আইএমএ
আইএমএ-র তথ্য অনুসারে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নিহত প্রতি দুজন চিকিৎসকের একজন হয় দিল্লি, বিহার, নাহলে উত্তরপ্রদেশের। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নিহত চিকিৎসকদের প্রায় ৪৫ শতাংশই এই তিন রাজ্যে।
নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে এখনও পর্যন্ত ৫৯৪ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানাল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। কোন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কতজন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে, তা আলাদাভাবে জানিয়েছে আইএমএ। তাদের তথ্য অনুসারে দিল্লতেই ১০৭ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।
আইএমএ-র তথ্য অনুসারে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নিহত প্রতি দুজন চিকিৎসকের একজন হয় দিল্লি, বিহার, নাহলে উত্তরপ্রদেশের। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নিহত চিকিৎসকদের প্রায় ৪৫ শতাংশই এই তিন রাজ্যে।
গত বছরে করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত মহামারীর সঙ্গে লড়াইতে প্রায় ১৩০০ চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।
আইএমএ স্বাস্থ্যক্ষেত্রে হিংসার ঘটনা এড়াতে কঠোর ও কার্যকরী আইন দাবি করে কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে আইএমএ অসমে গত সোমবারের একটি ঘটনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছে। একজন কোভিড আক্রান্তর মৃত্যুর পর অসমে এক চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। আইএমএ চিকিৎসক সেউজ কুমারের ওপর এই আক্রমণকে বর্বরোচিত বলে অভিহিত করেছে।
আইএমএ বলেছে, এটা চূড়ান্ত অমানবিক আক্রমণ। ওই চিকিৎসক রাজ্যের হোজাল জেলায় কোভিড কেয়ার সেন্টারে কর্তব্যরত ছিলেন। আইএমএ সরকারে কথা আপৎকালীন ভিত্তিতে তাদের আর্জি বিবেচনা করে দেখার এবং কঠোর ও কার্যকরী একটি আইন প্রনয়নের দাবি জানিয়েছে। দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য এই আইনের দাবি করেছে আইএমএ।
আইএমএ বলেছে, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে হিংসার ঘটনার শিকার কোনও কারণে বা কোনও কারণ ছাড়াই হতে হয় চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলিকে। গত কয়েক বছরে এ ধরনের ঘটনা বেড়েছে এবং তা ছড়িয়ে পড়েছে। এরফলে চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রেই তা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আইএমএ আরও বলেছে, স্বাস্থ্য কর্মীরা অতিমারীর সময় নিরলসভাবে কাজ করছেন। সেইসঙ্গে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে হিংসার ঘটনার মতো সমস্যার মুখেও পড়তে হয়েছে।
আইএমএ আরও বলেছে, এ ধরনের হিংসার ঘটনা পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে উঠেছে। সারা দেশেই স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে হামলার ঘটনা ঘটছে। ঘটনার প্রকৃত সংখ্যা অজানা। খুব কম ঘটনাই প্রকাশ্যে আসছে। এ কারণে এ ধরনের ঘটনা রুখতে দেশে একটি কঠোর আইন প্রণয়নের প্রয়োজন।