(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
LIVE UPDATE করোনাভাইরাস: পাকিস্তানে প্রথম মৃ্ত্যু
LIVE
Background
নয়াদিল্লি: ভারতীয় সেনাবাহিনীতে এবার ঢুকে পড়ল করোনা ভাইরাস। লাদাখে প্রথম কোনও সেনা জওয়ানের শরীরে মিলল চিনা ভাইরাসের হদিশ।
সেনা সূত্রে খবর, গত সোমবার ল্যান্সনায়েক পদের ওই জওয়ানের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। কোয়ারান্টিনে থাকা ওই জওয়ানকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। ওই জওয়ানের বাবা ইরানে তীর্থ করতে গিয়েছিলেন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দেশে ফেরেন। ২৯ তারিখ তাঁকে লাদাখের হার্ট ফাউন্ডেশনে কোয়ারেন্টিন করা হয়। পরে ৬ মার্চ তাঁর শরীরেও চিনা ভাইরাসের হদিশ মেলে। এরপর, স্থানীয় এসএনএম হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়।
জানা গিয়েছে, ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ছুটিতে ছিলেন ওই জওয়ান। তিনি ২ মার্চ ডিউটিতে যোগ দেন। সেনা সূত্রে খবর, ডিউটিতে যোগ দেওয়ার পরও, ওি জওয়ান তাঁর পরিবারকে এই কোয়ারান্টিন পিরিয়ডে সেবা করছিলেন। গত ৭ মার্চ, তাঁকেও কোয়ারান্টিনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ১৬ তারিখ, তাঁর নমুনা করোনা-পজিটিভ আসে। জানা গিয়েছে, ওই জওয়ানের বোন, স্ত্রী ও ২ সন্তানকেও কোয়ারান্টিনে রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে পুণেতে এক সেনা অফিসার-সহ ২ জনকে বাড়িতেই কোয়ারান্টিন করা হয়েছে। সেনা সূত্রে খবর, দুজনের শরীরে করোনা-উপসর্গের প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিয়েছে। প্রয়োজনে তাঁদের কোভিড-১৯ সংক্রমণের নমুনা পরীক্ষা করা হবে।
এদিকে, ভারতে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ৩ জনের মৃত্যুর পর আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৪৭। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১০ জন। আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক মহারাষ্ট্রে। সেখানে আক্রান্ত ৪১ জন। পুণেতে নতুন করে করোনা আক্রান্ত একজন। ফ্রান্স এবং নেদারল্যান্ডস ফেরত ওই ব্যক্তির দেহে করোনা ভাইরাসের হদিশ মিলেছে। এই নিয়ে পুণেতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১৮। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কেরল। কেরলে ২৭, উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানায় ১৬, কর্ণাটকে ১১, দিল্লিতে ১০, লাদাখে ৮ ও বাংলায় ১ জন করোনা আক্রান্ত।
ইতিমধ্যে, করোনাভাইরাসকে মহামারী আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৯৭৬ জনের। এর মধ্যে চিনে মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ২৩৭। আক্রান্ত ১ লক্ষ ৯৮ হাজার ২৫৫। বিশ্বের ১৬১টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মারণ ভাইরাস। চিনের বাইরে, ইউরোপে সবচেয়ে বেশি হানা দিয়েছে এই মারণ ভাইরাস। বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার।