এক্সপ্লোর
Advertisement
সিগারেট, তামাকজাত পণ্য বিক্রির বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করার পথে সরকার
Central Government to bring new law to control production and sell of tobacco products. | নো-স্মোকিং জোনে ধূমপানের ক্ষেত্রে জরিমানা ১০ গুণ বাড়তে পারে।
নয়াদিল্লি: দেশের বর্তমান আইন অনুসারে, ১৮ বছরের কমবয়সিদের সিগারেট ও তামাকজাত পণ্য বিক্রি করা যায় না। এবার এই বয়সসীমা বাড়িয়ে ২১ বছর করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই মর্মে একটি বিলের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। ‘সিগারেট এবং অন্যান্য তামাকজাত পণ্য (বিজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞা এবং ব্যবসা ও বাণিজ্য, উৎপাদন, সরবরাহ ও বিক্রি নিয়ন্ত্রণ) সংশোধন আইন ২০২০’ বিলটি শীঘ্রই আইনে পরিণত হতে পারে। সেটা হলেই আর ২১ বছরের কমবয়সিদের সিগারেট ও তামাকজাত পণ্য বিক্রি করার আইনগত অধিকার থাকবে না ব্যবসায়ীদের। এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে হতে পারে জরিমানা-জেল।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০০৩ সালে সিগারেট ও তামাকজাত পণ্য় উৎপাদন ও বিক্রির উপর নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য যে আইন হয়, এবার সেটাই সংশোধন করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে নতুন বিলের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। সংশোধিত খসড়া বিলে বলা হয়েছে, ‘কোনও ব্যক্তি নিয়ম লঙ্ঘন করে সিগারেট ও অন্যান্য তামাকজাত পণ্য উৎপাদন বা বিক্রি করতে পারবেন না। প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষভাবে, নতুন নিয়মে যেভাবে বলা হচ্ছে, ঠিক সেভাবেই সিগারেট ও অন্যান্য তামাকজাত পণ্য বিক্রি করতে হবে। কেউ যদি এই নিয়ম লঙ্ঘন করেন, তাহলে এই আইনের সাত নম্বর ধারা অনুসারে, প্রথমবারের অপরাধের ক্ষেত্রে ২ বছরের কারাদণ্ড বা ১ লক্ষ টাকা জরিমানা হতে পারে। দ্বিতীয়বারের অপরাধের ক্ষেত্রে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।’
এছাড়া এই খসড়া বিলে বেআইনি সিগারেট ও অন্যান্য তামাকজাত পণ্য উৎপাদন এবং বিক্রির ক্ষেত্রেও সাজার সংস্থান রাখা হয়েছে। খসড়া বিল অনুসারে, বেআইনি সিগারেট ও তামাকজাত পণ্য উৎপাদন ও বিক্রি করলে প্রথম ক্ষেত্রে এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ২ বছরের কারাদণ্ড এবং ১ লক্ষ টাকা জরিমানা হতে পারে। বেআইনি সিগারেট উৎপাদনের ক্ষেত্রে ২ বছরের কারাদণ্ড এবং ১ লক্ষ টাকা জরিমানা হতে পারে।
এছাড়া যে অঞ্চলগুলিতে ধূমপান নিষিদ্ধ, সেখানে ধূমপানের ক্ষেত্রে জরিমানা ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২,০০০ টাকা করার কথাও বলা হয়েছে খসড়া বিলে।
তামাকজাত পণ্য উৎপাদন ও বিক্রির উপর নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে ভারতও সামিল হয়েছে। ২০০৩ সালের ২১ মে সুইৎজারল্যান্ডের জেনিভায় যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তাতে ভারতের পক্ষ থেকেও স্বাক্ষর করা হয়েছিল। ২০০৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এই আইন কার্যকর হয়। এবার নতুন নিয়ম চালু করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
বিজ্ঞান
Advertisement