এনপিআর: প্রক্রিয়াকে কোনও রাজ্য বা আধিকারিক অস্বীকার করলে তা সংবিধান-বিরোধী, জানালেন সুশীল মোদি
ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার (এনপিআর) বা জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জিকে আপডেট করার সিদ্ধান্ত নিল বিহার প্রশাসন।
পটনা: ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার (এনপিআর) বা জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জিকে আপডেট করার সিদ্ধান্ত নিল বিহার প্রশাসন। আগামী মে মাস থেকেই শুরু হচ্ছে তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া। এমনটাই জানালেন রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদি। শনিবার তিনি বলেন, ২০২০ সালেই বিহারে এনপিআর-কে আপডেট করা হবে। এর জন্য ১৫ মে থেকে ২৮ মে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলবে। সুশীল মোদি একইসঙ্গে জানিয়ে রাখেন, কোনও রাজ্য বা আধিকারিক এনপিআর প্রক্রিয়াকে অস্বীকার করতে পারে না। কারণ এটা বাধ্যতামূলক। তাঁর মতে, এনপিআরকে অস্বীকার করা সংবিধান-বিরোধী। তিনি বলেন, এনপিআর হল জনসুমারীর একটা অঙ্গ। কোনও রাজ্য এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারে না। কোনও আধিকারিক এই প্রক্রিয়ার অংশ হতে অস্বীকার করতে পারেন না। যদি কেউ করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হবে এবং এক হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হবে। তিনি মনে করিয়ে দেন, যদি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এনপিআরকে অস্বীকার করলে তা সংবিধান-বিরোধী হবে। প্রসঙ্গত, গত ২৪ ডিসেম্বর এনপিআর-কে আপডেট করার প্রস্তাব গৃহীত হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়। তার আগে, এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আগত সংখ্যালঘু উদ্বাস্তুদের দুঃখের কথা জনমানসের সামনে তুলে ধরতে ওই বৈঠকে মন্ত্রীদের নির্দেশ দেন মোদি। সংশোধিত নাগরিক পঞ্জি আইন ২০১৯ অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে আগত সংখ্যালঘু উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার সংস্থান দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, জাতীয় নাগরিক পঞ্জির মাধ্যমে ভারতে বেআইনিভাবে প্রবেশ করা মানুষদের চিহ্নিত করা হবে। গত বছর, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অসমে এনআরসি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর ১৯ লক্ষ মানুষের নাম চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়ে।