HS Results 2020 Declared: প্রকাশিত উচ্চমাধ্যমিকের ফল, মোট পাশের হার রেকর্ড ৯০.১৩%, শীর্ষে কলকাতা
উচ্চমাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নম্বর ৫০০-র মধ্যে ৪৯৯ছাত্রদের পাসের হার ৯০.৪৪%ছাত্রীদেরও ৯০ শতাংশের বেশি পাস
কলকাতা: প্রকাশিত হল উচ্চমাধ্যমিকের ফল। wb12.abplive.com -এ বিকেল চারটে থেকে রেজাল্ট।
লকডাউনের আগে মাধ্যমিক শেষ হলেও, করোনা আবহে বাতিল হয়েছে উচ্চমাধ্যমিকের শেষ তিন দিনের পরীক্ষা। শুক্রবার দুপুর সাড়ে তিনটেয় আনুষ্ঠানিকভাবে সেই উচ্চমাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ করা হল।
উচ্চ মাধ্যমিক সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস এদিন ফলঘোষণার সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, এবারের রেকর্ড পাসের হার ৯০.১৩% । ছাত্রদের পাসের হার ৯০.৪৪%, ছাত্রীদেরও ৯০ শতাংশের বেশি পাস। কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, কালিম্পং-এ ভাল রেজাল্ট।
উচ্চমাধ্যমিকে মোট পরীক্ষার্থী ৭ লক্ষ ৬১ হাজার ৫৮৩। পাস করেছেন ৬ লক্ষ ৮০ হাজার ৫৭ পরীক্ষার্থী। ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি ৮০ থেকে ৮৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৭৪৬।উচ্চমাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নম্বর ৫০০-র মধ্যে ৪৯৯ ।
মাধ্যমিকের মতো wb12.abplive.com-এ ক্লিক করলেই জানা যাচ্ছে ফল। বিকেল চারটে থেকে wb12.abplive.com ওয়েবসাইটে রোল নম্বর এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিলে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মার্কশিটের প্রতিলিপি মিলছে। সংসদ আগেই জানিয়েছে, প্রয়োজনে মার্কশিটের রেপ্লিকা ডাউনলোড করা যাবে। ফলাফল জানা যাবে wbresults.nic.in ওয়েবসাইটেও
করোনা আবহে যেহেতু সব পরীক্ষা হয়নি, তাই সিবিএসই, আইএসসি-র মতো প্রকাশিত হয়নি মেধাতালিকা। দু’সপ্তাহ পর ৩১ জুলাই দুপুর ৫২টি কেন্দ্র থেকে মার্কশিট দেওয়া হবে। ওই দিন দুপুর দুটোয় বিভিন্ন বিতরণ কেন্দ্র থেকে স্কুলগুলিকে মার্কশিট এবং সার্টিফিকেট দেওয়া শুরু হবে। সামাজিক দূরত্ব মেনে স্কুল থেকে মার্কশিট সংগ্রহ করতে পারবেন অভিভাবক কিংবা পরীক্ষার্থীরা।
সংসদের ওয়েবসাইটেই https://wbchse.nic.in/ মিলছে মার্কশিটের প্রতিলিপি। যেখানে থাকছে বিষয় ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষার নম্বর। প্র্যাক্টিকাল বা প্রোজেক্টের নম্বর। মোট প্রাপ্ত নম্বর। মার্কশিটে রয়েছে পার্সেন্টাইলও।
কোনও পরীক্ষার্থী অসন্তুষ্ট থাকলে, ৩১ অগাস্টের মধ্যে স্ক্রুটিনি করার সুযোগ পাচ্ছে পরীক্ষার্থীরা। স্ক্রুটিনি, রিভিউয়ের জন্য ফি কমাল উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। স্ক্রুটিনির জন্য ৫০ টাকা, রিভিউয়ের জন্য ৭৫ টাকা।
গত ১২ মার্চ শুরু হয়েছিল উচ্চমাধ্যমিক। করোনা আবহে ২১ মার্চ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়ে থমকে যায়। বাতিল হয় ১৪টি বিষয়ের পরীক্ষা। যে পরীক্ষাগুলি হয়েছে, তার লিখিত পরীক্ষার সর্বোচ্চ নম্বর, বাতিল লিখিত পরীক্ষার নম্বর হিসেবে নেওয়া হচ্ছ। প্রয়োজনে শতকরা হারে নম্বর নির্ণয় করা হবে।
এই নম্বর ব্যবস্থায় কোনও পরীক্ষার্থী অসন্তুষ্ট থাকলে, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মিলবে পরীক্ষায় বসার সুযোগ। সেক্ষেত্রে, পরীক্ষায় পড়ুয়ার প্রাপ্ত নম্বরই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
এরই মধ্যে উচ্চ শিক্ষা দফতর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, স্নাতক স্তরে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে ১০ অগাস্ট।
এক্ষেত্রে কোনও আবেদনারীকে ক্যাম্পাসে আসতে বলা যাবে না। কাউন্সেলিং এবং ভেরিফিকেশনের জন্যও ডাকা যাবে না। মেধা অনুযায়ী যাঁরা ভর্তির জন্য বিবেচিত হবেন, তাঁদের ইমেল অথবা ফোন করে জানাবে কর্তৃপক্ষ। ব্যাঙ্কে সেই তালিকা পাঠিয়ে দেবে, তারা অনলাইনে ফি নেবে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেককে কোভিড প্রোটোকল মানতে হবে। তবে এই অ্যাডভাইসরি বি.এড বা স্নাতকোত্তরের ক্ষেত্রে গ্রাহ্য হবে না।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI