(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Alipurduar Tourism : আলিপুরদুয়ারের হোটেল বা রিসর্টে থাকতে চান ? বাধ্যতামূলক এই প্রমাণপত্রগুলি
শনিবার বিষয়টি নিয়ে জেলার বিভিন্ন হোটেল, রিসর্ট ও ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করেন প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। সমস্যা হলেও কোভিড মোকাবিলার কথা মাথায় রেখেই নির্দেশ মেনে নিয়েছেন ব্যবসায়ীরাও।
অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার : এবার আলিপুরদুয়ারেও জেলার যে কোনও হোটেল বা রিসর্টে বাইরে থেকে কেউ এসে থাকতে চাইলে করোনার জোড়া প্রতিষেধক নেওয়ার প্রমাণপত্র অথবা আরটিপিসিআর পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট দেখানো বাধ্যতামূলক করল প্রশাসন। সূত্রের খবর, শনিবার বিষয়টি নিয়ে জেলার বিভিন্ন হোটেল, রিসর্ট ও ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করেন প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। সমস্যা হলেও কোভিড মোকাবিলার কথা মাথায় রেখেই নির্দেশ মেনে নিয়েছেন ব্যবসায়ীরাও।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আলিপুরদুয়ারে দৈনিক সংক্রমণে হার অনেকটাই কমেছে। কমেছে 'অ্যাক্টিভ' রোগীর সংখ্যাও। তারপরও অবশ্য খুব একটা স্বস্তিতে নেই জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে করোনার সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েই চলছে। অন্যদিকে আবার উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে সড়ক বা রেলপথে দেশের যে কোনও প্রান্তে যেতে হলে উত্তরবঙ্গকে পেরিয়েই যেতে হবে। এই পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গ দিয়ে ঢুকেই রাজ্যে নতুন করে করোনার বাড়বাড়ন্ত শুরু হয় কি না, সেই প্রশ্নে বিভিন্ন মহলে ইতিমধ্যেই আশঙ্কা দানা বেঁধেছে। প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, সেই জন্যই আলিপুরদুয়ার জেলায় সতর্কতা আরও বাড়ানো হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ারের সিএমওএইচ গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, 'এখন থেকে জেলার যে কোনও হোটেল বা রিসর্টে বাইরে থেকে কেউ এসে থাকতে চাইলে করোনার জোড়া প্রতিষেধক নেওয়ার প্রমাণপত্র অথবা আরটিপিসিআর পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট দেখানো বাধ্যতামূলক হচ্ছে আলিপুরদুয়ারে। এদিনই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন হোটেল, রিসর্ট ও ব্যবসায়ী সংগঠনকে এই নির্দেশের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।' প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে দার্জিলিং ও দিঘাতেও এই নিয়ম চালু করা হয়েছে শুধুমাত্র কোভিডের তৃতীয় ঢেউকে প্রতিরোধ করার জন্য এবং অবশ্যই সংক্রমণের হার কমানোর জন্য।
জেলায় দৈনিক সংক্রমণের হার কমলেও কনটেনমেন্ট জ়োনগুলিতে সব নিয়ম মানার ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রের খবর, তৃতীয় ঢেউয়ের কথা মাথায় রেখেই তাদের এই সিদ্ধান্ত। সূত্রের খবর, এদিন মাদারিহাটের শিশুবাড়িতে তিনটি বাড়িকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োন করা হয়। সেখানে দ্রুত গিয়ে আক্রান্তদের ওষুধ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে আসেন মাদারিহাটের বিডিও শ্যারন তামাং। এই তিনটি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োনের কথা মাথায় রেখে শিশুবাড়ি হাই স্কুলে বসানো হয়েছে পুলিশ সহায়তা কেন্দ্রও। বিডিও বলেন, 'মাইক্রো কনটেনমেন্ট জ়োনে যাতে সব নিয়ম মানা হয়, তা দেখা হচ্ছে।'