Andhra Pradesh Minor Gang Rape: খেলার নাম করে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে গণধর্ষণ, খুন করে ফেলে দেওয়া হল খালে, অভিযুক্ত তিন নাবালক
Andhra Minor Gang Raped: অমরাবতী থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে, নান্দিয়ালের মুচুমরীর ঘটনা।
হায়দরাবাদ: অন্ধ্রপ্রদেশে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুন। উঁচু ক্লাসের দাদারাই মেয়েটির উপর পাশবিক অত্যাচার চালিয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তরাও নাবালক। অভিযোগ, প্রমাণ নষ্ট করতে গণধর্ষণের পর খুন করে মেয়েটির দেহ ফেলে দেওয়া হয়। পুলিশের কাছে ওই তিন বালক অপরাধ স্বীকার করেছে বলে জানা গিয়েছে। (Andhra Pradesh Minor Gang Rape)
অমরাবতী থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে, নান্দিয়ালের মুচুমরীর ঘটনা। রবিবার থেকে নিখোঁজ ছিল মেয়েটি। তার বাবা জানিয়েছেন, স্থানীয় পার্কে রবিবার খেলছিল মেয়েটি। কিন্তু বেলা গড়ালেও বাড়ি ফেরেনি। বিস্তর খোঁজাখুঁজি করেও মেয়েকে পাননি তিনি। তাই থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। এর পর পুলিশও এলাকায় তল্লাশি চালায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু খুঁজে পাওয়া যায়নি মেয়েটিকে। (Andhra Minor Gang Raped)
মেয়েটির খোঁজ পেতে এবার পুলিশি কুকুর নামানো হয়। তাতেই তিন বালকের কাছে গিয়ে পৌঁছয় পুলিশ। জানা গিয়েছে, আট বছর বয়সি মেয়েটি যে স্কুলে পড়ত, ওই তিন বালকও একই স্কুলের ছাত্র। ১২ বছর বয়সি দুই বালক ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া, ১৩ বছরের বালকটি সপ্তম শ্রেণিতে পাঠরত। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ে অপরাধের কথা স্বীকার করে তারা। ধর্ষণ এবং খুনের পর মেয়েটিকে এলাকার সেচ খালে ফেলে দেয় বলে জানায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়েটিকে পার্কে খেলতে দেখে, ওই তিন বালকও খেলায় যোগ দেয়। এর পর অন্য খেলার নাম করে মুচুমরি বাঁধের কাছে নির্জন জায়গায় মেয়েটিকে সঙ্গে করে নিয়ে যায় তারা। সেখানে একে একে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়। মেয়েটি বাড়িতে বলে দিতে পারে ভেবে এর পর তাকে খুন করে ওই তিন বালক। কাছে একটি সেচখাল ছিল, তাতে দেহটি ফেলে দেয় বলে জানা গিয়েছে।
অভিযুক্তরা অপরাক্ষ স্বীকার করলেও, এখনও পর্যন্ত মেয়েটির দেহ উদ্ধার করা যায়নি। মুচুমরীর এসআই জয়শেখর জানিয়েছেন, তল্লাশি চলছে। কিন্তু মেয়েটির দেহ মেলেনি। খালের জলে পাঁচ সাঁতারু নামানো হয়েছে। তিনটি নৌকা নেমেছে উদ্ধারকার্যে। পুলিশের পৃথক দলও মেয়েটির খোঁজ চালাচ্ছে। নান্দিয়ালের সাংসদ তথা টিডিপি নেত্রী শর্বরীও উদ্ধারকার্যের দিকে নজর রেখেছেন। গ্রামে ইতিমধ্যেই শিবির গড়েছে পুলিশ। তদন্তও চলছে।