Zelenskyy Tea Launch: প্রেসিডেন্টের অসীম সাহসকে কুর্নিশ অসমের, জেলেনস্কির নামে চা এল বাজারে
Ukraine President Zelenskyy: সংস্থার মালিক রঞ্জিত বড়ুয়া বলেন যে এটি একটি লাক্সারি চা। তার সংস্থা নানা ধরনের লাক্সারি চা বানিয়ে থাকে।
নয়া দিল্লি: অসম চা বিশ্ববিখ্যাত তার সুগন্ধ ও স্বাদের জন্য। এবার অসমেরই একটি স্টার্টআপ সংস্থা ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির অসীম সাহসকে কুর্নিশ জানিয়ে এবার তাঁর নামে এক ধরনের চা বাজারে নিয়ে এল। রাষ্ট্রপতিকে সম্মান প্রদর্শন করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অসমের এই সংস্থা।
অসমের ওই সংস্থার নাম অ্যারোমিকে টি। সেই সংস্থার মালিক রঞ্জিত বড়ুয়া বলেন যে এটি একটি লাক্সারি চা। তার সংস্থা নানা ধরনের লাক্সারি চা বানিয়ে থাকে। 'জেলেনস্কি চা' এঁদের মধ্যে অন্যতম হতে চলেছে। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতির সাহস ও বীরত্ব দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে এই চা এনেছি। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের সময় তাঁর জাতির জন্য দৃঢ় থেকে কাজ করে যাওয়ার সাহস বিশ্বকে অনুপ্রাণিত করেছে।
সংবাদসংস্থা এএনআই-এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে রঞ্জিত বলেন, "আমরা আমাদের চা-এও সেই শক্তি এনেছি। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি একাই শক্তিশালী রুশ বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে গিয়েছিলেন। আমি আশা করি এই চা লোকেরা পছন্দ করবে।"
এদিকে, এ বার নোবেল শান্তি পুরস্কারের (Nobel Peace Prize) জন্য তাঁর নাম সুপারিশ করল ইউরোপের তাবড় রাষ্ট্র।
ইউরোপের বর্তমান এবং প্রাক্তন রাজনীতিকদের তরফে সম্প্রতি নোবেল কমিটির কাছে জেলেনস্কিকে শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার অনুরোধ জানানো হয়। নতুন করে মনোনয়ন পর্ব চালু করে ৩১ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানানো হয় নোবেল কমিটিকে। ১১ মার্চ প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর আর্জি জানাচ্ছি আমরা, যাতে ইউক্রেনের প্রেসিন্ট জেলেনস্কিকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা যায়।’
জেলেনস্কি কেন নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিদার, তার ব্যাখ্যাও দেওয়া হয় বিবৃতিতে। বলা হয়, ‘গণতন্ত্র এবং স্বশাসন রক্ষায় ইউক্রেনের নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলে অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিচ্ছেন। গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত দেশের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির হার না মানা আচরণ, চোখের জলে পরিবারকে বিদায় জানিয়ে দেশের জন্য প্রাণ দিতে প্রস্তুত নাগরিক, কর্তৃ্ত্ববাদের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ইউক্রেন।’